Dhaka ০৪:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে এনে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১১২৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জান্নাতুল নেছাকে ডেকে এনে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। পুলিশের কাছে বলে দেওয়ার ভয় দেখালে তাকে হত্যা করে পাট ক্ষেতে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে কালুখালী থানার পুলিশ। পুলিশের কছে স্বীকারের পাশাপাশি তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীও দিয়েছে। রোববার রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো কালুখালী উপজেলার বিকয়া গ্রামের পান্নু মন্ডলের ছেলে মাহফুজ মন্ডল, দুলাল খানের ছেলে রবিউল খান, রমজান মন্ডলের ছেলে হাকিম মন্ডল ও পাংশা উপজেলার নজরুল ইসলামের ছেলে হাসিব খান। মৃত জান্নাতুল নেছা কালুখালী উপজেলার বাসিন্দা।

কালুখালী থানার ওসি প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ^াস জানান, গত ১৮ জুলাই তারিখে বিকয়া গ্রামের একটি পাট ক্ষেত থেকে জান্নাতুল নেছার গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে তৎপর হয়। প্রথমে মাহফুজ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করার পর সে জানায়, ফেসবুকে জান্নাতুলের সাথে সে প্রেমের অভিনয় করে। এরপর বিয়ের কথা বলে ডেকে এনে পাট ক্ষেতে নিয়ে তারা চারজন ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর পুলিশকে সব জানিয়ে দেবে বললে হত্যা করা হয় জান্নাতুলকে।

ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তার চারজনই রোববার আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দীতে তাদের দোষ স্বীকার করেছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে এনে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জান্নাতুল নেছাকে ডেকে এনে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। পুলিশের কাছে বলে দেওয়ার ভয় দেখালে তাকে হত্যা করে পাট ক্ষেতে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে কালুখালী থানার পুলিশ। পুলিশের কছে স্বীকারের পাশাপাশি তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীও দিয়েছে। রোববার রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো কালুখালী উপজেলার বিকয়া গ্রামের পান্নু মন্ডলের ছেলে মাহফুজ মন্ডল, দুলাল খানের ছেলে রবিউল খান, রমজান মন্ডলের ছেলে হাকিম মন্ডল ও পাংশা উপজেলার নজরুল ইসলামের ছেলে হাসিব খান। মৃত জান্নাতুল নেছা কালুখালী উপজেলার বাসিন্দা।

কালুখালী থানার ওসি প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ^াস জানান, গত ১৮ জুলাই তারিখে বিকয়া গ্রামের একটি পাট ক্ষেত থেকে জান্নাতুল নেছার গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে তৎপর হয়। প্রথমে মাহফুজ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করার পর সে জানায়, ফেসবুকে জান্নাতুলের সাথে সে প্রেমের অভিনয় করে। এরপর বিয়ের কথা বলে ডেকে এনে পাট ক্ষেতে নিয়ে তারা চারজন ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর পুলিশকে সব জানিয়ে দেবে বললে হত্যা করা হয় জান্নাতুলকে।

ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তার চারজনই রোববার আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দীতে তাদের দোষ স্বীকার করেছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।