Dhaka ০৪:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেরি থেকে পড়ে নিখোঁজ রুকাইয়ার লাশ পাওয়া গেছে

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৬:২৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৮
  • / ১৫৯৭ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিখোঁজের ৫৬ ঘন্টা পর পদ্মায় ভেসে ওঠে ফেরিযাত্রী শিশু রুকাইয়ার লাশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাট এলাকা থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে গত সোমবার দিনগত রাতে দৌলতদিয়ার ৩ নম্বর ঘাটে ভিরে থাকা ফেরি রজনীগন্ধা থেকে নদীতে পড়ে শিশুটি নিখোঁজ হয়। সে ঝিনাইদহের শৈলকোপা এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মো. সেলিম মিয়ার মেয়ে।

দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ মামীকে চিকিৎসা করাতে গত সোমবার দিনগত রাতে শিশু রুকাইয়া তাঁর মা-বাবাসহ পরিবাবের অপর কয়েকজনের সঙ্গে মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় যাচ্ছিল। পথে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ পাড়ি দিতে ওই রাত ২টার দিকে তারা গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পৌছায়। এসময় তাদের বয়ে আনা মাইক্রোবাসটি ৩ নম্বর ফেরিঘাটে ভিরে থাকা রজনীগন্ধা নামে একটি ইউটিলিটি ফেরিতে গিয়ে ওঠে। ফেরিটি ছেড়ে যাওয়ার আগে মাইক্রোবাস থেকে নেমে শিশু রুকাইয়া তাঁর মায়ের হাত ধরে ফেরির ভিতরে থাকা টয়লেটের সামনে যায়। সেখানে রুকাইয়াকে একা দাঁড় করিয়ে রেখে তাঁর মা জেসমিন আক্তার টয়লেটে যান। এ সুযোগে শিশু রুকাইয়া টয়লেটের সামনে থেকে ঘাটপন্টুনে নামিয়ে রাখা ফেরিটির র‌্যামের (ডালা) পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। এসময় পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা অপর একটি রো রো (বড়) ফেরি এসে ঘাটে ভিরে থাকা ফেরি রজনীগন্ধাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে র‌্যামের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিশু রুকাইয়া রাতের অন্ধকারে ফেরি থেকে ছিটকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়। পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করতে ওই রাতেই পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয় কয়েকজন নদীতে নেমে ওই ঘাটপন্টুন এলাকায় তল্লাশি চালান। পরদিন মঙ্গলবার ভোরে খবর পেয়ে রাজবাড়ীর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একদল ডুবুরি ঘটনাস্থলে পৌছে সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তারা উদ্ধার তৎপরতা চালায়। কিন্তু নিখোঁজ রুকাইয়ার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় নিখোঁজের ৫৬ ঘন্টা পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে নিখোঁজ শিশুটির লাশ ভেসে থাকতে দেখে এলাকার লোকজন। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানিয়ে তারা গোয়ালন্দ ঘাট থানা ও দৌলতদিয়া ঘাট নৌপুলিশ ফাঁড়িতে খবর পাঠায়। পরে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পদ্মায় ভেসে থাকা শিশু রুকাইয়ার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ফেরি থেকে নদীতে পড়ে শিশুটি নিখোঁজ হয়। অনেক চেষ্টা চালিয়েও তাঁর কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনার ৫৬ ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার পদ্মায় ভেসে ওঠা শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর মা-বাবার কাছে খবর পাঠানো হয়েছে।’ তবে ফেরি থেকে পড়ে নদীতে ডুবে যাওয়ায় শিশু রুকাইয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

ফেরি থেকে পড়ে নিখোঁজ রুকাইয়ার লাশ পাওয়া গেছে

প্রকাশের সময় : ০৬:২৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৮

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিখোঁজের ৫৬ ঘন্টা পর পদ্মায় ভেসে ওঠে ফেরিযাত্রী শিশু রুকাইয়ার লাশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাট এলাকা থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে গত সোমবার দিনগত রাতে দৌলতদিয়ার ৩ নম্বর ঘাটে ভিরে থাকা ফেরি রজনীগন্ধা থেকে নদীতে পড়ে শিশুটি নিখোঁজ হয়। সে ঝিনাইদহের শৈলকোপা এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মো. সেলিম মিয়ার মেয়ে।

দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ মামীকে চিকিৎসা করাতে গত সোমবার দিনগত রাতে শিশু রুকাইয়া তাঁর মা-বাবাসহ পরিবাবের অপর কয়েকজনের সঙ্গে মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় যাচ্ছিল। পথে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ পাড়ি দিতে ওই রাত ২টার দিকে তারা গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পৌছায়। এসময় তাদের বয়ে আনা মাইক্রোবাসটি ৩ নম্বর ফেরিঘাটে ভিরে থাকা রজনীগন্ধা নামে একটি ইউটিলিটি ফেরিতে গিয়ে ওঠে। ফেরিটি ছেড়ে যাওয়ার আগে মাইক্রোবাস থেকে নেমে শিশু রুকাইয়া তাঁর মায়ের হাত ধরে ফেরির ভিতরে থাকা টয়লেটের সামনে যায়। সেখানে রুকাইয়াকে একা দাঁড় করিয়ে রেখে তাঁর মা জেসমিন আক্তার টয়লেটে যান। এ সুযোগে শিশু রুকাইয়া টয়লেটের সামনে থেকে ঘাটপন্টুনে নামিয়ে রাখা ফেরিটির র‌্যামের (ডালা) পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। এসময় পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা অপর একটি রো রো (বড়) ফেরি এসে ঘাটে ভিরে থাকা ফেরি রজনীগন্ধাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে র‌্যামের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিশু রুকাইয়া রাতের অন্ধকারে ফেরি থেকে ছিটকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়। পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করতে ওই রাতেই পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয় কয়েকজন নদীতে নেমে ওই ঘাটপন্টুন এলাকায় তল্লাশি চালান। পরদিন মঙ্গলবার ভোরে খবর পেয়ে রাজবাড়ীর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একদল ডুবুরি ঘটনাস্থলে পৌছে সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তারা উদ্ধার তৎপরতা চালায়। কিন্তু নিখোঁজ রুকাইয়ার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় নিখোঁজের ৫৬ ঘন্টা পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে নিখোঁজ শিশুটির লাশ ভেসে থাকতে দেখে এলাকার লোকজন। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানিয়ে তারা গোয়ালন্দ ঘাট থানা ও দৌলতদিয়া ঘাট নৌপুলিশ ফাঁড়িতে খবর পাঠায়। পরে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পদ্মায় ভেসে থাকা শিশু রুকাইয়ার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ফেরি থেকে নদীতে পড়ে শিশুটি নিখোঁজ হয়। অনেক চেষ্টা চালিয়েও তাঁর কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনার ৫৬ ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার পদ্মায় ভেসে ওঠা শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর মা-বাবার কাছে খবর পাঠানো হয়েছে।’ তবে ফেরি থেকে পড়ে নদীতে ডুবে যাওয়ায় শিশু রুকাইয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান।