Dhaka ১১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দে পদ্মায় ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির বাওস মাছ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫০:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১
  • / 209

জনতার আদালত অনলাইন ॥ পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে ৩ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি বিরল প্রজাতির বাওস মাছ ধরা পড়েছে। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ২ কিলোমিটার ভাটিতে চর কর্ণেশনা এলাকায় সৌখিন মাছ শিকারী বাচ্চু শেখের চায়না দুয়ারীতে ৩ কেজি ২শ গ্রাম ওজনের এ মাছটি ধরা পড়ে।

মাছটি বিক্রির উদ্দেশ্যে দৌলতদিয়া ঘাটের দুলাল চালাকের আড়তে আনা হলে মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ১১শ টাকা কেজি দরে মোট ৩ হাজার ৫২০ টাকায় মাছটি কিনে নেন। এসময় বিরল প্রজাতির অদ্ভুদ প্রকৃৃতির এ মাছটি দেখতে স্থানীয়রা সেখানে ভিড় করেন।

এই মাছটি সম্পর্কে ব্যবসায়ী শাহজাহান বলেন, এই মাছের প্রকৃত নাম বাওস হলেও স্থানীয়ভাবে আমরা এটাকে বাঙ্গোশ বলে থাকি। এ মাছ সাধারণত সমুদ্রে পাওয়া যায়। কিন্তু আষাঢ় ও শাওন মাসের দিকে মাঝে মাঝে পদ্মা নদীতে এটি ধরা পড়ে। এই মাছটির দ্বারা শারীরের ব্যাথা উপশম হয় এবং মাছটি খুবই সুস্বাদু। তাই মাছটি আমি বিক্রি না করে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে খাওয়ার জন্য রেখে দিয়েছি।

গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, আঞ্চলিক ভাষায় এটিকে বাঙ্গোশ বললেও মূলত বিরল প্রজাতির এই মাছের নাম বাওস। এটি সামুদ্রিক মাছ। সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে এ সব মাছ মাঝে মধ্যে ধরা পড়ে। বাওস মাছ প্রায় ২০ কেজি পর্যন্ত ওজনের হয়ে থাকে। এ মাছ অনেক সুস্বাদু ও দামি।

এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, এ ধরনের সামুদ্রিক মাছ বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির মধ্যে পড়ে। দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ সংরক্ষনের জন্য আমরা দৌলতদিয়ার কুশাহাটা এলাকায় তিনটি বদ্ধ জলমহালে অভয় আশ্রম করতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে অবহিত করেছি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

গোয়ালন্দে পদ্মায় ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির বাওস মাছ

প্রকাশের সময় : ০৭:৫০:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন ॥ পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে ৩ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি বিরল প্রজাতির বাওস মাছ ধরা পড়েছে। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ২ কিলোমিটার ভাটিতে চর কর্ণেশনা এলাকায় সৌখিন মাছ শিকারী বাচ্চু শেখের চায়না দুয়ারীতে ৩ কেজি ২শ গ্রাম ওজনের এ মাছটি ধরা পড়ে।

মাছটি বিক্রির উদ্দেশ্যে দৌলতদিয়া ঘাটের দুলাল চালাকের আড়তে আনা হলে মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ১১শ টাকা কেজি দরে মোট ৩ হাজার ৫২০ টাকায় মাছটি কিনে নেন। এসময় বিরল প্রজাতির অদ্ভুদ প্রকৃৃতির এ মাছটি দেখতে স্থানীয়রা সেখানে ভিড় করেন।

এই মাছটি সম্পর্কে ব্যবসায়ী শাহজাহান বলেন, এই মাছের প্রকৃত নাম বাওস হলেও স্থানীয়ভাবে আমরা এটাকে বাঙ্গোশ বলে থাকি। এ মাছ সাধারণত সমুদ্রে পাওয়া যায়। কিন্তু আষাঢ় ও শাওন মাসের দিকে মাঝে মাঝে পদ্মা নদীতে এটি ধরা পড়ে। এই মাছটির দ্বারা শারীরের ব্যাথা উপশম হয় এবং মাছটি খুবই সুস্বাদু। তাই মাছটি আমি বিক্রি না করে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে খাওয়ার জন্য রেখে দিয়েছি।

গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, আঞ্চলিক ভাষায় এটিকে বাঙ্গোশ বললেও মূলত বিরল প্রজাতির এই মাছের নাম বাওস। এটি সামুদ্রিক মাছ। সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে এ সব মাছ মাঝে মধ্যে ধরা পড়ে। বাওস মাছ প্রায় ২০ কেজি পর্যন্ত ওজনের হয়ে থাকে। এ মাছ অনেক সুস্বাদু ও দামি।

এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, এ ধরনের সামুদ্রিক মাছ বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির মধ্যে পড়ে। দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ সংরক্ষনের জন্য আমরা দৌলতদিয়ার কুশাহাটা এলাকায় তিনটি বদ্ধ জলমহালে অভয় আশ্রম করতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে অবহিত করেছি।