Dhaka ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেলা পরিষদ সদস্য মজনুর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা, নারী ইউপি সদস্যকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:২০:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ২১৪৩ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য ও কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনুর বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর আদালতে আরেকটি মামলা হয়েছে। মদাপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য বিউটি প্রামাণিক বাদী হয়ে মারধর ও শ্লীলতাহানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে রোববার রাজবাড়ীর ২ নং আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মজনুসহ মোট নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলো একেএম রোকনুজ্জামান, মঞ্জু শেখ. জিলাল মোল্লা, আবুল কাশেম, আরিফ ফকির, উজ্জ্বল প্রামানিক, লতিফ মহাজন ও শিহাব মহাজন। এদের বাড়ি মদাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, মদাপুর ইউনিয়নের সদস্যদের জোর  করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে আসামিরা গরীবের খয়রাতি  চাল আত্মসাৎ করে। তিনি এর প্রতিবাদ করায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। তিনি ভয়ে তার এক আত্মীয় বাড়িতে আত্মগোপন করেন। ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে আসামিরা তার বসত বাড়িতে  গিয়ে তাকে খুঁজতে থাকে। আসামিরা তার বাড়ির দুই সদস্যকে ছুরির ভয় দেখিয়ে তার অবস্থান জানতে চায়। তারা না বলায় বাড়িঘর ভাংচুর করে এবং নগদ টাকা স্বর্ণালংকার লুট করে। এক পর্যায়ে আসামিরা তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রাত ১২টার দিকে মোড়ারিখোলায় তার অবস্থান করা বাড়িতে যায়। ৪ নং আসামি জিলাল তাকে ডাক দিলে তিনি ঘুম থেকে উঠে ঘর খুলে দেন। তখন সব আসামি ঘরে ঢুকে পড়ে। আসামিরা তাকে ও তার শিশু সন্তানকে ঘর থেকে  বাইরে নিয়ে যায়। ওই সময় ১ ও ৪ নং আসামি তার শিশু সন্তানকে গলা টিপে ধরে এবং বলে সাদা কাগজে সই না করলে তার সন্তানকে অপহরণ করে নিয়ে মেরে ফেলবে। বাধ্য হয়ে তিনি সাদা কাগজে সই করেন। তার কাছে সীল না থাকায় তাকে বেদম মারধরও করে। তার ব্লাউজের মধ্যে লুকানো মোবাইল ফোনটিও আসামিরা নিয়ে নেয়। এরপর আসামিরা বলে, তুমি স্বেচ্ছায় সই করেছো বলে রেকর্ড করে দাও। নাহলে দুইজনকেই মেরে ফেলবো। তিনি ভয়ে তাও করেন। এ বিষয়ে তিনি ওই সময় রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার ও কালুখালী থানায় অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু আসামি বিশেষ ব্যক্তির কাছের লোক হওয়ায় কোনো প্রতিকার পাননি। একারণে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

আদালতের বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য কালুখালী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

জেলা পরিষদ সদস্য মজনুর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা, নারী ইউপি সদস্যকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৭:২০:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য ও কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনুর বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর আদালতে আরেকটি মামলা হয়েছে। মদাপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য বিউটি প্রামাণিক বাদী হয়ে মারধর ও শ্লীলতাহানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে রোববার রাজবাড়ীর ২ নং আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মজনুসহ মোট নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলো একেএম রোকনুজ্জামান, মঞ্জু শেখ. জিলাল মোল্লা, আবুল কাশেম, আরিফ ফকির, উজ্জ্বল প্রামানিক, লতিফ মহাজন ও শিহাব মহাজন। এদের বাড়ি মদাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, মদাপুর ইউনিয়নের সদস্যদের জোর  করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে আসামিরা গরীবের খয়রাতি  চাল আত্মসাৎ করে। তিনি এর প্রতিবাদ করায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। তিনি ভয়ে তার এক আত্মীয় বাড়িতে আত্মগোপন করেন। ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে আসামিরা তার বসত বাড়িতে  গিয়ে তাকে খুঁজতে থাকে। আসামিরা তার বাড়ির দুই সদস্যকে ছুরির ভয় দেখিয়ে তার অবস্থান জানতে চায়। তারা না বলায় বাড়িঘর ভাংচুর করে এবং নগদ টাকা স্বর্ণালংকার লুট করে। এক পর্যায়ে আসামিরা তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রাত ১২টার দিকে মোড়ারিখোলায় তার অবস্থান করা বাড়িতে যায়। ৪ নং আসামি জিলাল তাকে ডাক দিলে তিনি ঘুম থেকে উঠে ঘর খুলে দেন। তখন সব আসামি ঘরে ঢুকে পড়ে। আসামিরা তাকে ও তার শিশু সন্তানকে ঘর থেকে  বাইরে নিয়ে যায়। ওই সময় ১ ও ৪ নং আসামি তার শিশু সন্তানকে গলা টিপে ধরে এবং বলে সাদা কাগজে সই না করলে তার সন্তানকে অপহরণ করে নিয়ে মেরে ফেলবে। বাধ্য হয়ে তিনি সাদা কাগজে সই করেন। তার কাছে সীল না থাকায় তাকে বেদম মারধরও করে। তার ব্লাউজের মধ্যে লুকানো মোবাইল ফোনটিও আসামিরা নিয়ে নেয়। এরপর আসামিরা বলে, তুমি স্বেচ্ছায় সই করেছো বলে রেকর্ড করে দাও। নাহলে দুইজনকেই মেরে ফেলবো। তিনি ভয়ে তাও করেন। এ বিষয়ে তিনি ওই সময় রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার ও কালুখালী থানায় অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু আসামি বিশেষ ব্যক্তির কাছের লোক হওয়ায় কোনো প্রতিকার পাননি। একারণে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

আদালতের বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য কালুখালী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।