রাজবাড়ীতে যেন ‘ঈদ বাজার’ ॥ বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি
- প্রকাশের সময় : ০৭:১৮:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মে ২০২০
- / ১৪৫৪ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ সীমিত আকারে দোকানপাট খোলার সুযোগে রাজবাড়ীতে বিরাজ করছে যেন ঈদ বাজার। রোববার সকাল থেকেই রাজবাড়ী বাজারের বিভিন্ন দোকানপাটে উপচে পড়া ভিড়। সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে কাপড় বাজারে। সেলুনেও ভিড় ছিল বেশি। যেকারণে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এদিকে বাজারে ভিড় কমাতে গঠন করা হয়েছে বাজার মনিটরিং কমিটি।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে দীর্ঘ প্রায় ৪৫ দিন পর সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী রোববার খুলছে দোকানপাট। সকাল থেকেই বিভিন্ন দোকানে ভিড় লেগেই ছিল। শহরের রেলগেটে রিক্সা অটোরিক্সার যানজট লেগেই ছিল। সাধারণ মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়নি। তাদের মধ্যে ছিলনা করোনা সংক্রমণের কোনো ভয়। অনেকের মুখে দেখা যায়নি মাস্কও। সবচেয়ে বড় ঝুঁকির জায়গা সেলুনও খোলা হয়েছে। বাজারে ভিড় কমাতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিকে আহ্বায়ক করে গঠন করা হয়েছে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট বাজার মনিটরিং কমিটি। এ কমিচির পক্ষে সকাল থেকে রাজবাড়ী শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে মাইক স্থাপন করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। একজনের শরীর আরেকজনের সাথে ঘেঁষে তারা কেনাকাটা করছেন।
কয়েকজন দোকানদারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ক্রেতাদের দূরত্ব বজায় রাখতে তারা সব সময়ই বলছেন। কিন্তু তারা কথা শোনেনা।
বাজার মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শফি জানান, তারা সকাল থেকেই বাজারে অবস্থান নিয়েছেন। তারা সাধারণ মানুষ ক্রেতা সাধাণকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু বাজারে প্রচন্ড ভিড়। তাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন। আশা করি, কাল থেকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম সমকালকে বলেন, পুরো পরিস্থিতি দেখ্রা জন্য বাজারে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়েছে। তারা এসে রিপোর্ট দেয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে একই অবস্থা বিরাজ করছে বালিয়াকান্দিতেও। সকাল থেকে বালিয়াকান্দি বাজারের দোকান, মার্কেট, বিপনি বিতান গুলোতে মানুষের প্রচন্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলার নারুয়া বাজার, জামালপুর বাজার, বহরপুর বাজার, সোনাপুর বাজার, আড়কান্দি বাজার, রামদিয়া বাজার, বেরুলী বাজার, সমাধিনগর বাজারসহ ছোট বড় সকল হাট-বাজার গুলোর চিত্র ছিল একই রকম।