পাংশায় যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতন
- প্রকাশের সময় : ০৬:১৫:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১৫৮৭ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের শাহমীরপুর বাজারে রবিউল শেখ নামে এক ছোলা বুট বিক্রেতাকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে এ ঘটনা ঘটলেও বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে। রবিউল শেখ একই ইউনিয়নের শাহমীরপুর গ্রামের শহীদ আলী শেখের ছেলে। এঘটনায় রবিউল শেখের ভাই কালাম শেখ বৃহস্পতিবার পাংশা থানায় মামলা করেছেন।
ভুক্তভোগী রবিউল শেখ জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে শাহমীরপুর বাজারে বুট বিক্রি করছিলেন। এসময় একজন ক্রেতা এসে পাঁচ টাকার বুটভাজা চায়। বুটভাজা দিতে দেরি হওয়ায় তার সাথে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এঘটনার জের ধরে মুকুল মেম্বার, বাদশাসহ দুই তিনজন তাকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করেন। পরে পুলিশ এসে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
অভিযুক্ত হাবাসপুর ইউনিয়নের মেম্বার মুকুল হোসেন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমি কিছুই জানিনা। আমি রাজবাড়ী থেকে এসে শাহমীরপুর বাজারে বসে চা খাচ্ছিলাম। এসময় এলাকার কয়েক মুরুব্বি আমাকে একটি ছেলেকে দেখিয়ে বলেন, পাঁচ টাকার বিস্কুট কেনা নিয়ে এই ছেলেটিকে মেরেছে। দ্যাখো তো কিছু করা যায় কীনা? ছেলেটার বাড়ি বাহাদুরপুর। আমি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে ফোনে কথা বলে ছেলেটিকে ভ্যানে করে বাড়ি পাঠিয়ে দেই। পরে কয়েকজন ছেলেকে দেখি রবিউলকে গাছের সাথে বেঁধেছে। ওর চাচা সেখানে ছিল। তাকে বলি, ওকে নিয়ে যান। আমি এঘটনার সাথে জড়িত নই।
তিনি দাবি করেন, গ্রামে বালু বিক্রি বন্ধ করে দেওয়ায় একটি মহল তার প্রতি ক্ষুব্ধ। একারণে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
পাংশা থানার এসআই হুমায়ুন রেজা জানান, তিনিই গিয়ে ছেলেটিকে উদ্ধার করেন। এঘটনায় রবিউলের ভাই কালাম শেখ বাদী হয়ে ইউপি মেম্বার মুকুল হোসেন, তার ভাই, ভাতিজাসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার মামলাটি রেকর্ড হয়েছে।
পাংশা থানার ওসি একেএম শাহাদত হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।