ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে গেলে সেটা গণতন্ত্রের জন্য চরম বিপদ -রাজবাড়ীতে রাশে খান মেনন
- প্রকাশের সময় : ০৮:০৩:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / ১৬৬৬ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন॥ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, বাংলার মানুষ ভোটকে রক্ষার জন্য জীবন দিয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। যেই বাংলার মানুষ ভোটকে উৎসব মনে করে। সেই বাংলার মানুষের ভোটের প্রতি আগ্রহ নাই কেন? এই নির্বাচন নিয়ে আমি কথা বলেছিলাম। তার জন্য আমার বিরুদ্ধে প্রচন্ড কুৎসা রটানো হয়েছিল। আমার কথায় প্রমাণিত এই বাংলাদেশ আজকে আর ভোটের জায়গায় নেই। আমরা আওয়ামী লীগের সাথে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। ভোটের অধিকার ছিনিয়ে এনেছি। আজকে কেন মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবেন নাÑ সেটা খুঁজে বের করতে হবে। ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে গেলে সেটা গণতন্ত্রের জন্য চরম বিপদ। আজকে সকল গণতান্ত্রিক দল, আওয়ামী লীগ এবং নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানাবো ভোটের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনুন। সংগ্রামী জনগণকে আহ্বান জানাবো আপনাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনুন। নির্বাচন হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হলো। আমিও নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘুরেছি। মাত্র ২০ থেকে ২৫ ভাগ ভোট পড়েছে। যা খুব হতাশাজনক।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্ব গতিরোধ, দেশে ক্রমবর্ধমান বৈষম্য ও অর্থনৈতিক লুটপাট বন্ধ করা, ধানসহ কৃষকের ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ, সন্ত্রাস সাম্প্রদায়িকতা দুর্নীতি জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ সহ ওয়ার্কার্স পার্টির ২১ দফা কর্মসূচী বাস্তবায়নের দাবিতে রাজবাড়ী জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির আয়োজনে শনিবার বিকেলে রাজবাড়ী রেলগেট শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি চত্ত্বরে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ওয়াদা করেছিল প্রতি ঘরে ঘরে যুবকদের চাকরী দেবে। কিন্তু সরকার তাদের কথা রাখেনি। যেই যুবকরা পড়াশোনা শেষ করে চাকরীর নিশ্চয়তা পায়না। আজ বাংলাদেশে ১ কোটি ৬ লাখ মানুষ বেকার। বাংলার যুবকের চাকরী নাই। ওই বেকার যুবক তখন জমিজমা বিক্রি করে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করে। নারী কর্মীরা নিগৃহীত হয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। নাহলে ওই মরুভূমিতে কাজ না পেয়ে ঘুরে বেড়ায়। ওই বর্বররা আমার দেশের মা বোনেদের ইজ্জত লুন্ঠন করে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে উন্নয়নের পথে। কোন সন্দেহ নাই। গত ১০ বছর আমরা আওয়ামী লীগের সাথে থেকে সেই উন্নয়নের অংশীদার। কিন্তু সাধারণ মানুষ যদি উন্নয়নের সুফল ভোগ না করে তাহলে জোট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে হবে।
সুন্দরবন যদি ধ্বংস হয় তাহলে পরিবেশ বিপর্যয় হবে। সুন্দরবন ধ্বংস হলে বাংলাদেশ ধ্বংস হবে। সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে।
রাজবাড়ী জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জ্যোতিশংকর ঝন্টুর সভাপতিত্বে অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন সংগঠনের পলিটব্যুরোর সদস্য আনিচুর রহমান মল্লিক, দীপঙ্কর সাহা, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, আরমান আলী, মওলা বক্স, গোলাম কাদের, মনিরুজ্জামান সালাম প্রমুখ।