Dhaka ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দির বাজারগুলোতে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ,

ইমদাদুল হক রানা
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১৯:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২
  • / ১১৪৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি হাট বাজারগুলোতে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। নানা প্রকার সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পেলেও কমেনি দাম।

রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে  ৮৮০ হেক্টরে জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শিম, বরবটি, পালংশাক, করলা, বেগুণসহ নানা প্রকার সবজি বাজারে আসলেও দাম কমেনি একটুও ।

বর্তমানে উপজেলার  বহরপুর, আড়কান্দি, জামালপুর, সোনাপুর, নারুয়া, বেরুলী, রামদিয়া, বালিয়াকান্দিসহ বিভিন্ন হাটবাজারে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি ফুলকপি ৪৫ -৫০  টাকা, সীম ৭৫  টাকা,  বেগুন প্রতি কেজি ৫৫ – ৬০ টাকা,  পটল ৪০  টাকা, মুলা ২৫ টাকা, কাকরোল  ৫৫  টাকা, পালংশাক ৪০ টাকা ও বরবটি ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  এছাড়াও লাউ প্রতি পিস ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, লালশাক প্রতি আঁটি ৬  টাকা, করলা প্রতি কেজি ৪৫ টাকা।

মঙ্গলবার  রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি  উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের কৃষক জনাব আলী ও মোঃ রানা শেখ বলেন, আগাম শীতকালীন সবজির ভালো দাম পেয়েছিলাম। এখন শীতকালীন সবজি উঠেছে তাই দাম কিছুটা কম। এবার দাম একটু ভালো পাওয়ার কারণে কিছুটা লাভ হয়েছে। উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের গাংচর পদমদী গ্রামের কৃষক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, টুটুল শেখ  মোঃ মনছুর আলী বলেন, আগাম শীতকালীন সবজিতে খরচ বেশি হয়েছিলো। কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে সেসময় সবজি নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। তবুও দাম ভালো পাওয়ার কারণে সেই ক্ষতিটা পুষিয়ে উঠেছি। এখন শীতকালীন সবজির ফলন বেশি পাচ্ছি। দাম আগের তুলনায় কিছুটা কম হলেও সমস্যা হচ্ছে না।

রবিবার  (৩০ অক্টোবর) বালিয়াকান্দি হাটে সবজি কিনতে আসা রিয়াজুল ইসলাম, আবুল কালাম, দেবব্রত বিশ্বাস, মোঃ রমজান আলী বলেন, কয়েকদিন তো সবজি কেনাই যাচ্ছিলো না। এখন সবজির সরবরাহ বেশি তবে দামও চড়া। তাহলেও এখন অধিক পাওয়া যাচ্ছে।

বালিয়াকান্দি উপজেলা  কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম  বলেন, এ বছরে আমাদের উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে ৮৮০ হেক্টর জমিতে। আমাদের ইউনিয়ন উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের সাথে যোগাযোগ ও পরামর্শ প্রদান করে থাকেন।

আবহাওয়া অনুকুল থাকায় শীতকালীন সবজির উৎপাদন অনেকটাই বেড়েছে। একারনে হাটবাজারগুলোতে অধিক পরিমানে শীতকালীন সবজি পাওয়া যাচ্ছে। তবে দামের দিকটা তুলনামূলক একটু চড়া। আগামীতে দাম কিছুটা পড়বে বলে তিনি জানান।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বালিয়াকান্দির বাজারগুলোতে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ,

প্রকাশের সময় : ০৮:১৯:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি হাট বাজারগুলোতে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। নানা প্রকার সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পেলেও কমেনি দাম।

রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে  ৮৮০ হেক্টরে জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শিম, বরবটি, পালংশাক, করলা, বেগুণসহ নানা প্রকার সবজি বাজারে আসলেও দাম কমেনি একটুও ।

বর্তমানে উপজেলার  বহরপুর, আড়কান্দি, জামালপুর, সোনাপুর, নারুয়া, বেরুলী, রামদিয়া, বালিয়াকান্দিসহ বিভিন্ন হাটবাজারে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি ফুলকপি ৪৫ -৫০  টাকা, সীম ৭৫  টাকা,  বেগুন প্রতি কেজি ৫৫ – ৬০ টাকা,  পটল ৪০  টাকা, মুলা ২৫ টাকা, কাকরোল  ৫৫  টাকা, পালংশাক ৪০ টাকা ও বরবটি ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  এছাড়াও লাউ প্রতি পিস ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, লালশাক প্রতি আঁটি ৬  টাকা, করলা প্রতি কেজি ৪৫ টাকা।

মঙ্গলবার  রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি  উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের কৃষক জনাব আলী ও মোঃ রানা শেখ বলেন, আগাম শীতকালীন সবজির ভালো দাম পেয়েছিলাম। এখন শীতকালীন সবজি উঠেছে তাই দাম কিছুটা কম। এবার দাম একটু ভালো পাওয়ার কারণে কিছুটা লাভ হয়েছে। উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের গাংচর পদমদী গ্রামের কৃষক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, টুটুল শেখ  মোঃ মনছুর আলী বলেন, আগাম শীতকালীন সবজিতে খরচ বেশি হয়েছিলো। কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে সেসময় সবজি নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। তবুও দাম ভালো পাওয়ার কারণে সেই ক্ষতিটা পুষিয়ে উঠেছি। এখন শীতকালীন সবজির ফলন বেশি পাচ্ছি। দাম আগের তুলনায় কিছুটা কম হলেও সমস্যা হচ্ছে না।

রবিবার  (৩০ অক্টোবর) বালিয়াকান্দি হাটে সবজি কিনতে আসা রিয়াজুল ইসলাম, আবুল কালাম, দেবব্রত বিশ্বাস, মোঃ রমজান আলী বলেন, কয়েকদিন তো সবজি কেনাই যাচ্ছিলো না। এখন সবজির সরবরাহ বেশি তবে দামও চড়া। তাহলেও এখন অধিক পাওয়া যাচ্ছে।

বালিয়াকান্দি উপজেলা  কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম  বলেন, এ বছরে আমাদের উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে ৮৮০ হেক্টর জমিতে। আমাদের ইউনিয়ন উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের সাথে যোগাযোগ ও পরামর্শ প্রদান করে থাকেন।

আবহাওয়া অনুকুল থাকায় শীতকালীন সবজির উৎপাদন অনেকটাই বেড়েছে। একারনে হাটবাজারগুলোতে অধিক পরিমানে শীতকালীন সবজি পাওয়া যাচ্ছে। তবে দামের দিকটা তুলনামূলক একটু চড়া। আগামীতে দাম কিছুটা পড়বে বলে তিনি জানান।