Dhaka ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মূলঘর ইউনিয়ন

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বেধরক পিটিয়েছে বরখাস্ত চেয়ারম্যানের ছেলেরা

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪০:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১১৪৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

 

 রাজবাড়ী সদর উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামানকে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে বেধরক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বরখাস্ত চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান শেখের দুই ছেলে চঞ্চল, হিমেল ও তার সঙ্গীরা। সোমবার দুপুরে মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। মো. মনিরুজ্জামান বর্তমানে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওহিদুজ্জামান শেখ রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, এ ঘটনায় তিনি আপসের প্রস্তাব দিয়েছেন।

জানা গেছে, একটি মামলার ভিকটিম সম্পর্কে মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ তথ্য দিয়ে প্রত্যয়নপত্র ইস্যু করায় গত ১২ অক্টোবর তারিখে মূলঘর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মো. ওয়াহিদুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এরপর প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। সোমবার দুপুরে মো. মনিরুজ্জামান পরিষদে গেলে তার উপর হামলা চালান বরখাস্ত চেয়ারম্যানের দুই ছেলে ও তার সঙ্গীরা।

মো. মনিরুজ্জামান জানান, তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ার বিষয়টি ওরা মেনে নিতে পারছিল না। সোমবার সকালে ওহিদুজ্জামানের দুই ছেলে তাকে মোবাইল ফোনে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে ও মারপিটের হুমকি দেয়। তিনি ওহিদুজ্জামানকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে তাকে বলেন, কোনো ঝামেলায় না যেতে। ঢাকা থেকে ফিরে সমাধানের ্আশ^াস দেন। দুপুর ১টার দিকে তিনি পরিষদে যাওয়া মাত্রই ওহিদুজ্জামানের দুই ছেলে চঞ্চল, হিমেলসহ কয়েকজন তার উপর হামলা চালায়। তাকে লোহার রড, হাতুড়ি দিয়ে তাকে বেধরক পেটায়। পরিষদে থাকা কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। বিষয়টি তিনি রাজবাড়ী সদর থানার ওসিকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।

বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান শেখ বলেন, আমি চার পাঁচদিন ধরে ঢাকায় আছি। যেটুকু শুনেছি, মাশালিয়ায় আমার একটি দীঘি আছে। একটা রাস্তার প্রকল্পে কাজের জন্য ওই দীঘি থেকে মাটি কাটছে আমার কাছে না শুনেই। আমার ছেলে নিষেধ করায় উল্টাসিধা কথা বলছে। তবে এই পর্যায়ে যাতে না যায় সেকথা ওদের বলেছিলাম। কিন্তু আমিতো ঢাকা। ওরা ইয়াং মানুষ। রক্ত গরম। যাই হোক ঘটনা একটা ঘটিয়ে ফেলেছে। আমি একটা আপসের প্রস্তাব দিয়েছি।

রাজবাড়ী সদর থানার ওসি ইফতেখারুল আলম প্রধান জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংসা জানান, একটি প্রশিক্ষণে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। রাজবাড়ী ফিরে সবকিছু জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

মূলঘর ইউনিয়ন

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বেধরক পিটিয়েছে বরখাস্ত চেয়ারম্যানের ছেলেরা

প্রকাশের সময় : ০৮:৪০:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

 

 রাজবাড়ী সদর উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামানকে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে বেধরক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বরখাস্ত চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান শেখের দুই ছেলে চঞ্চল, হিমেল ও তার সঙ্গীরা। সোমবার দুপুরে মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। মো. মনিরুজ্জামান বর্তমানে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওহিদুজ্জামান শেখ রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, এ ঘটনায় তিনি আপসের প্রস্তাব দিয়েছেন।

জানা গেছে, একটি মামলার ভিকটিম সম্পর্কে মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ তথ্য দিয়ে প্রত্যয়নপত্র ইস্যু করায় গত ১২ অক্টোবর তারিখে মূলঘর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মো. ওয়াহিদুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এরপর প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। সোমবার দুপুরে মো. মনিরুজ্জামান পরিষদে গেলে তার উপর হামলা চালান বরখাস্ত চেয়ারম্যানের দুই ছেলে ও তার সঙ্গীরা।

মো. মনিরুজ্জামান জানান, তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ার বিষয়টি ওরা মেনে নিতে পারছিল না। সোমবার সকালে ওহিদুজ্জামানের দুই ছেলে তাকে মোবাইল ফোনে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে ও মারপিটের হুমকি দেয়। তিনি ওহিদুজ্জামানকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে তাকে বলেন, কোনো ঝামেলায় না যেতে। ঢাকা থেকে ফিরে সমাধানের ্আশ^াস দেন। দুপুর ১টার দিকে তিনি পরিষদে যাওয়া মাত্রই ওহিদুজ্জামানের দুই ছেলে চঞ্চল, হিমেলসহ কয়েকজন তার উপর হামলা চালায়। তাকে লোহার রড, হাতুড়ি দিয়ে তাকে বেধরক পেটায়। পরিষদে থাকা কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। বিষয়টি তিনি রাজবাড়ী সদর থানার ওসিকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।

বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান শেখ বলেন, আমি চার পাঁচদিন ধরে ঢাকায় আছি। যেটুকু শুনেছি, মাশালিয়ায় আমার একটি দীঘি আছে। একটা রাস্তার প্রকল্পে কাজের জন্য ওই দীঘি থেকে মাটি কাটছে আমার কাছে না শুনেই। আমার ছেলে নিষেধ করায় উল্টাসিধা কথা বলছে। তবে এই পর্যায়ে যাতে না যায় সেকথা ওদের বলেছিলাম। কিন্তু আমিতো ঢাকা। ওরা ইয়াং মানুষ। রক্ত গরম। যাই হোক ঘটনা একটা ঘটিয়ে ফেলেছে। আমি একটা আপসের প্রস্তাব দিয়েছি।

রাজবাড়ী সদর থানার ওসি ইফতেখারুল আলম প্রধান জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংসা জানান, একটি প্রশিক্ষণে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। রাজবাড়ী ফিরে সবকিছু জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।