Dhaka ১১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাংশায় বাড়িতে ঢুকে দুই দফায় হামলা, চারজন গুলিবিদ্ধ \ পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১০৯৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের মিশ্রীপাঁচবাড়িয়া গ্রামে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কর্মকর্তা প্রদীপ মন্ডলের বাড়িতে দুইদফা হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় ঐ পরিবারে চার সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। দুর্বৃত্তরা যাবার সময় পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে বলে জানান প্রদীপ মন্ডল। গুলিবিদ্ধরা হলেন কানু মন্ডলের ছেলে লক্ষণকুমার মন্ডল (৩৭), বিকাশ চন্দ্র মন্ডলের ছেলে সুজন মন্ডল (২২), গেদুনাথ মন্ডলের ছেলে রূপ চাঁদ মন্ডল (৩৭) ও নীল মন্ডলের ছেলে বিবেক চন্দ্র মন্ডল (৪৮)। আহতরা সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রদীপ মন্ডল জানান, রাত ৩টার দিকে আমাদের বাড়ির পিছন দিকে আমার ছোট ভাইয়ের ঘরের দরজা ভেঙে একদল দুর্বৃত্ত  ঘরে প্রবেশ করে। এরপর তারা আমার বাবার ঘরে যায়। আমি বিষয়টি বুঝতে পারার পর তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যস্ত রাখি। এই সুযোগে আমার এক ভাই পুলিশকে ফোন করে। পাশাপাশি আশেপাশের প্রতিবেশীদের ডেকে তোলে। তখন প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে চলে যায়। পুলিশও ঘটনাস্থলে আসে। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পরেও প্রতিবেশীরা আমাদের বাড়িতে ছিল। ভোরের আজানের ঠিক পাঁচ-সাত মিনিট আগে আবারও দুর্বৃত্তরা আবার হানা দেয়। এসময় পুলিশকে জানিয়েছিস কেন, কাজটি ঠিক করিস নাই বলে গুলি ছোঁড়ে। গুলিতে চারজন আহত হয়।  আর যাবার সময় বলে, পাঁচ লক্ষ টাকা সাত দিনের মধ্যে না দিলে তোদের কপালে কষ্ট আছে।

পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিফাত রাব্বী প্রিয়ম বলেন, আহত অবস্থায় পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারজনকে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে লক্ষণ কুমার মন্ডল ও  সুজন মন্ডলকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। অপর দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। হামলায় চারজন আহত হয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চরমপন্থী অমলবাহিনীর সদস্যরা এই হামলা চালায়। এলাকায় পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

পাংশায় বাড়িতে ঢুকে দুই দফায় হামলা, চারজন গুলিবিদ্ধ \ পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের মিশ্রীপাঁচবাড়িয়া গ্রামে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কর্মকর্তা প্রদীপ মন্ডলের বাড়িতে দুইদফা হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় ঐ পরিবারে চার সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। দুর্বৃত্তরা যাবার সময় পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে বলে জানান প্রদীপ মন্ডল। গুলিবিদ্ধরা হলেন কানু মন্ডলের ছেলে লক্ষণকুমার মন্ডল (৩৭), বিকাশ চন্দ্র মন্ডলের ছেলে সুজন মন্ডল (২২), গেদুনাথ মন্ডলের ছেলে রূপ চাঁদ মন্ডল (৩৭) ও নীল মন্ডলের ছেলে বিবেক চন্দ্র মন্ডল (৪৮)। আহতরা সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রদীপ মন্ডল জানান, রাত ৩টার দিকে আমাদের বাড়ির পিছন দিকে আমার ছোট ভাইয়ের ঘরের দরজা ভেঙে একদল দুর্বৃত্ত  ঘরে প্রবেশ করে। এরপর তারা আমার বাবার ঘরে যায়। আমি বিষয়টি বুঝতে পারার পর তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যস্ত রাখি। এই সুযোগে আমার এক ভাই পুলিশকে ফোন করে। পাশাপাশি আশেপাশের প্রতিবেশীদের ডেকে তোলে। তখন প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে চলে যায়। পুলিশও ঘটনাস্থলে আসে। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পরেও প্রতিবেশীরা আমাদের বাড়িতে ছিল। ভোরের আজানের ঠিক পাঁচ-সাত মিনিট আগে আবারও দুর্বৃত্তরা আবার হানা দেয়। এসময় পুলিশকে জানিয়েছিস কেন, কাজটি ঠিক করিস নাই বলে গুলি ছোঁড়ে। গুলিতে চারজন আহত হয়।  আর যাবার সময় বলে, পাঁচ লক্ষ টাকা সাত দিনের মধ্যে না দিলে তোদের কপালে কষ্ট আছে।

পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিফাত রাব্বী প্রিয়ম বলেন, আহত অবস্থায় পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারজনকে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে লক্ষণ কুমার মন্ডল ও  সুজন মন্ডলকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। অপর দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। হামলায় চারজন আহত হয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চরমপন্থী অমলবাহিনীর সদস্যরা এই হামলা চালায়। এলাকায় পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।