আশুলিয়ার ইপিজেড এ তৈরী হচ্ছে পিপিই
- প্রকাশের সময় : ০১:৪০:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ এপ্রিল ২০২০
- / ১৩৭৯ জন সংবাদটি পড়েছেন
আব্দুল্লাহ আল মারুফ, আশুলিয়া ঃ বিশ্বব্যাপী চরম আতংকের নাম এখন করোনা ভাইরাস। করোনার ভয়াল থাবায় এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে ৬০ হাজারের উপরে মানুষ মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছে ১০ লাখের উপরে, ইতিমধ্যে বিগত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম সনাক্ত হওয়া সহ এখন পর্যন্ত ৮৮ জন আক্রান্তের খবর দিয়েছে আইইডিসিআর। সুরক্ষা ব্যবস্থা তথা পিপিই এর সংকট থাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে অনিহা প্রকাশ করছেন ডাক্তাররা। সর্দি জ্বরের রোগী আসলে দেখতে চাচ্ছেন না তারা। এ অবস্থায় ডাক্তারদের সুরক্ষার জন্য বেপজা তৈরী করছে পিপিই।
বেপজার ঢাকা ইপিজেড এর মহাব্যবস্থাপক আবদুস সোবহান জানিয়েছেন, দেশের চিকিৎসাখাতের এ সংকট নিরসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি তত্বাবধানে পরিচালিত বেপজার অধীনস্ত ইপিজেড এর বিভিন্ন কারখানা শতভাগ গুনগত মান বজায় রেখে তৈরী করছে পিপিই। এর মধ্যে চট্টগ্রাম ইপিজেড ইতিমধ্যেই ডাক্তারদের ব্যবহারের জন্য ২ লক্ষ পিপিই সরকারকে প্রদান করেছে। ঢাকা ইপিজেডে আর ২টি কোম্পানীতে পিপিই তৈরীর কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমানে ঢাকা ইপিজেড (পুরাতন) এর ইয়াং ওয়ান এবং এল জেড ফ্যাশন লিমিটেড (নতুন ইপিজেড) এ পিপিইগুলো তৈরী করছে। ইয়াং ওয়ান এর তৈরী পিপিই সমুহ বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন এবং এল জেড ফ্যাশন লিমিটেড এর তৈরীকৃত পিপিই সমুহ বাংলাদেশ হার্ড ফাউন্ডেশনকে প্রদান করা হবে।
করোনার প্রাদুর্ভাব এর মধ্যেই শ্রমিকদের কারখানায় কর্মরত থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শতভাগ সুরক্ষা নিশ্চিত করেই কারখানাগুলো চালু রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত করোনার বিরুদ্ধে এ যুদ্ধে তারা যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছে। শ্রমিকের কারখানায় প্রবেশের সময় হ্যান্ডস্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া সহ তাদের তাপমাত্রা পরিক্ষা করেই কারখানায় প্রবেশ করানো হয় এছাড়া প্রত্যেককে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। কাউকে জোর জবরদস্তি করে কারখানায় কাজ করতে বলা হয়নি, যারা এই যুদ্ধে শরীক হতে চায় তারা স্বেচ্ছা প্রনোদিত হয়েই কারখানায় এসেছে।