Dhaka ০৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নানা অভিযোগ শ্রীপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসরিন আক্তারের বিরুদ্ধে

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৭:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩
  • / ১০৮৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

রাজবাড়ী সদর উপজেলার শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাসরিন আক্তারের বিরুদ্ধে কোচিং সেন্টার কার্যক্রম চালানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা জানিয়েছেন, গত ১ জুন থেকে শ্রীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাজবাড়ীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের পেছনে সানফ্লাওয়ার ফাইন আটর্স টেকনিক্যাল ইনষ্টিটিউটে নাসরিন আক্তার ও তার স্বামী মতিয়ার রহমান হিমেল মিলে পুনরায় কোচিং সেন্টার চালু করেছেন। যেখানে শ্রীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীকে কোচিং করানো হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর একাধিক ছাত্র-ছাত্রী জানিয়েছে, এই ক্লাসে সহকারী শিক্ষক নাসরিন আক্তারের মেয়ে পড়ে। তার মেয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গায় অন্য কেউ বসতে পারেনা। সেখানে যদিও কেউ বসে তাহলে তাকে সেখান থেকে তুলে দেয়া হয়। যে কারণে এখন আর কেউ বসতে সাহস করে না।

পঞ্চম শ্রেণীর শিমুল শাখায় সামনের কয়েকটি আসন তার কোচিংয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত করে রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন, শিক্ষক নাসরিনকে কোচিং বাণিজ্য বন্ধের অনুরোধ করা হয়। তবে তিনি সে অনুরোধের তোয়াক্কা করেন নি। ওই শিক্ষক দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে এ বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। যে কারণে তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য সহকারী শিক্ষকদের মানেন না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোচিং সেন্টার খুলে পড়ানো যাবে না, সরকারের এমন সুস্পষ্ট বিধি-বিধানকে উপেক্ষা করে ওই শিক্ষক কোচিং সেন্টারের নামে বাণিজ্য করছেন। ওই ঘটনায় ইতোমধ্যে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃক ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন এবং ওই কমিটি গত ২৫ মে তদন্ত কার্যক্রমও পরিচালনা করে। অথচ সহকারী শিক্ষক নাসরিন আক্তার এ তদন্ত ও কোচিং বন্ধে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে পুনরায় কোচিং বাণিজ্য শুরু করেছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক বলেন, তদন্ত কমিটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গত ৩০ মে তার মেয়ের ক্লাসের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মনগড়া বক্তব্য ভিডিও করে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে নাসরিন আক্তারকে শোকজ করা হয়েছে।

সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসরিন আক্তার জানিয়েছেন, নতুন করে কোচিং সেন্টার চালুর ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মার্জিয়া সুলতানা জানিয়েছেন, বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের দেয়া পত্রের কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ রয়েছে। ওই নির্দেশনার আলোকে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

নানা অভিযোগ শ্রীপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসরিন আক্তারের বিরুদ্ধে

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৭:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

রাজবাড়ী সদর উপজেলার শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাসরিন আক্তারের বিরুদ্ধে কোচিং সেন্টার কার্যক্রম চালানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা জানিয়েছেন, গত ১ জুন থেকে শ্রীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাজবাড়ীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের পেছনে সানফ্লাওয়ার ফাইন আটর্স টেকনিক্যাল ইনষ্টিটিউটে নাসরিন আক্তার ও তার স্বামী মতিয়ার রহমান হিমেল মিলে পুনরায় কোচিং সেন্টার চালু করেছেন। যেখানে শ্রীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীকে কোচিং করানো হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর একাধিক ছাত্র-ছাত্রী জানিয়েছে, এই ক্লাসে সহকারী শিক্ষক নাসরিন আক্তারের মেয়ে পড়ে। তার মেয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গায় অন্য কেউ বসতে পারেনা। সেখানে যদিও কেউ বসে তাহলে তাকে সেখান থেকে তুলে দেয়া হয়। যে কারণে এখন আর কেউ বসতে সাহস করে না।

পঞ্চম শ্রেণীর শিমুল শাখায় সামনের কয়েকটি আসন তার কোচিংয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত করে রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন, শিক্ষক নাসরিনকে কোচিং বাণিজ্য বন্ধের অনুরোধ করা হয়। তবে তিনি সে অনুরোধের তোয়াক্কা করেন নি। ওই শিক্ষক দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে এ বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। যে কারণে তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য সহকারী শিক্ষকদের মানেন না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোচিং সেন্টার খুলে পড়ানো যাবে না, সরকারের এমন সুস্পষ্ট বিধি-বিধানকে উপেক্ষা করে ওই শিক্ষক কোচিং সেন্টারের নামে বাণিজ্য করছেন। ওই ঘটনায় ইতোমধ্যে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃক ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন এবং ওই কমিটি গত ২৫ মে তদন্ত কার্যক্রমও পরিচালনা করে। অথচ সহকারী শিক্ষক নাসরিন আক্তার এ তদন্ত ও কোচিং বন্ধে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে পুনরায় কোচিং বাণিজ্য শুরু করেছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক বলেন, তদন্ত কমিটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গত ৩০ মে তার মেয়ের ক্লাসের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মনগড়া বক্তব্য ভিডিও করে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে নাসরিন আক্তারকে শোকজ করা হয়েছে।

সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসরিন আক্তার জানিয়েছেন, নতুন করে কোচিং সেন্টার চালুর ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মার্জিয়া সুলতানা জানিয়েছেন, বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের দেয়া পত্রের কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ রয়েছে। ওই নির্দেশনার আলোকে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।