Dhaka ০১:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাংশার পদ্মায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

পাংশা প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৩:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১০৩১ জন সংবাদটি পড়েছেন

 রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা হাবাসপুর খেয়া ঘাটের অদুরে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার হাবাসপুর চরপাড়া বেড়িবাঁধের পাশে ৭ টি স্থানে বালুর স্তুপ করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত পদ্মার মাঝ থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু কেটে বাল্কহেডের মাধ্যমে নদীর কূলে আনা হচ্ছে। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর ও ফসলি জমি।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, লতিফ খার নেতৃত্বে চলেছে এই বালু উত্তোলন। এর কাজের দেখভাল করেন জিয়া, লেবু, মজনুসহ ২০/৩০ জন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির দাবী, অবৈধভাবে তাদের এই বালুর স্তুপের জন্য আমাদের বাড়ি, ফসলি জমির ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে। ওদের কেউ কিছু বলে সাহস পাচ্ছে না। সবাই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী।

লতিফ খার সাথে কথা হলে তিনি দাবী করেন তারা বৈধ ভাবেই ভালো কাটছে। গত ৫ আগষ্টের পরে তার এক আত্মীয় মন্ত্রণালয় থেকে বালু উত্তোলনের পাশ এনে দিয়েছে। সাংবাদিকরা সেখানে গেলে ছবি তুললে ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে কেনো?  তিনি বলেন আপনারা ওখানে কেনো যাবেন। আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর কিছু করতে পারি নাই।

পাংশা অস্থায়ী ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার নুরুজ্জামান বলেন, আমরা লতিফ খাকে ক্যাম্পে ডেকে এনে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে বলছি। আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন তিনি আর বালু উত্তোলন করবেন না। তবে এখনো বালু উত্তোলন করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, পাংশা উপজেলার মধ্যে কোন বালু মহল নাই। হাবাসপুর পদ্মা নদী থেকে যারা বালু উত্তোলন করছে তারা অবৈধ ভাবে উত্তোলন করছে। পুলিশ নিশ্চুপ থাকায় আমি অভিযান চালাতে পারছি না। আমি সেনাবাহিনীকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

পাংশার পদ্মায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৬:১৩:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা হাবাসপুর খেয়া ঘাটের অদুরে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার হাবাসপুর চরপাড়া বেড়িবাঁধের পাশে ৭ টি স্থানে বালুর স্তুপ করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত পদ্মার মাঝ থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু কেটে বাল্কহেডের মাধ্যমে নদীর কূলে আনা হচ্ছে। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর ও ফসলি জমি।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, লতিফ খার নেতৃত্বে চলেছে এই বালু উত্তোলন। এর কাজের দেখভাল করেন জিয়া, লেবু, মজনুসহ ২০/৩০ জন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির দাবী, অবৈধভাবে তাদের এই বালুর স্তুপের জন্য আমাদের বাড়ি, ফসলি জমির ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে। ওদের কেউ কিছু বলে সাহস পাচ্ছে না। সবাই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী।

লতিফ খার সাথে কথা হলে তিনি দাবী করেন তারা বৈধ ভাবেই ভালো কাটছে। গত ৫ আগষ্টের পরে তার এক আত্মীয় মন্ত্রণালয় থেকে বালু উত্তোলনের পাশ এনে দিয়েছে। সাংবাদিকরা সেখানে গেলে ছবি তুললে ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে কেনো?  তিনি বলেন আপনারা ওখানে কেনো যাবেন। আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর কিছু করতে পারি নাই।

পাংশা অস্থায়ী ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার নুরুজ্জামান বলেন, আমরা লতিফ খাকে ক্যাম্পে ডেকে এনে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে বলছি। আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন তিনি আর বালু উত্তোলন করবেন না। তবে এখনো বালু উত্তোলন করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, পাংশা উপজেলার মধ্যে কোন বালু মহল নাই। হাবাসপুর পদ্মা নদী থেকে যারা বালু উত্তোলন করছে তারা অবৈধ ভাবে উত্তোলন করছে। পুলিশ নিশ্চুপ থাকায় আমি অভিযান চালাতে পারছি না। আমি সেনাবাহিনীকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।