সেন্টমার্টিন নিয়ে যা বললেন পর্যটন উপদেষ্টা
- প্রকাশের সময় : ১০:২৬:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
- / ১০২০ জন সংবাদটি পড়েছেন
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বিআইসিসিতে এশিয়ান আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
পর্যটন উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। শুধু পর্যটন দেখলেই চলবে না; আগে দ্বীপের অস্তিত্ব রক্ষা, তারপর ব্যবসা, তারপর অন্যকিছু। এই বাস্তবতা আমাদের মানতেই হবে।’
সেন্টমার্টিনে পর্যটক সংকট চলছে, কীভাবে সেটা চাঙা করা যাবে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আসলে এটা প্রবাল দ্বীপ। ধারণ ক্ষমতার বাইরে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের পদভারে দ্বীপটির পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানির নিচে পলিথিনের স্তর জমতে জমতে এমন অবস্থা হয়ে গেছে এখন সেটাকে বলা যাবে পলিদ্বীপ। এভাবে চলতে থাকলে কী পরিণতি হতে পারে, সেটা ভেবে দেখতে হবে। শুধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখলেই কী হবে? আসলে আমাদের উচিত এখন এগুলো স্টাডি করা, রিসার্চ করা, তারপর ডেভেলপে হাত দেয়া। আমি সারা জীবন যেখানেই কাজ করেছি, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে হাত দিয়েছি। এখানেও আমি সেভাবেই কাজ করব।’
সেন্টমার্টিনের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের বিষয়ে হাসান আরিফ বলেন, ‘ওই দ্বীপে কতজন ব্যবসায়ী থাকার কথা, কতজন ছিল, সেটা আগে দেখতে হবে। সেখানে কারা কীভাবে কতদিন ছিলেন, এখন কারা ব্যবসায়ী হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত বা পুনর্বাসনের প্রশ্ন তুলছেন, সেটা দেখতে হবে।’
উল্লেখ্য, দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণে এখন থেকে পর্যটকদের ট্রাভেল পাস নিতে হবে। যাদের ট্রাভেল পাস থাকবে তারাই দ্বীপটিতে ভ্রমণে যেতে পারবেন।
এ ছাড়া ভ্রমণকারীরা সঙ্গে করে পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্য নিতে পারবেন না এবং পর্যটকরা কোন হোটেলে অবস্থান করবেন তার তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে একটি কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরির্তন মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সাবরীনা রহমানের সই করা এক আদেশে এসব তথ্য জানানো হয়