বালিয়াকান্দি ইউএনও’র অনন্য উদ্যোগ
- প্রকাশের সময় : ০৮:২৯:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫১৮ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ঃ ঘড়ির কাটায় তখন দুপুর পৌনে ১টা। নিস্তব্ধ। আশেপাশেও কোলাহল নেই। রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে গাড়ীর শব্দ। প্রশাসন থেকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। মনে কৌতুহল। তাই বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে গৃহকর্তা। কিছু ভেবে ওঠার আগেই বাড়িতে প্রবেশ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)এ কে এম হেদায়েতুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে খাদ্য সামগ্রী। এতে ৭ কেজি চাল, ৩ কেজি আটা, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি তেল, ১ কেজি লবণ, ৩কেজি আলু, ১কেজি করোলা, ১কেজি ঢেড়শ, ২৫০ গ্রাম কাচা মরিচ, ১টি মিষ্টি কুমড়া, ২ হালি কাচা কলা, ৩ হালি ডিম।
বালিয়াকান্দি উপজেলায় প্রথম করোনা (কোভিড-১৯) সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয় রোববার সন্ধ্যায়। তাঁর বাড়ি জঙ্গল ইউনিয়নে। সংক্রমিত হওয়া ছেলেটি তরুন। ছেলেটির পরিবারসহ আশেপাশের ১১টি পরিবার অবরুদ্ধ ঘোষনা করে উপজেলা প্রশাসন। বন্ধ ঘোষণা করা হয় স্থানীয় বাজার ও এলাকা। হঠাৎ করে অবরুদ্ধ ঘোষণা করা ১১টি পরিবারের খাদ্য সহায়তার কথা চিন্তা করে সোমবার দুপুরে ইউএনও প্রতিটি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ. আবুল কালাম আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় করোনা সংক্রমিক রোগী শনাক্ত হওয়ায় বালিয়াকান্দি উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। জঙ্গল বাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকার বাজার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলার সকল হাট ও পেঁয়াজ এর কাচাবাজার পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা। কাচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির বাজার সকাল ৮টা হতে সকাল ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। অতি জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত বাসা হতে বের হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইউএনও এ কে এম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, করোনা শনাক্ত হওয়ায় জঙ্গল ইউনিয়নের ১১টি পরিবারকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তাদের ঘরে থাকতে সমস্যা যেন না হয় সে কারনে ৭ দিনের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বাড়িতে পৌছে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতিতে আমাদের সবার উচিত ঘরে থাকা। তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হতে তিনি অনুরোধ করেন।