Dhaka ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দিতে মাংস বাজারের জায়গা দখলে ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৯২৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া বাজারের মাংস বাজারের টিনসেড ঘর দখল করে ব্যক্তিমালিকানাধীন মার্কেটের সিঁড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনকে বারংবার অবগত করলেও কোন ফল না পাওয়ায় মাংস ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

মাংস ব্যবসায়ীরা বলেন, নারুয়া বাজার মাংস বাজারের টিনসেড ঘরের পাশে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে হাবিবুর রহমান ও মুজিবুর রহমানের পুত্ররা মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কাজের শুরুতেই টিনসেড ঘরের লাগোয়া কাজ করতে থাকলে বিষয়টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ জনপ্রতিনিধিদেরকে অবগত করা হয়। তারপরও টিনসেড ঘরের চালের উপর দিয়েই ১ম তলা ভবনের ঢালাই দেওয়া হয়। নিছে সিড়ি দেওয়া হয়েছে মাংস বাজারের টিনসেড ঘরের মধ্যে দিয়ে। এতে করে ওই টিনসেট ঘরে ব্যবসা করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। মার্কেটের দ্বিতীয় তলার কাজও চলছে আরো বড় করে। কয়েকদফা তহশীলদার সেখানে আসলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাদের কাজ করার কারণে মাংস ঘরের টিনসেড ঘরটির চরম ক্ষতি সাধন হয়েছে। আমরা চাই দ্রুত প্রশাসন সরেজমিন তদন্তপুর্বক অবৈধ নির্মাণকৃত সিড়ি ও ছাদের কার্নিস/ সানসেট অপসারণ করতে।

মার্কেট নির্মাণকারী পিকুল মন্ডল বলেন, আমাদের যে জায়গা তার চেয়ে কম জায়গায় কাজ করছি। তহশীলদার, ইউএনও মহোদয় আমাদের জায়গা বুঝে দেওয়ার পর কাজ করছি।

নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, মাংস ব্যবসায়ীদের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকারী জায়গা যাতে মার্কেট নির্মাণ করা না হয় সেকারণে তাকে কয়েকবার ডাকা হলেও তিনি আসেননি। বিষয়টি বাজারের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও ব্যবসায়ী আকিদুল ইসলামকে তাদের ডেকে নিষেধ করতে বলা হয়। তাদের নিশেধ অমান্য করে কাজ করেছে।

নারুয়া ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা শংকর কুমার দাস বলেন, মার্কেটের সিড়িটি সরকারী মাংস পট্রির টিনসেট ঘরের মধ্যে দিয়ে নির্মাণ করেছেন। বিষয়টি ৫দিনের মধ্যে ভেঙ্গে নেওয়ার কথা রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা বলেন, নারুয়া ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তাকে দিয়ে সার্বক্ষনিক নজরদারীতে রাখা হয়েছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বালিয়াকান্দিতে মাংস বাজারের জায়গা দখলে ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ

প্রকাশের সময় : ০৭:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া বাজারের মাংস বাজারের টিনসেড ঘর দখল করে ব্যক্তিমালিকানাধীন মার্কেটের সিঁড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনকে বারংবার অবগত করলেও কোন ফল না পাওয়ায় মাংস ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

মাংস ব্যবসায়ীরা বলেন, নারুয়া বাজার মাংস বাজারের টিনসেড ঘরের পাশে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে হাবিবুর রহমান ও মুজিবুর রহমানের পুত্ররা মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কাজের শুরুতেই টিনসেড ঘরের লাগোয়া কাজ করতে থাকলে বিষয়টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ জনপ্রতিনিধিদেরকে অবগত করা হয়। তারপরও টিনসেড ঘরের চালের উপর দিয়েই ১ম তলা ভবনের ঢালাই দেওয়া হয়। নিছে সিড়ি দেওয়া হয়েছে মাংস বাজারের টিনসেড ঘরের মধ্যে দিয়ে। এতে করে ওই টিনসেট ঘরে ব্যবসা করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। মার্কেটের দ্বিতীয় তলার কাজও চলছে আরো বড় করে। কয়েকদফা তহশীলদার সেখানে আসলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাদের কাজ করার কারণে মাংস ঘরের টিনসেড ঘরটির চরম ক্ষতি সাধন হয়েছে। আমরা চাই দ্রুত প্রশাসন সরেজমিন তদন্তপুর্বক অবৈধ নির্মাণকৃত সিড়ি ও ছাদের কার্নিস/ সানসেট অপসারণ করতে।

মার্কেট নির্মাণকারী পিকুল মন্ডল বলেন, আমাদের যে জায়গা তার চেয়ে কম জায়গায় কাজ করছি। তহশীলদার, ইউএনও মহোদয় আমাদের জায়গা বুঝে দেওয়ার পর কাজ করছি।

নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, মাংস ব্যবসায়ীদের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকারী জায়গা যাতে মার্কেট নির্মাণ করা না হয় সেকারণে তাকে কয়েকবার ডাকা হলেও তিনি আসেননি। বিষয়টি বাজারের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও ব্যবসায়ী আকিদুল ইসলামকে তাদের ডেকে নিষেধ করতে বলা হয়। তাদের নিশেধ অমান্য করে কাজ করেছে।

নারুয়া ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা শংকর কুমার দাস বলেন, মার্কেটের সিড়িটি সরকারী মাংস পট্রির টিনসেট ঘরের মধ্যে দিয়ে নির্মাণ করেছেন। বিষয়টি ৫দিনের মধ্যে ভেঙ্গে নেওয়ার কথা রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা বলেন, নারুয়া ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তাকে দিয়ে সার্বক্ষনিক নজরদারীতে রাখা হয়েছে।