Dhaka ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেয়ের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ॥ মামলা প্রত্যাহারে হুমকির অভিযোগ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১২৭৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ হত্য মামলা প্রত্যাহার করতে অব্যহত চাপ ও হুমকির অভিযোগ এনে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মেয়ের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহত জয়গনের পরিবার। বুধবার দুপুরে গোয়ালন্দ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দেওয়ান পাড়ায় নিজ বাড়িতে এ দাবী করে জয়গনের  পরিবারবর্গ।

নিহত জয়গনের বাবা জয়নদ্দিন শেখ জানান, আমার মেয়ে জয়গন বেগমকে (৩৫) দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চরকর্ণেশন আঙ্কের শেখের গ্রামের ইসলাম সরদারের ছেলে মুক্তার সরদারের (৪২) সাথে প্রায় ২০ বছর আগে বিয়ে দেই। তাদের সংসারে ১টি ছেলে ও ১টি মেয়ে সন্তান রয়েছে। গত ৩০ জুন দুপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে মুক্তার ও তার বোন আমেনা বেগম (৪৫) মিলে  আমার মেয়েকে বেধরক পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে  হত্যা করে। এ বিষয়ে আমি গত ০৪ জুন মুক্তার সরদার ও তার বোন আমেনা বেগমকে আসামি করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। কিন্তু তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আসামী ও তার আত্মীয় স্বজনেরা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য আমাদেরকে নানাভাবে  হুমকি-ধামকি প্রদর্শন ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এতে করে আমি ও আমার পরিবারের সকলেই নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমি আমার মেয়ের  হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ন্যায় বিচারের প্রার্থনা করছি।

জয়গনকে হত্যার কারন জিজ্ঞেস করলে জয়নদ্দিন শেখ জানান, তার মেয়ে জামাই মুকতার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে এক যৌনকর্মীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বাড়ি থেকে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ফসলাদি বিক্রি করে ওই যৌনকর্মীর পেছনে খরচ করতে থাকে। ঠিকমতো বাড়িঘরেও আসত না। ওই যৌনকর্মীর কাছেই থাকত। এর প্রতিবাদ করায় সে (মুক্তার) আমার মেয়েকে প্রায়ই নির্যাতন করতো। ঠিকমতো ভরন-পোষন দিত না। তারা শেষ পর্যন্ত আমার মেয়েকে মেরে ফেলে।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, আমরা আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি। আশাকরি তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে পারব। এ ছাড়া বাদী বা তার পরিবারের কাউকে যদি কেউ কোনরূপ হুমকি দিয়ে থাকে তাহলে তাদেরকেও চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

মেয়ের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ॥ মামলা প্রত্যাহারে হুমকির অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৭:০০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন ॥ হত্য মামলা প্রত্যাহার করতে অব্যহত চাপ ও হুমকির অভিযোগ এনে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মেয়ের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহত জয়গনের পরিবার। বুধবার দুপুরে গোয়ালন্দ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দেওয়ান পাড়ায় নিজ বাড়িতে এ দাবী করে জয়গনের  পরিবারবর্গ।

নিহত জয়গনের বাবা জয়নদ্দিন শেখ জানান, আমার মেয়ে জয়গন বেগমকে (৩৫) দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চরকর্ণেশন আঙ্কের শেখের গ্রামের ইসলাম সরদারের ছেলে মুক্তার সরদারের (৪২) সাথে প্রায় ২০ বছর আগে বিয়ে দেই। তাদের সংসারে ১টি ছেলে ও ১টি মেয়ে সন্তান রয়েছে। গত ৩০ জুন দুপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে মুক্তার ও তার বোন আমেনা বেগম (৪৫) মিলে  আমার মেয়েকে বেধরক পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে  হত্যা করে। এ বিষয়ে আমি গত ০৪ জুন মুক্তার সরদার ও তার বোন আমেনা বেগমকে আসামি করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। কিন্তু তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আসামী ও তার আত্মীয় স্বজনেরা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য আমাদেরকে নানাভাবে  হুমকি-ধামকি প্রদর্শন ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এতে করে আমি ও আমার পরিবারের সকলেই নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমি আমার মেয়ের  হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ন্যায় বিচারের প্রার্থনা করছি।

জয়গনকে হত্যার কারন জিজ্ঞেস করলে জয়নদ্দিন শেখ জানান, তার মেয়ে জামাই মুকতার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে এক যৌনকর্মীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বাড়ি থেকে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ফসলাদি বিক্রি করে ওই যৌনকর্মীর পেছনে খরচ করতে থাকে। ঠিকমতো বাড়িঘরেও আসত না। ওই যৌনকর্মীর কাছেই থাকত। এর প্রতিবাদ করায় সে (মুক্তার) আমার মেয়েকে প্রায়ই নির্যাতন করতো। ঠিকমতো ভরন-পোষন দিত না। তারা শেষ পর্যন্ত আমার মেয়েকে মেরে ফেলে।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, আমরা আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি। আশাকরি তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে পারব। এ ছাড়া বাদী বা তার পরিবারের কাউকে যদি কেউ কোনরূপ হুমকি দিয়ে থাকে তাহলে তাদেরকেও চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।