ফরিদপুরে নানা আয়োজনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন
- প্রকাশের সময় : ০৬:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
- / ১৬৭৩ জন সংবাদটি পড়েছেন
রবিউল হাসান রাজিবঃ ফরিদপুরে নানা আয়োজনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন হয়েছে। “শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস অদম্য আত্মবিশ্বাস” এই শ্লোগান নিয়ে ফরিদপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর ৫৮ তম জন্মদিন শেখ রাসেল দিবস পালন করা হয়েছে।
এ বছরই প্রথম শেখ রাসেলের জন্মদিনটি “ক” শ্রেণীর দিবস হিসেবে “শেখ রাসেল দিবস” পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সকাল ৯.৩০ টায় শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়। শুরুতেই জেলা প্রশাসক অতুল সরকার পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর জেলা পরিষদ, পুলিশ সুপার, পৌর মেয়র, উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়। এর পুর্বে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে সকাল ৯ টায় শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কেক কাটা হয়। পরে সেখানে শহীদ শেখ রাসেলের জীবনীর উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডঃ সুবল চন্দ্র সাহা, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজভী জামান, প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, সিরাজী কবির খোকন, প্রফেসর মোঃ শাহজাহান, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অমিতাভ বোস, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি মাসুদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও কোতয়ালী আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ রাজ্জাক মোল্লা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক ভোলা মাষ্টার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মুজিবুর রহমান। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগন, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ, শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, জাতির জনককে কেন হত্যা করা হলো, কেনই বা শেখ রাসেল এর মত শিশুকে হত্যা করা হলো? উত্তর একটাই, তিনি বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। শুধু তাই নয় যারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি তারাই স্বাধীনতা বিরোধীদের চোখে অপরাধী। সে জন্যই এই হত্যাযজ্ঞ। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ট জাতির জনককে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলার ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা কখনোই চায় না বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিষয় নিয়ে আলোচনা হোক বা তার পরিবারের কোন সদস্যদের নিয়ে কোন অনুষ্ঠান হোক। কারণ বঙ্গবন্ধু বা পরিবারের কোন সদস্যকে আলোচনা হলে দেশি বিদেশী বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের বিষয় উঠে আসবে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস সকলকে জানতে হবে। তাহলে স্বাধীনতা বিরোধীরা এই ইতিহাস আর বিকৃত করার সুযোগ পাবে না। তিনি আরও বলেন, শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু কিশোর, তরুন শুভ বৃদ্ধি সম্পন্ন সকল মানুষের কাছে মানবিক সত্তায় উদ্ভাসিত হয়ে আলোকিত জীবন গড়ার এক মূর্ত প্রতীক, ভালোবাসার এক অনন্য নাম।