Dhaka ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী মনসুর উল করিমের স্মরণসভা

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৭:২৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১১৩৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

 

একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক মনসুর উল করিমের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজবাড়ীতে।

শিল্পী মনসুর উল করিম স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় দৈনিক জনতার আদালত পত্রিকা কার্যালয়ে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের আহŸায়ক কবি খোকন মাহমুদের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার ও সংগঠনের উপদেষ্টা আজিজা খানম, রাজবাড়ী একাডেমির সভাপতি সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান, রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধাপক আহসান হাবীব, রাজবাড়ী কিন্ডার গার্টেনের অধ্যক্ষ নুরুল হক আলম, বিশ^ ভরা প্রাণ এর সভাপতি আতাউর রহমান, কবি নেহাল আহমেদ, সমকালের জেলা প্রতিনিধি সৌমিত্র শীল চন্দন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, শিল্পী মনসুর উল করিম ছিলেন রাজবাড়ীর গর্ব। শিল্প সাহিত্য চর্চার জন্য তিনি বুনন আর্ট স্পেস গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু তা শেষ করে যেতে পারেননি।

চিত্রশিল্পী মনসুর উল করিম ১৯৫০ সালে রাজবাড়ী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে ঢাকা আর্ট ইনস্টিটিউট থেকে চারুকলায় ¯œাতক এবং ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ¯œাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করার পর তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে অধ্যাপনা শুরু করেন। ২০০৯ সালে তিনি  চিত্রকলায় বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদকে ভ‚ষিত হন। দীর্ঘ ৪০ বছর অধ্যাপনা  শেষে অবসর গ্রহণ করে তৃণমূল পর্যায়ে চিত্রশিল্পী গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিজ জেলা রাজবাড়ীর রামকান্তপুর স্বর্ণশিমুল তলায় বুনন আর্ট স্পেস গড়ে তুলছিলেন। যেটির কাজ এখনও অসমাপ্ত রয়ে গেছে।

একুশে পদক ছাড়াও তিনি দেশে বিদেশে বিভিন্ন পুরষ্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। চিত্রকলায় সামগ্রিকভাবে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে তাকে সুলতান পদক দেয়া হয়। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরষ্কার এবং ষষ্ঠ এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল পদক লাভ করেন। ১৯৯৪  সালে ভারতীয় ললিতকলা একাডেমি আয়োজিত অষ্টম ভারতীয় ত্রিবার্ষিক আন্তর্জাতিক চারুকলা প্রদর্শনী থেকে তিনি পুরষ্কার লাভ করেন। ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে তাঁর ২৬টি একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২০২০ সালের ৫ অক্টোবর ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী মনসুর উল করিমের স্মরণসভা

প্রকাশের সময় : ০৭:২৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

 

একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক মনসুর উল করিমের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজবাড়ীতে।

শিল্পী মনসুর উল করিম স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় দৈনিক জনতার আদালত পত্রিকা কার্যালয়ে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের আহŸায়ক কবি খোকন মাহমুদের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার ও সংগঠনের উপদেষ্টা আজিজা খানম, রাজবাড়ী একাডেমির সভাপতি সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান, রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধাপক আহসান হাবীব, রাজবাড়ী কিন্ডার গার্টেনের অধ্যক্ষ নুরুল হক আলম, বিশ^ ভরা প্রাণ এর সভাপতি আতাউর রহমান, কবি নেহাল আহমেদ, সমকালের জেলা প্রতিনিধি সৌমিত্র শীল চন্দন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, শিল্পী মনসুর উল করিম ছিলেন রাজবাড়ীর গর্ব। শিল্প সাহিত্য চর্চার জন্য তিনি বুনন আর্ট স্পেস গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু তা শেষ করে যেতে পারেননি।

চিত্রশিল্পী মনসুর উল করিম ১৯৫০ সালে রাজবাড়ী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে ঢাকা আর্ট ইনস্টিটিউট থেকে চারুকলায় ¯œাতক এবং ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ¯œাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করার পর তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে অধ্যাপনা শুরু করেন। ২০০৯ সালে তিনি  চিত্রকলায় বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদকে ভ‚ষিত হন। দীর্ঘ ৪০ বছর অধ্যাপনা  শেষে অবসর গ্রহণ করে তৃণমূল পর্যায়ে চিত্রশিল্পী গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিজ জেলা রাজবাড়ীর রামকান্তপুর স্বর্ণশিমুল তলায় বুনন আর্ট স্পেস গড়ে তুলছিলেন। যেটির কাজ এখনও অসমাপ্ত রয়ে গেছে।

একুশে পদক ছাড়াও তিনি দেশে বিদেশে বিভিন্ন পুরষ্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। চিত্রকলায় সামগ্রিকভাবে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে তাকে সুলতান পদক দেয়া হয়। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরষ্কার এবং ষষ্ঠ এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল পদক লাভ করেন। ১৯৯৪  সালে ভারতীয় ললিতকলা একাডেমি আয়োজিত অষ্টম ভারতীয় ত্রিবার্ষিক আন্তর্জাতিক চারুকলা প্রদর্শনী থেকে তিনি পুরষ্কার লাভ করেন। ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে তাঁর ২৬টি একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২০২০ সালের ৫ অক্টোবর ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।