Dhaka ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেমিকের সাথে কিশোরীর পলায়ন \ হামলার শিকার প্রতিবেশি

কালুখালী/পাংশা প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১০৪৪ জন সংবাদটি পড়েছেন

 প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেছে এক কিশোরী। এই ক্ষোখে প্রেমিকের বন্ধুর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে কিশোরীর ভাই। এসময় চারজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের গৌরাঙ্গপুর গ্রামে। হামলায় আহতরা হলো মুক্তার হোসেনের স্ত্রী  জাহেদা বেগম (৬০), মেঝ ছেলে আলমগীর মন্ডল (২৪), পুত্রবধূ রূপালী বেগম (২১), ছোট ছেলে জাহিদ মন্ডল (২২) ও ভাস্তে ফাহিম (১৭)। তারা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল ও অন্যরা ফরিদপুর মেডিকেল হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় মো. মুক্তার হোসেন বাদী হয়ে কালুখালী থানার মামলা দায়ের করেছেন।

জানা যায়, গত শুক্রবার গভীর রাতে ওই গ্রামের এক কিশোরী পাশের গ্রামের সলিম ইসলামের ছেলে খাইরুল ইসলামের সাথে পালিয়ে যায়। কিশোরীর ভাই আব্দুল মতিনের ধারনা খাইরুলের বন্ধু জাহিদ তাদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে। একারণে মতিন দলবল নিয়ে জাহিদ মন্ডলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারধর ও ভাংচুর করে।

জাহিদের পিতা মুক্তার হোসেন বলেন, মতিনের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জন সন্ত্রাসী আমার বাড়িতে হামলা করে। তারা আমার বাড়িসহ পাশের কয়েকটি বাড়িতে ভাংচুর চালিয়েছে। তাদের কাছে থাকা দেশীয় তৈরি রামদা, ছেন-দা,চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড, হকস্টিক দিয়ে আমার স্ত্রী, দুই ছেলে, এক পুত্রবধূ,নাতনী ও শ্যালকের ছেলে কে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করেছে। তারা ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে গেছে।

কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলা দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

প্রেমিকের সাথে কিশোরীর পলায়ন \ হামলার শিকার প্রতিবেশি

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

 প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেছে এক কিশোরী। এই ক্ষোখে প্রেমিকের বন্ধুর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে কিশোরীর ভাই। এসময় চারজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের গৌরাঙ্গপুর গ্রামে। হামলায় আহতরা হলো মুক্তার হোসেনের স্ত্রী  জাহেদা বেগম (৬০), মেঝ ছেলে আলমগীর মন্ডল (২৪), পুত্রবধূ রূপালী বেগম (২১), ছোট ছেলে জাহিদ মন্ডল (২২) ও ভাস্তে ফাহিম (১৭)। তারা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল ও অন্যরা ফরিদপুর মেডিকেল হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় মো. মুক্তার হোসেন বাদী হয়ে কালুখালী থানার মামলা দায়ের করেছেন।

জানা যায়, গত শুক্রবার গভীর রাতে ওই গ্রামের এক কিশোরী পাশের গ্রামের সলিম ইসলামের ছেলে খাইরুল ইসলামের সাথে পালিয়ে যায়। কিশোরীর ভাই আব্দুল মতিনের ধারনা খাইরুলের বন্ধু জাহিদ তাদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে। একারণে মতিন দলবল নিয়ে জাহিদ মন্ডলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারধর ও ভাংচুর করে।

জাহিদের পিতা মুক্তার হোসেন বলেন, মতিনের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জন সন্ত্রাসী আমার বাড়িতে হামলা করে। তারা আমার বাড়িসহ পাশের কয়েকটি বাড়িতে ভাংচুর চালিয়েছে। তাদের কাছে থাকা দেশীয় তৈরি রামদা, ছেন-দা,চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড, হকস্টিক দিয়ে আমার স্ত্রী, দুই ছেলে, এক পুত্রবধূ,নাতনী ও শ্যালকের ছেলে কে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করেছে। তারা ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে গেছে।

কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলা দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।