Dhaka ০১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাক প্রতিবন্ধী নিখোঁজ বোনকে খুঁজে পেতে ভাইয়ের আকুতি

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ১২:২৬:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১
  • / ১৩০৭ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥  বাক প্রতিবন্ধী নিখোঁজ বোনকে খুঁজে পেতে আকুতি  জানিয়েছেন  তার ভাই মোকসেদ প্রামানিক সাগর। গত চার মাস ধরে রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হন্যে হয়ে ঘুরছে  তার বোনকে ফিরে পেতে। এবিষয়ে ২৮ মার্চ তারিখে তিনি কালুখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলিশও  চেষ্টার ত্রুটি করেনি খুঁজে বের করতে। নিখোঁজ নাসিমা বেগম (৩২) রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের ইসলাম শেখের স্ত্রী। তার ১২ ও নয় বছর  বয়সী  দুটি সন্তান রয়েছে। গত ২৫ মার্চ থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।

মোকছেদ  প্রামানিক সাগর জানান, ছোটকালে মাকে হারিয়েছেন। বাবা বৃদ্ধ। চলাফেরা করতে পারেন না। আপনজন বলতে  বাক প্রতিবন্ধী বোনটিই রয়েছে। ২৫ মার্চ তারিখে ডাক্তার দেখাতে রাজবাড়ী শহরে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। বিষয়টি তিনি জানার পর থানায় জিডি করেন। প্রথমে তিনি রাজবাড়ী  শহরসহ উপজেলা, হাট-বাজারসহ  সম্ভাব্য সব জায়গাতে  খুঁজে বেরিয়েছেন। খুঁজে না পাওয়ার পর তার প্রতিবেশীরাও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছে। পোস্টার করে বিভিন্ন জায়গায় দিয়েছেন। ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তার বোনের ছবিসহ লিখে জানিয়েছেন ফিরে পেতে।  কিন্তু কিছুতেই তার বোনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার বোনের দুটি সন্তান। তাদের দেখাশোনার কেউ নেই। গত চার মাস ধরে অর্ধাহারে অনাহারে রয়েছে তারা। কী করলে বোনকে ফিরে পাবো সেটাই বুঝতে পারছিনা। তার বোনের সংসারে কোনো সমস্যা ছিলনা যে স্বামীর সাথে রাগ করে চলে যাবে।

কালুখালী থানার ওসি নাজমুল হাসান জানান, থানায় জিডি হওয়ার পর আমরা নাসিমা বেগম নামের বাক প্রতিবন্ধী ওই নারীকে খুঁজে পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। প্রথমে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার কয়েকদিন ধরে রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন স্থানে খুঁজেছে।  এরপর জেলার বাইরে বিভিন্ন থানায় তার ছবি পাঠানো হয়েছে। পুলিশের মিডিয়া সেলে সকল তথ্য দেওয়া হয়েছে। পুলিশের ফেসবুকেও ছবি আর তথ্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় ডিশ লাইনে প্রচার করা হয়েছে। এমন কোনো মাধ্যম নেই যেখানে বিষয়টি জানানো হয়নি। সমস্যা হলো মেয়েটি কথা বলতে পারেনা। লিখতেও পারেনা। একারণে এখন পর্যন্ত কোনো ক্লু  পাওয়া যায়নি। তবে আমরা খুঁজে পেতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বাক প্রতিবন্ধী নিখোঁজ বোনকে খুঁজে পেতে ভাইয়ের আকুতি

প্রকাশের সময় : ১২:২৬:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন ॥  বাক প্রতিবন্ধী নিখোঁজ বোনকে খুঁজে পেতে আকুতি  জানিয়েছেন  তার ভাই মোকসেদ প্রামানিক সাগর। গত চার মাস ধরে রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হন্যে হয়ে ঘুরছে  তার বোনকে ফিরে পেতে। এবিষয়ে ২৮ মার্চ তারিখে তিনি কালুখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলিশও  চেষ্টার ত্রুটি করেনি খুঁজে বের করতে। নিখোঁজ নাসিমা বেগম (৩২) রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের ইসলাম শেখের স্ত্রী। তার ১২ ও নয় বছর  বয়সী  দুটি সন্তান রয়েছে। গত ২৫ মার্চ থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।

মোকছেদ  প্রামানিক সাগর জানান, ছোটকালে মাকে হারিয়েছেন। বাবা বৃদ্ধ। চলাফেরা করতে পারেন না। আপনজন বলতে  বাক প্রতিবন্ধী বোনটিই রয়েছে। ২৫ মার্চ তারিখে ডাক্তার দেখাতে রাজবাড়ী শহরে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। বিষয়টি তিনি জানার পর থানায় জিডি করেন। প্রথমে তিনি রাজবাড়ী  শহরসহ উপজেলা, হাট-বাজারসহ  সম্ভাব্য সব জায়গাতে  খুঁজে বেরিয়েছেন। খুঁজে না পাওয়ার পর তার প্রতিবেশীরাও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছে। পোস্টার করে বিভিন্ন জায়গায় দিয়েছেন। ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তার বোনের ছবিসহ লিখে জানিয়েছেন ফিরে পেতে।  কিন্তু কিছুতেই তার বোনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার বোনের দুটি সন্তান। তাদের দেখাশোনার কেউ নেই। গত চার মাস ধরে অর্ধাহারে অনাহারে রয়েছে তারা। কী করলে বোনকে ফিরে পাবো সেটাই বুঝতে পারছিনা। তার বোনের সংসারে কোনো সমস্যা ছিলনা যে স্বামীর সাথে রাগ করে চলে যাবে।

কালুখালী থানার ওসি নাজমুল হাসান জানান, থানায় জিডি হওয়ার পর আমরা নাসিমা বেগম নামের বাক প্রতিবন্ধী ওই নারীকে খুঁজে পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। প্রথমে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার কয়েকদিন ধরে রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন স্থানে খুঁজেছে।  এরপর জেলার বাইরে বিভিন্ন থানায় তার ছবি পাঠানো হয়েছে। পুলিশের মিডিয়া সেলে সকল তথ্য দেওয়া হয়েছে। পুলিশের ফেসবুকেও ছবি আর তথ্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় ডিশ লাইনে প্রচার করা হয়েছে। এমন কোনো মাধ্যম নেই যেখানে বিষয়টি জানানো হয়নি। সমস্যা হলো মেয়েটি কথা বলতে পারেনা। লিখতেও পারেনা। একারণে এখন পর্যন্ত কোনো ক্লু  পাওয়া যায়নি। তবে আমরা খুঁজে পেতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।