Dhaka ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার ৫টি লক্ষীপেঁচার শাবককে বাঁচালেন সাংবাদিক লিটন চক্রবর্তী

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৬:০০:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 19

এবার পাঁচটি লক্ষীপেঁচার শাবককে বাঁচালেন সাংবাদিক লিটন চক্রবর্তী। বর্তমানে তিনি মাতৃহীন শাবক পাঁচটিকে লালন পালন করছেন। লিটন চক্রবর্তী রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দা টিএন্ডটি পাড়ার বাসিন্দা। রাজবাড়ী রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি তিনি।

লিটন চক্রবর্তী জানান, পশু-পাখির প্রতি তার রয়েছে অগাধ ভালোবাসা। গত শনিবার তার এক বন্ধু তাকে জানায় বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের আশাপুর এলাকার একটি জুট মিলের টয়লেটের ওপরে পাঁচটি লক্ষীপেচার শাবক দেখতে পেয়েছে। কিন্তু তাদের মা সাথে নেই। কয়েকদিন ধরে শাবকগুলো না খেতে পেরে কাহিল হয়ে পড়েছে। একথা শুনে তিনি সেখানে ছুটে গিয়ে শাবক পাঁচটিকে বাড়ি নিয়ে আসেন। শাবকগুলো এখনও ওড়া শেখেনি। এক মাসের মত বয়স হবে। পেঁচার খাবার সম্পর্কে ধারণা নিয়ে ওদেরকে ছোট ছোট মাছ টুকরো টুকরো করে কেটে খাওয়াচ্ছেন। ওরা পোকা মাকড় খায়। কিন্তু পোকা মাকড় সংগ্রহ করতে না পারায় মাছই খাওয়াচ্ছেন। ওদেরকে একটি খাঁচায় রেখে তাদের আরামঘরের কক্ষে রাখা হয়েছে। দিনের বেলায় শাবকগুলোকে রোদে দেওয়া হয় আলো বাতাস পাওয়ার জন্য। রাতে খাঁচার উপর কম্বল জড়িয়ে দেওয়া হয় যাতে ঠান্ডা না লাগে। শাবকগুলো ওড়া শিখলেই দের মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেওয়া হবে। যেখানে ওদের ঠিকানা ওরা সেখানে চলে যাবে।

তিনি আরও জানান, পশু-পাখির মত অগাধ ভালোবাসা থেকেই ওদের সমস্যা দেখলে এগিয়ে যান। লালন পালন করেন।

ইতিপূর্বে তিনি অসুস্থ ঈগল পাখি উদ্ধার করে সুস্থ হওয়ার পর সেটি মুক্ত আকাশে ছেড়ে দিয়েছিলেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

এবার ৫টি লক্ষীপেঁচার শাবককে বাঁচালেন সাংবাদিক লিটন চক্রবর্তী

প্রকাশের সময় : ০৬:০০:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

এবার পাঁচটি লক্ষীপেঁচার শাবককে বাঁচালেন সাংবাদিক লিটন চক্রবর্তী। বর্তমানে তিনি মাতৃহীন শাবক পাঁচটিকে লালন পালন করছেন। লিটন চক্রবর্তী রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দা টিএন্ডটি পাড়ার বাসিন্দা। রাজবাড়ী রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি তিনি।

লিটন চক্রবর্তী জানান, পশু-পাখির প্রতি তার রয়েছে অগাধ ভালোবাসা। গত শনিবার তার এক বন্ধু তাকে জানায় বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের আশাপুর এলাকার একটি জুট মিলের টয়লেটের ওপরে পাঁচটি লক্ষীপেচার শাবক দেখতে পেয়েছে। কিন্তু তাদের মা সাথে নেই। কয়েকদিন ধরে শাবকগুলো না খেতে পেরে কাহিল হয়ে পড়েছে। একথা শুনে তিনি সেখানে ছুটে গিয়ে শাবক পাঁচটিকে বাড়ি নিয়ে আসেন। শাবকগুলো এখনও ওড়া শেখেনি। এক মাসের মত বয়স হবে। পেঁচার খাবার সম্পর্কে ধারণা নিয়ে ওদেরকে ছোট ছোট মাছ টুকরো টুকরো করে কেটে খাওয়াচ্ছেন। ওরা পোকা মাকড় খায়। কিন্তু পোকা মাকড় সংগ্রহ করতে না পারায় মাছই খাওয়াচ্ছেন। ওদেরকে একটি খাঁচায় রেখে তাদের আরামঘরের কক্ষে রাখা হয়েছে। দিনের বেলায় শাবকগুলোকে রোদে দেওয়া হয় আলো বাতাস পাওয়ার জন্য। রাতে খাঁচার উপর কম্বল জড়িয়ে দেওয়া হয় যাতে ঠান্ডা না লাগে। শাবকগুলো ওড়া শিখলেই দের মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেওয়া হবে। যেখানে ওদের ঠিকানা ওরা সেখানে চলে যাবে।

তিনি আরও জানান, পশু-পাখির মত অগাধ ভালোবাসা থেকেই ওদের সমস্যা দেখলে এগিয়ে যান। লালন পালন করেন।

ইতিপূর্বে তিনি অসুস্থ ঈগল পাখি উদ্ধার করে সুস্থ হওয়ার পর সেটি মুক্ত আকাশে ছেড়ে দিয়েছিলেন।