Dhaka ০১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ক্ষোভ, অসন্তোষ

সম্মেলনের দীর্ঘ ১৬ মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেল রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৯:০৬:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১৩০০ জন সংবাদটি পড়েছেন

 সম্মেলনের দীর্ঘ ১৬ মাস পর ঘোষিত হয়েছে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন পুরনো অনেকেই। এসেছে এক ঝাঁক নতুন মুখ। ঘোষিত ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নিয়ে ক্ষোভ আর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। দেখা দিয়েছে নানা ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া। তবে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুল হাকিম এমপি।

গত ৯ ফেব্রæয়ারি তারিখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।

রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১৬ অক্টোবর রাজবাড়ী শহীদ খুশী রেলওয়ে ময়দানে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে জিল্লুল হাকিম এমপিকে সভাপতি ও কাজী ইরাদত আলীকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এছাড়া চার জন সহ সভাপতি ও একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের নামও ঘোষণা করা হয়েছিল। সহ সভাপতি চারজন হলেন ক্রমানুসারে কাজী কেরামত আলী এমপি, আকবর আলী মর্জি, ফকীর আব্দুল জব্বার ও মহম্মদ আলী চৌধুরী। ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শেখ সোহেল রানা টিপুর নাম ঘোষণা করা হয়।

পূর্ণাঙ্গ কমিটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সম্মেলনে সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বারকে ৩নং সহ সভাপতি ঘোষণা করা হলেও তার স্থান রয়েছে চার নম্বরে। মহম্মদ আলী চৌধুরীর স্থান ৭ নম্বরে। সম্মেলনে তাকে চার নম্বর সহ সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। বিগত সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাবেক সাংসদ প্রয়াত অ্যড. ওয়াজেদ আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী রন্টু। ২৪ নং সদস্য পদ পেয়ে তিনি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিগত কমিটিতে দপ্তর সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনকারী গোলাম মোস্তফা বাচ্চুর নাম নতুন কমিটিতে নেই।  বাদ পড়াদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যড. ইমদাদুল হক বিশ^াস, পাংশা উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও কালুখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন প্রমুখ। বিগত কমিটিতে সম্পাদক পদে ছিলেন এমন কয়েকজনকে দেওয়া হয়েছে সদস্য পদ।  ১ নং সদস্য পদে ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামরুন্নাহার চৌধুরী লাভলী। নতুন কমিটিতে তিনি ১০ নং সদস্য।

২৪ নং সদস্য পেয়ে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী রন্টু বলেন, কমিটিতে ২৪ নং সদস্য করায় তিনি প্রচন্ডভাবে কষ্ট পেয়েছেন। দুঃখ পেয়েছেন। তার বাবা ভাষা সৈনিক সাবেক এমপি অ্যড. ওয়াজেদ আলী চৌধুরী আওয়ামী লীগের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতা ছিলেন। তিনি নিজেও ছাত্রলীগ করেছেন। ১৯৯২ সালে একটি সরকারি কলেজের চাকরিতে যোগদানের আগে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর রাজনীতিতে ফিরেছেন। বিগত কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। কমিটিতে এভাবে রেখে আমাকে এক প্রকার অপমানই করা হয়েছে। কমিটিতে এমন অনেকেই আছে যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি কোনো দিন করেনি। অথচ তাদেরকে আমার উপরে স্থান দিয়েছে। ত্যাগী অনেকেরই নাম নেই কমিটিতে। এই হলো আমাদের প্রতি মূল্যায়ন।

রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সসম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাচ্চু বলেন, তিনি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগে নিবেদিত প্রাণ কর্মী ছিলেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় হয়তো বাদ দিয়েছে। এখন কমিটিতে না রাখলে কী করার আছে। দুঃখ এটাই যে, অন্য কোথাও আমাকে রাখতে পারতো।

পাংশা উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ বলেন, আমি উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলাম একথা ঠিক। আমাদেরকে ক্ষমা করা হয়েছে। অথচ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এমন অনেকেই আছে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল অথচ নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। কমিটিতে এমন অনেকেই আছেন যাদেরকে চিনি না। আবার কেউ কেউ রাজবাড়ীতে থাকে না। এসবই কেন্দ্রীয় কমিটির বিষয়। আমাদের কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবেনা।

 নতুন কমিটি নিয়ে ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ায় কেন্দ্রীয় কমিটিকে ধন্যবাদ এবং যারা কমিটিতে এসেছেন তাদের শুভেচ্ছা।

রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগৈর সহ সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, তারা (কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ) যেভাবে ডিক্লিারেশন দিয়ে গিয়েছিল সেভাবে হয়নি। ওলট পালট কিছু হয়েছে। যাদের যেখানে থাকার কথা তারা সেখানে নাই। কেন্দ্র থেকে আমাকে ৪ নং সহ সভাপতি ঘোষণা করা হলেও আমাকে করা হয়েছে ৭ নং সহ সভাপতি। এটা উচিৎ হয়নি। কিন্তু আমরা সরাসরি কিছু বলতে পারছি না। কমিটিতে এমন অনেকেই স্থান পেয়েছে যাদের আমি চিনি না। জেলা আওয়ামী লীগে আসতে গেলে একটা ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে। আন্দোলন, সংগ্রাম, ত্যাগ তিতিক্ষা থাকতে হয়। সেইভাবে অনেকেরই দেখি নাই।

এবিষয়ে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম বলেন, আমরা অফিসিয়ালি কোনো কমিটি হাতে পাইনি। হাওয়ায় ভাসা কোনো খবরের বিষয়ে মন্তব্য করতে পারিনা। কমিটি নিয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সাথেও কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয় নাই। যেকারণে এখন কিছু বলতে পারছি না।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

ক্ষোভ, অসন্তোষ

সম্মেলনের দীর্ঘ ১৬ মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেল রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ

প্রকাশের সময় : ০৯:০৬:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

 সম্মেলনের দীর্ঘ ১৬ মাস পর ঘোষিত হয়েছে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন পুরনো অনেকেই। এসেছে এক ঝাঁক নতুন মুখ। ঘোষিত ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নিয়ে ক্ষোভ আর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। দেখা দিয়েছে নানা ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া। তবে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুল হাকিম এমপি।

গত ৯ ফেব্রæয়ারি তারিখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।

রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১৬ অক্টোবর রাজবাড়ী শহীদ খুশী রেলওয়ে ময়দানে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে জিল্লুল হাকিম এমপিকে সভাপতি ও কাজী ইরাদত আলীকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এছাড়া চার জন সহ সভাপতি ও একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের নামও ঘোষণা করা হয়েছিল। সহ সভাপতি চারজন হলেন ক্রমানুসারে কাজী কেরামত আলী এমপি, আকবর আলী মর্জি, ফকীর আব্দুল জব্বার ও মহম্মদ আলী চৌধুরী। ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শেখ সোহেল রানা টিপুর নাম ঘোষণা করা হয়।

পূর্ণাঙ্গ কমিটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সম্মেলনে সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বারকে ৩নং সহ সভাপতি ঘোষণা করা হলেও তার স্থান রয়েছে চার নম্বরে। মহম্মদ আলী চৌধুরীর স্থান ৭ নম্বরে। সম্মেলনে তাকে চার নম্বর সহ সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। বিগত সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাবেক সাংসদ প্রয়াত অ্যড. ওয়াজেদ আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী রন্টু। ২৪ নং সদস্য পদ পেয়ে তিনি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিগত কমিটিতে দপ্তর সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনকারী গোলাম মোস্তফা বাচ্চুর নাম নতুন কমিটিতে নেই।  বাদ পড়াদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যড. ইমদাদুল হক বিশ^াস, পাংশা উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও কালুখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন প্রমুখ। বিগত কমিটিতে সম্পাদক পদে ছিলেন এমন কয়েকজনকে দেওয়া হয়েছে সদস্য পদ।  ১ নং সদস্য পদে ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামরুন্নাহার চৌধুরী লাভলী। নতুন কমিটিতে তিনি ১০ নং সদস্য।

২৪ নং সদস্য পেয়ে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী রন্টু বলেন, কমিটিতে ২৪ নং সদস্য করায় তিনি প্রচন্ডভাবে কষ্ট পেয়েছেন। দুঃখ পেয়েছেন। তার বাবা ভাষা সৈনিক সাবেক এমপি অ্যড. ওয়াজেদ আলী চৌধুরী আওয়ামী লীগের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতা ছিলেন। তিনি নিজেও ছাত্রলীগ করেছেন। ১৯৯২ সালে একটি সরকারি কলেজের চাকরিতে যোগদানের আগে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর রাজনীতিতে ফিরেছেন। বিগত কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। কমিটিতে এভাবে রেখে আমাকে এক প্রকার অপমানই করা হয়েছে। কমিটিতে এমন অনেকেই আছে যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি কোনো দিন করেনি। অথচ তাদেরকে আমার উপরে স্থান দিয়েছে। ত্যাগী অনেকেরই নাম নেই কমিটিতে। এই হলো আমাদের প্রতি মূল্যায়ন।

রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সসম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাচ্চু বলেন, তিনি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগে নিবেদিত প্রাণ কর্মী ছিলেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় হয়তো বাদ দিয়েছে। এখন কমিটিতে না রাখলে কী করার আছে। দুঃখ এটাই যে, অন্য কোথাও আমাকে রাখতে পারতো।

পাংশা উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ বলেন, আমি উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলাম একথা ঠিক। আমাদেরকে ক্ষমা করা হয়েছে। অথচ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এমন অনেকেই আছে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল অথচ নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। কমিটিতে এমন অনেকেই আছেন যাদেরকে চিনি না। আবার কেউ কেউ রাজবাড়ীতে থাকে না। এসবই কেন্দ্রীয় কমিটির বিষয়। আমাদের কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবেনা।

 নতুন কমিটি নিয়ে ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ায় কেন্দ্রীয় কমিটিকে ধন্যবাদ এবং যারা কমিটিতে এসেছেন তাদের শুভেচ্ছা।

রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগৈর সহ সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, তারা (কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ) যেভাবে ডিক্লিারেশন দিয়ে গিয়েছিল সেভাবে হয়নি। ওলট পালট কিছু হয়েছে। যাদের যেখানে থাকার কথা তারা সেখানে নাই। কেন্দ্র থেকে আমাকে ৪ নং সহ সভাপতি ঘোষণা করা হলেও আমাকে করা হয়েছে ৭ নং সহ সভাপতি। এটা উচিৎ হয়নি। কিন্তু আমরা সরাসরি কিছু বলতে পারছি না। কমিটিতে এমন অনেকেই স্থান পেয়েছে যাদের আমি চিনি না। জেলা আওয়ামী লীগে আসতে গেলে একটা ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে। আন্দোলন, সংগ্রাম, ত্যাগ তিতিক্ষা থাকতে হয়। সেইভাবে অনেকেরই দেখি নাই।

এবিষয়ে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম বলেন, আমরা অফিসিয়ালি কোনো কমিটি হাতে পাইনি। হাওয়ায় ভাসা কোনো খবরের বিষয়ে মন্তব্য করতে পারিনা। কমিটি নিয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সাথেও কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয় নাই। যেকারণে এখন কিছু বলতে পারছি না।