প্রবাসীদের আলাদা এনআইডি গাইডলাইনের কথা ভাবছে ইসি
- প্রকাশের সময় : ১১:৫৯:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
- / 7
প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা সংশ্লিষ্ট দেশে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলেও নেই কোনো গাইডলাইন। ফলে কেবল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের আলোকেই চলছে কার্যক্রম।
এতে হাজার হাজার প্রবাসী এনআইডি সংশোধনসহ সেবা গ্রহণে পড়ছেন ভোগান্তিতে। তাই সেবা কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত এবার গাইডলাইন করার কথা ভাবছে সংস্থাটি।
ইসি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বর্তমানে সাতটি দেশের প্রবাসীদের সংশ্লিষ্ট দেশেই এনআইডি সেবা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশি নাগরিকদের আধিক্য রয়েছে এমন মোট ৪০টি দেশে কার্যক্রমটির বিস্তার করার পরিকল্পনা করছে। তবে কোনো গাইডলাইন না থাকায় সেবা কার্যক্রমের পুরো সুবিধা পাচ্ছেন না নাগরিকরা।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকেও কর্মকর্তারা কমিশনের কাছে পৃথক গাইডলাইনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। কর্মকর্তারা এতে বিদেশে দূতাবাসগুলোতে এনআইডির জন্য লোকবল নিয়োগ, সেবা চার্জ নির্ধারণের প্রস্তাব করেন।
গাইডলাইনের বিষয়ে ইসির এনআইডি শাখার মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুনী কবীর বলেন, প্রবাসীদের ব্যাপারটা একটা আলাদা বিষয়। এজন্য আমার মনে হয় এটা বিবেচনা করার দাবি রাখে। কি হবে সেটা নির্ভর করবে উনাদের (সেবাগ্রহীতা) চাহিদাটা কি রকম তার ওপর এবং সমস্যাগুলো কোথায় সেগুলো অ্যাড্রেস করতে হবে। অ্যাড্রেস করে কমিশনের সিদ্ধান্তসহ সবকিছু মিলিয়ে এটা করা হবে। তবে এখনি চূড়ান্ত কিছু বলবো না। আমি মনে করি, এটা বিবেচনা করা উচিত।
জানা গেছে, বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, কুয়েত, কাতার, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়ায় স্মার্টকার্ড বিতরণ উদ্বোধনও হয়েছে। পরবর্তীতে ওমান, বাহরাইন, জর্দান, সিঙ্গাপুর, লেবানন, লিবিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালদ্বীপে এনআইডি কার্যক্রম হাতে নেওয়ার কথা রয়েছে। এরপর অন্যান্য দেশেও হাতে নেওয়া হবে এই কার্যক্রম।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা পেয়ে কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৯ সালে প্রবাসে এনআইডি সরবরাহের উদ্যোগটি হাতে নেয়। এরপর ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অনলাইনের ভোটার করে নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করে ইসি।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীদের মাঝে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। তার আগে একই বছর ৫ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার অংশ হিসেবে অনলাইনে আবেদন নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এরপর সৌদি আবর, সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপে থাকা বাংলাদেশিদের জন্যও এ সুযোগ চালু করা হয়।
সে সময় অনলাইনে আবেদন নিয়ে সেই আবেদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপজেলা থেকে যাচাই করে সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট দেশে দূতাবাস থেকে এনআইডি সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল। এরপর করোনা মহামারির কারণে থমকে যায় দূতাবাসের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা।
পরবর্তীতে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই কার্যক্রমকে ফের উজ্জীবিত করেন। এক্ষেত্রে আগের আবেদনগুলো পাশ কাটিয়ে নতুন করে কার্যক্রম শুরু করেন তারা। বর্তমানে সেভাবেই কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।