Dhaka ১২:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারীকে গণধর্ষণের পর হত্যা \ ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩
  • / ১০৯২ জন সংবাদটি পড়েছেন

রাজবাড়ীতে তালাকাপ্রাপ্ত এক নারীকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার দীর্ঘ ১৮ বছর পর রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে এক নারীসহ সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার জিয়েলগাই গ্রামের ওমর আলী প্রামানিকের ছেলে রঞ্জুর হোসেন, আনছার দাইয়ের ছেলে রফিকুল ইসলাম, জসিম সরদারের ছেলে মাসুদ রানা, গহর প্রামানিকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন, আফতাব উদ্দিনের ছেলে আশরাফ এবং কুষ্টিয়ার চরআমলাপাড়া গ্রামের গুলাই প্রামানিকের স্ত্রী জয়গুন বেগম। বুধবার দুপুরে রাজবাড়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাব্বির ফয়েজ এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের মধ্যে রঞ্জুর হোসেন ও আশরাফ পলাতক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখে পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের একটি ধান ক্ষেত থেকে আমেনা খাতুন নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পাংশা থানার পুলিশ। ঘটনার পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর তারিখে নিহতের ভাই আব্দুস সালাম পাংশা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তের বেরিয়ে আসে আমেনা খাতুনকে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ তদন্ত শেষে ছয়জন পুরুষ এবং ধর্ষণে সহযোগিতার জন্য জয়গুন বেগম নামে এক নারীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দেন। আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।

রাজবাড়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যড. সাইফুল হক জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(৩) ধারায় দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ছয়জনকে এবং একই আইনের ৯(৩)/৩ ধারায় ধর্ষণে সহযোগিতার জন্য একজনকে এ দন্ড দেওয়া হয়েছে। হত্যার ঘটনায় অন্য আদালতে বিচার চলমান রয়েছে। এ রায়ে তারা সন্তুষ্ট।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

নারীকে গণধর্ষণের পর হত্যা \ ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩

রাজবাড়ীতে তালাকাপ্রাপ্ত এক নারীকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার দীর্ঘ ১৮ বছর পর রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে এক নারীসহ সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার জিয়েলগাই গ্রামের ওমর আলী প্রামানিকের ছেলে রঞ্জুর হোসেন, আনছার দাইয়ের ছেলে রফিকুল ইসলাম, জসিম সরদারের ছেলে মাসুদ রানা, গহর প্রামানিকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন, আফতাব উদ্দিনের ছেলে আশরাফ এবং কুষ্টিয়ার চরআমলাপাড়া গ্রামের গুলাই প্রামানিকের স্ত্রী জয়গুন বেগম। বুধবার দুপুরে রাজবাড়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাব্বির ফয়েজ এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের মধ্যে রঞ্জুর হোসেন ও আশরাফ পলাতক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখে পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের একটি ধান ক্ষেত থেকে আমেনা খাতুন নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পাংশা থানার পুলিশ। ঘটনার পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর তারিখে নিহতের ভাই আব্দুস সালাম পাংশা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তের বেরিয়ে আসে আমেনা খাতুনকে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ তদন্ত শেষে ছয়জন পুরুষ এবং ধর্ষণে সহযোগিতার জন্য জয়গুন বেগম নামে এক নারীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দেন। আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।

রাজবাড়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যড. সাইফুল হক জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(৩) ধারায় দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ছয়জনকে এবং একই আইনের ৯(৩)/৩ ধারায় ধর্ষণে সহযোগিতার জন্য একজনকে এ দন্ড দেওয়া হয়েছে। হত্যার ঘটনায় অন্য আদালতে বিচার চলমান রয়েছে। এ রায়ে তারা সন্তুষ্ট।