গোয়ালন্দে ডিজিটাল গ্রামীণ কৃষি মেলা অনুষ্ঠিত
- প্রকাশের সময় : ০৯:০১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২
- / ১১৯৫ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ গোয়ালন্দ উপজলোর স্বরুপারচক গ্রামে কৃষি উৎপাদন মুখী আইপএিম ক্লাব সমবায় সমতিি ল.ি এর উদ্দোগে সারা বাংলা কৃষক সসাইটরি সহায়তায় ও জাতসিংঘরে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার র্অথায়নে দনি ব্যাপি ডজিটিাল গ্রাম মলোর আয়োজন ও পুরষ্কার বতিরণ করা হয়। মলোয় প্রধান অতথিী হসিবেে উপস্থতি ছলিনে মোস্তফা মুন্সি চয়োরম্যান গোয়ালন্দ উপজলো পরষিদ গোয়ালন্দ রাজবাড়ী ও সভাপতত্বি করনে জনাব খোকনুজ্জামান কৃষি র্কমর্কতা গোয়ালন্দ রাজবাড়ী।
বাংলাদেশে তৃণমূল পর্যায়ের ৫৫টি উৎপাদনকারী সংগঠন এবং তাদের শীর্ষ সংগঠন সারা বাংলা কৃষক সোসাইটি. জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় তাদের গ্রামে ডিজিটাল গ্রাম সেবা কেন্দ্র স্থাপন করেছে। সরকারের রূপকল্পে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় এবং এফএও-র সারাবিশে^ ১ হাজার ডিজিটাল গ্রাম উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে সারা বাংলা কৃষক সোসাইটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য ডিজিটাল কৃষি সেবা বৃদ্ধিতে সারা দেশে ৫৫টি ডিজিটাল গ্রাম মেলার আয়োজন করেছে এবং এই গুরুত্বপূর্ণ সেবা কেন্দ্রগুলো চালু করেছে।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজলোর স্বরুপারচক গ্রামের সেবা কেন্দ্র অপারেটর এস এম রঞ্জু বলেন, ‘আমাদের গ্রামবাসীকে কোনো কিছু প্রিন্ট করতে বা কৃষিকাজ অথবা বয়স্ক/বিধবা ভাতা সম্পর্কে তথ্য পেতে দূরের বাজারে যেতে হয়। ডিজিটাল গ্রাম সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল সেবাগুলো এখন আমাদের বাড়ির কাছেই পাওয়া যায়। এছাড়াও কেন্দ্রগুলো গ্রামের যুব-যুবাদের আইসিটি প্রশিক্ষণ প্রদান করে যারা আমাদের এলাকার বড় সম্পদ।’
বাঙালি ঐতিহ্য অনুযায়ী গ্রামের প্রায় সকল সম্প্রদায় ডিজিটাল গ্রাম মেলায় অংশ নিয়েছে- এ যেন এক মিলন মেলা। মেলায় ডিজিটাল গ্রাম সেবা কেন্দ্রের স্টলে সমস্ত ডিজিটাল সেবা দর্শকদের জন্য প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া উপজেলা কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য কর্মকর্তা থেকে শুরু করে স্থানীয় ব্যাংক, মোবাইল অপারেটর, মোবাইল আর্থিক লেনদেন সেবাপ্রদানকারী, নার্সারী এবং উপকরণ সরবরাহকারী কোম্পানি তাদের সেবা ও পণ্য প্রদর্শনের জন্য আলাদা আলাদা স্টল দিয়েছে।
সারা বাংলা কৃষক সোসাইটি’র সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক বলেন, ‘আমরা গ্রামের সাধারণ মানুষদের ডিজিটাল গ্রাম সেবা কেন্দ্রের সেবাগুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য এই মেলার আয়োজন করেছি। সেবা কেন্দ্রগুলোকে গ্রামবাসীরা নিজেদের ঘর গৃহস্থালী মনে করে তথ্য আদান-প্রদান, সরকারি, বেসরকারি খাত এবং ব্যাংকের সাথে সহজেই সংযুক্ত হতে পারবে’।
বাংলাদেশের এফএও প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন বলেন, ‘সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এফএও’র ডিজিটাল গ্রাম উদ্যোগ কাজ করছে যাতে কৃষি পরিষেবাগুলো ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়, ডিজিটাল সংযোগ বাড়ে এবং জীবন মানের উন্নতি হয়।