অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্যে ফলদ বৃক্ষরোপণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- প্রকাশের সময় : ০৮:৩৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুন ২০২২
- / ১৪৬৩ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্যে বেশি করে ফলদ বৃক্ষরোপণ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি ‘জাতীয় ফল মেলা-২০২২’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী ১৬-১৮ জুন ‘জাতীয় ফল মেলা -২০২২’ আয়োজন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। ফল মেলার এবারের প্রতিপাদ্য- ‘বছরব্যাপী ফল চাষে, অর্থ পুষ্টি দুই-ই আসে’ যৌক্তিক ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন মাঠে বাংলাদেশ কৃষকলীগের উদ্যোগে তিন মাস ব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সাধারণ সম্পাদক অ্যড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মানবদেহের পুষ্টির চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের সহজলভ্য ও প্রাকৃতিক উৎস হলো ফল। আমাদের মাটি ও জলবায়ু বিভিন্ন রকমের ফল চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। কৃষিবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকারের যুগোপযোগী নীতি ও বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশ দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। পাশাপাশি শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদনেও এসেছে ব্যাপক সাফল্য।
তিনি বলেন, ‘এখন আমরা সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের নিশ্চয়তার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। খাদ্য গ্রহণের প্রধান উদ্দেশ্য হলো সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম হয়ে বেঁচে থাকা। এজন্য একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণ ফল খাওয়া প্রয়োজন। বেশি করে ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং অঞ্চল উপযোগী স্বল্পমেয়াদি, অধিক ফলনশীল ও লাগসই দেশীয় ফলের জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফল চাষের আরো সম্প্রসারণ ঘটাতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের সরকারের বিভিন্ন কৃষিনীতি বাস্তবায়নের ফলে আমরা আজ কাঁঠাল উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয়, আম উৎপাদনে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম; যা বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে কৃষিপণ্য উৎপাদনের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছে। ফল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ফলের বাগান গড়ে তোলার সাথে সাথে গ্রামাঞ্চলে, বসতবাড়ির আঙিনায়, রাস্তার ধারে, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙিনায় এবং শহরাঞ্চলের ছাদে ফলদ বৃক্ষরোপণ করা যেতে পারে।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘জাতীয় ফল মেলা ২০২২’ নতুন প্রজন্মকে বৈচিত্রময় ফল সম্পর্কে ধারণা প্রদানসহ ফলদ বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করবে। পাশাপাশি স্ট্রবেরি, রাম্বুটান, ড্রাগনফল, এভোকেডো, মিষ্টি তেঁতুল ইত্যাদি বিদেশি ফলের আবাদ বৃদ্ধির জন্যও উদ্যোগ নিতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য তিনি বেশি করে ফলদ বৃক্ষরোপণের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান এবং ‘জাতীয় ফল মেলা ২০২২’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।