বালিয়াকান্দিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের নিরাপত্তায় গ্রাম পুলিশ
- প্রকাশের সময় : ০৭:৫১:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১
- / ১২৬৭ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ভাস্কর্য-ম্যুরাল ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা। জানাগেছে, গত ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের আদেশে সারাদেশের জেলা-উপজেলাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য-ম্যুরালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এছাড়াও সিসি ক্যামেরা স্থাপন, গোয়েন্দা নিয়োগসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশে গৃহায়ন ও গণপুর্ত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ প্রধানের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। প্রতিবেদনে মোট ১হাজার ২২০টি ম্যুরাল তৈরীর কথা আছে। এরমধ্যে ১৯টি নির্মাণাধীন।
বালিয়াকান্দি উপজেলা সদরের উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল (গর্ব), উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে ও নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল। হাইকোর্টের নির্দেশের পর থেকেই নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদে ওই ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্য ও উপজেলা পরিষদ চত্বর ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন এলাকায় নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে বালিয়াকান্দি, ইসলামপুর, বহরপুর, জামালপুর ও জঙ্গল ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্যরা। দিনে ও রাতে শিফট ভাগ করে চলছে এ নিরাপত্তা কার্যক্রম।
বুধবার সকালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত গ্রাম পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা ৪মাস ধরে বেতন পাই না, ৬ মাস ধরে যাতায়াত ভাতা পাই না। তারপরও নির্দেশ পালন করছি। আমরা জঙ্গল ইউনিয়ন থেকে আসছি। যা উপজেলা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দুর। এ জন্য আমাদের নেই কোন অতিরিক্ত ভাতা, খাওয়ার কোন ব্যবস্থা, আমরা দাবী জানাচ্ছি আমাদের যেন এ দায়িত্ব পালনে সহায়তা প্রদান করা হয়। ভাস্কর্য নিরাপত্তা নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদেও ডিউটি করতে হচ্ছে।
নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদে নিরাপত্তায় নিয়োজিত রেজাউল ইসলাম বলেন, আমরা ইউনিয়ন পরিষদে ডিউটির পাশাপাশি শিফট হিসেবে ভাগ করে নিয়ে ২৪ঘন্টা পাহাড়া দিয়ে আসছি। ঠিক মতো বেতন-ভাতা না পাওয়ার কারণে সংসার পরিচালনা করতে হিমসীম খেতে হচ্ছে। সরকারী ভাবে আমাদের কোন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়নি। আমাদেরকে জাতীয়করণ ঘোষণার দাবী জানাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা বলেন, উপজেলার ৩টি ম্যুরালের নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করছে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা। তাদের নিয়মিত ডিউটির অংশ হিসেবেই এ দায়িত্ব পালন করছেন।