Dhaka ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হত্যা, না দুর্ঘটনা

রাজবাড়ীতে আইনজীবীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১০৮০ জন সংবাদটি পড়েছেন

 

 রাজবাড়ী জেলা বার এসোসিয়েশনের আইনজীবী সাইফুজ্জামান খান আজমের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। এটি সড়ক দুর্ঘটনা নাকি হত্যা তা এখনও নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেনি। শুক্রবার রাতে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের চরনারায়ণপুর এলাকায় মোটরসাইকেলসহ রাস্তার পাশে পড়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের ধুলিয়াট গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

রাজবাড়ীর গান্ধীমারা হাইওয়ে থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, দুর্ঘটনার খবর শুনে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন স্থানীয় লোকজন মোটরসাইকেলসহ একজন ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে অ্যম্বুলেন্সে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কোনো যানবাহনের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়েছে এমনটিও কেউ দেখেনি। এব্যাপারে তাদের কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে, শুনতে পাচ্ছেন পরিবারের লোকেরা কালুখালী থানায় মামলা করবেন। রাজবাড়ী থেকে মোটরসাইকেলযোগে পাংশা যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।

রাজবাড়ী জেলা বার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রথমে তারা দুর্ঘটনার কথাই শুনেছিলেন। কিন্তু সেটা দুর্ঘটনা নয়। ফরিদপুরে ডাক্তার তাদের জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা হলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা ছেড়া হওয়ার কথা। কিন্তু এমন কোনো চিহ্ন নেই, মুখেও কোনো ক্ষত চিহ্ন নেই। তার মাথার পেছনে দুটি স্থানে গোলবস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চোখেও আঘাত আছে। মোটরসাইকেলটি অক্ষত অবস্থায় রাস্তায় পড়েছিল। দুর্ঘটনা হয়েছে তারও কোনো প্রত্যক্ষদর্শী নেই। এখন মনে হচ্ছে এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। বিষয়টি নিয়ে জেলা বার এসোসিয়েশনে সভা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। সাইফুজ্জামান খান আজমের সাথে জমিজমা নিয়ে কয়েক ব্যক্তির দ্ব›দ্ব ছিল বলে জানান তিনি।

কালুখালী থানার ওসি প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ^াস জানান, এটি দুর্ঘটনা কীনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। সুরতহাল রিপোর্টে তার মাথা ও চোখে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। মৃত ব্যক্তির মরদেহ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ দিলে আইনানুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

হত্যা, না দুর্ঘটনা

রাজবাড়ীতে আইনজীবীর মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩

 

 রাজবাড়ী জেলা বার এসোসিয়েশনের আইনজীবী সাইফুজ্জামান খান আজমের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। এটি সড়ক দুর্ঘটনা নাকি হত্যা তা এখনও নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেনি। শুক্রবার রাতে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের চরনারায়ণপুর এলাকায় মোটরসাইকেলসহ রাস্তার পাশে পড়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের ধুলিয়াট গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

রাজবাড়ীর গান্ধীমারা হাইওয়ে থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, দুর্ঘটনার খবর শুনে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন স্থানীয় লোকজন মোটরসাইকেলসহ একজন ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে অ্যম্বুলেন্সে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কোনো যানবাহনের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়েছে এমনটিও কেউ দেখেনি। এব্যাপারে তাদের কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে, শুনতে পাচ্ছেন পরিবারের লোকেরা কালুখালী থানায় মামলা করবেন। রাজবাড়ী থেকে মোটরসাইকেলযোগে পাংশা যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।

রাজবাড়ী জেলা বার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রথমে তারা দুর্ঘটনার কথাই শুনেছিলেন। কিন্তু সেটা দুর্ঘটনা নয়। ফরিদপুরে ডাক্তার তাদের জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা হলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা ছেড়া হওয়ার কথা। কিন্তু এমন কোনো চিহ্ন নেই, মুখেও কোনো ক্ষত চিহ্ন নেই। তার মাথার পেছনে দুটি স্থানে গোলবস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চোখেও আঘাত আছে। মোটরসাইকেলটি অক্ষত অবস্থায় রাস্তায় পড়েছিল। দুর্ঘটনা হয়েছে তারও কোনো প্রত্যক্ষদর্শী নেই। এখন মনে হচ্ছে এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। বিষয়টি নিয়ে জেলা বার এসোসিয়েশনে সভা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। সাইফুজ্জামান খান আজমের সাথে জমিজমা নিয়ে কয়েক ব্যক্তির দ্ব›দ্ব ছিল বলে জানান তিনি।

কালুখালী থানার ওসি প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ^াস জানান, এটি দুর্ঘটনা কীনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। সুরতহাল রিপোর্টে তার মাথা ও চোখে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। মৃত ব্যক্তির মরদেহ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ দিলে আইনানুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।