Dhaka ০২:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাইফের ওপর হামলার ঘটনায় এবার এক নারী গ্রেপ্তার

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫৪:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 32

বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় এবার গ্রেপ্তার হলেন এক নারী। পিটিআইয়ের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সোমবার নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালায় মুম্বাই পুলিশ। অবশেষে চাপড়া অঞ্চল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক নারীকে। পুলিশের দাবি, ওই নারীর সঙ্গে সাইফের ওপর হামলাকারীর সংযোগ রয়েছে।

ওই নারীর সাহায্যেই নাকি বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসেছিলেন সাইফের হামলাকারী শরিফুল। সেই নারী মুর্শিদাবাদের আন্দুলিয়ার বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে মুম্বাই নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

১৬ জানুয়ারি মধ্যরাতে নিজের বাড়িতেই সাইফ আলি খানকে আক্রমণ করেন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি।

এলোপাতাড়ি কোপানো হয় নায়ককে। যদিও এ ঘটনার প্রায় পুরোটাই সবার জানা এখন। এই ভয়ংকর কাণ্ডের পর বেশ কয়েক দিন হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন সাইফ। এখন অনেকটাই সুস্থ।

বাড়ি ফিরেছেন অভিনেতা। ইতিমধ্যেই সেই রাতের ঘটনা নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। কিন্তু বুধবার মধ্যরাতে কী ঘটেছিল তা সঠিক একমাত্র সাইফই বলতে পারতেন। কারণ, সে রাতে ওই পরিস্থিতিতে তিনিই মোকাবেলা করেছিলেন হামলাকারীকে। বাড়ি ফিরে পুলিশের কাছে সেই রাতের ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনাও দিয়েছেন সাইফ।

২৩ জানুয়ারির সন্ধ্যায় নিজের বক্তব্য পুলিশকে জানিয়েছেন অভিনেতা। সাইফ তার বয়ানে জানান, সেই রাতে তখন তিনি আর কারিনা ছিলাম ১১ তলায় নিজেদের শোবার ঘরে। রাতে আচমকাই শুনতে পান ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরের চিত্‍কার। ছেলের চিত্‍কার শুনে সঙ্গে সঙ্গে তার ঘরে যান সাইফ এবং কারিনা। সেখানেই ছিলেন হামলাকারী। গৃহকর্মীও ভয়ে পেয়ে চিত্‍কার করছিলেন। আর ভয়ংকর কাঁদছিলেন সাইফের ছোট ছেলে জেহ। তখনই সেই হামলাকারীকে থামানোর চেষ্টা করেন তিনি। সেই ব্যক্তি সাইফের পিঠে, ঘাড়ে এবং হাতে বেশ কয়েকবার ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এরপর বড় ছেলে ইব্রাহিমের হাত ধরেই হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন সাইফ।

এদিকে সাইফের ওপর হামলার ঘটনায় নিত্যনতুন তথ্য সামনে আসছে। বাড়ছে বিভ্রান্তি। হামলার সন্দেহে আটক শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সদ্যই সাইফের ঘটনায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিপোর্টে নতুন চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, শরিফুল ইসলাম শেহজাদ কি আদৌ সাইফ আলী খানের হামলাকারী? ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, মহারাষ্ট্র সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিভাগের রিপোর্ট বলছে, সাইফের বাড়ি থেকে হামলাকারীর যে ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গিয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে শরিফুলের আঙুলের ছাপের কোনো মিল নেই। মহারাষ্ট্র সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে রীতিমতো চমকপ্রদ তথ্য এসেছে। বলা হচ্ছে, সাইফের বাড়ি থেকে পাওয়া নমুনার একটাও মিলছে না শরিফুলের সঙ্গে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে আদৌ শরিফুলই সাইফের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন তো? আপাতত মুম্বাই পুলিশও ব্যস্ত সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে।

 

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

সাইফের ওপর হামলার ঘটনায় এবার এক নারী গ্রেপ্তার

প্রকাশের সময় : ১২:৫৪:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় এবার গ্রেপ্তার হলেন এক নারী। পিটিআইয়ের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সোমবার নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালায় মুম্বাই পুলিশ। অবশেষে চাপড়া অঞ্চল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক নারীকে। পুলিশের দাবি, ওই নারীর সঙ্গে সাইফের ওপর হামলাকারীর সংযোগ রয়েছে।

ওই নারীর সাহায্যেই নাকি বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসেছিলেন সাইফের হামলাকারী শরিফুল। সেই নারী মুর্শিদাবাদের আন্দুলিয়ার বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে মুম্বাই নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

১৬ জানুয়ারি মধ্যরাতে নিজের বাড়িতেই সাইফ আলি খানকে আক্রমণ করেন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি।

এলোপাতাড়ি কোপানো হয় নায়ককে। যদিও এ ঘটনার প্রায় পুরোটাই সবার জানা এখন। এই ভয়ংকর কাণ্ডের পর বেশ কয়েক দিন হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন সাইফ। এখন অনেকটাই সুস্থ।

বাড়ি ফিরেছেন অভিনেতা। ইতিমধ্যেই সেই রাতের ঘটনা নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। কিন্তু বুধবার মধ্যরাতে কী ঘটেছিল তা সঠিক একমাত্র সাইফই বলতে পারতেন। কারণ, সে রাতে ওই পরিস্থিতিতে তিনিই মোকাবেলা করেছিলেন হামলাকারীকে। বাড়ি ফিরে পুলিশের কাছে সেই রাতের ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনাও দিয়েছেন সাইফ।

২৩ জানুয়ারির সন্ধ্যায় নিজের বক্তব্য পুলিশকে জানিয়েছেন অভিনেতা। সাইফ তার বয়ানে জানান, সেই রাতে তখন তিনি আর কারিনা ছিলাম ১১ তলায় নিজেদের শোবার ঘরে। রাতে আচমকাই শুনতে পান ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরের চিত্‍কার। ছেলের চিত্‍কার শুনে সঙ্গে সঙ্গে তার ঘরে যান সাইফ এবং কারিনা। সেখানেই ছিলেন হামলাকারী। গৃহকর্মীও ভয়ে পেয়ে চিত্‍কার করছিলেন। আর ভয়ংকর কাঁদছিলেন সাইফের ছোট ছেলে জেহ। তখনই সেই হামলাকারীকে থামানোর চেষ্টা করেন তিনি। সেই ব্যক্তি সাইফের পিঠে, ঘাড়ে এবং হাতে বেশ কয়েকবার ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এরপর বড় ছেলে ইব্রাহিমের হাত ধরেই হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন সাইফ।

এদিকে সাইফের ওপর হামলার ঘটনায় নিত্যনতুন তথ্য সামনে আসছে। বাড়ছে বিভ্রান্তি। হামলার সন্দেহে আটক শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সদ্যই সাইফের ঘটনায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিপোর্টে নতুন চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, শরিফুল ইসলাম শেহজাদ কি আদৌ সাইফ আলী খানের হামলাকারী? ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, মহারাষ্ট্র সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিভাগের রিপোর্ট বলছে, সাইফের বাড়ি থেকে হামলাকারীর যে ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গিয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে শরিফুলের আঙুলের ছাপের কোনো মিল নেই। মহারাষ্ট্র সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে রীতিমতো চমকপ্রদ তথ্য এসেছে। বলা হচ্ছে, সাইফের বাড়ি থেকে পাওয়া নমুনার একটাও মিলছে না শরিফুলের সঙ্গে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে আদৌ শরিফুলই সাইফের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন তো? আপাতত মুম্বাই পুলিশও ব্যস্ত সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে।