Dhaka ০১:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালুখালীতে বাবা-ছেলেসহ ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১
  • / ১৪৩৪ জন সংবাদটি পড়েছেন

 জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মাজবাড়ি ইউনিয়নের মোহনপুর বাজারের ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম, তার ছেলে হাসান মিয়া ও ভাই বিল্লাল মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাত সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তারা রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতদের দাবি, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ মেম্বার পূর্ব শত্রুতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র  করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা  মহিউদ্দিন শেখ ইনছুকেও লাঞ্ছিত করা হয়।

ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম জানান, বিগত কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি নৌকার প্রার্থীর পক্ষে  নির্বাচন করেন। ইউসুফ মেম্বার তাকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করতে বলেছিলেন। তার কথা না শোনায় তখন থেকেই নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিলো ইউসুফ মেম্বার। শুক্রবার রাতে মোহনপুর বাজারে তার দোকানের সামনে বসেছিলেন। এসময় কোনো কারণ ছাড়াই ইউসুফ মেম্বারের নির্দেশে তার লোকজন রড হাতুড়ি লাঠি নিয়ে অতর্কিতে তার উপর হামলা চালায়। তিনি দোকানে ঢুকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা সেখানে গিয়ে বেধরক পেটায়। এরপর তার ছেলে ও ভাইকে মারধর করে।

ইতিপূর্বেও তার উপর হামলা করা হয়েছিল। তখন দৌড়ে পালিয়েছিলেন। কিন্তু এবার আর দৌড়ে পালাতে পারেননি।

এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাজবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন শেখ ইনছু লাঞ্ছিত হয়েছেন। মহিউদ্দিন শেখ ইনছু জানান, ঘটনার পর পুলিশ  এসে তাকে ডেকে  নিয়ে বিষয়টি শুনতে চায়। সেখানে ইউসুফ মেম্বারের দুই ছেলে উপস্থিত ছিল। তিনি  পুলিশকে বলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আছে। সেটা দেখেই আসামি  চিহ্নিত করা যাবে। এ কথা বলার পরই ইউসুফ মেম্বারের দুই ছেলে ও তার লোকজন আমাকে মারধর  করে। এবিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।

কালুখালী থানার ওসি নাজমুল হাসান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মামলা দিতে চাইলে তা গ্রহণ করা হবে। ঘটনার সাথে যে বা যারাই জড়িত থাকুক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউসুফ মেম্বারের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করেন। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বলেন, আমি দেখছি উনি কোথায় আছে? তারপর  ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর বহু চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা যায়নি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

কালুখালীতে বাবা-ছেলেসহ ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১

 জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মাজবাড়ি ইউনিয়নের মোহনপুর বাজারের ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম, তার ছেলে হাসান মিয়া ও ভাই বিল্লাল মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাত সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তারা রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতদের দাবি, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ মেম্বার পূর্ব শত্রুতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র  করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা  মহিউদ্দিন শেখ ইনছুকেও লাঞ্ছিত করা হয়।

ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম জানান, বিগত কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি নৌকার প্রার্থীর পক্ষে  নির্বাচন করেন। ইউসুফ মেম্বার তাকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করতে বলেছিলেন। তার কথা না শোনায় তখন থেকেই নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিলো ইউসুফ মেম্বার। শুক্রবার রাতে মোহনপুর বাজারে তার দোকানের সামনে বসেছিলেন। এসময় কোনো কারণ ছাড়াই ইউসুফ মেম্বারের নির্দেশে তার লোকজন রড হাতুড়ি লাঠি নিয়ে অতর্কিতে তার উপর হামলা চালায়। তিনি দোকানে ঢুকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা সেখানে গিয়ে বেধরক পেটায়। এরপর তার ছেলে ও ভাইকে মারধর করে।

ইতিপূর্বেও তার উপর হামলা করা হয়েছিল। তখন দৌড়ে পালিয়েছিলেন। কিন্তু এবার আর দৌড়ে পালাতে পারেননি।

এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাজবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন শেখ ইনছু লাঞ্ছিত হয়েছেন। মহিউদ্দিন শেখ ইনছু জানান, ঘটনার পর পুলিশ  এসে তাকে ডেকে  নিয়ে বিষয়টি শুনতে চায়। সেখানে ইউসুফ মেম্বারের দুই ছেলে উপস্থিত ছিল। তিনি  পুলিশকে বলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আছে। সেটা দেখেই আসামি  চিহ্নিত করা যাবে। এ কথা বলার পরই ইউসুফ মেম্বারের দুই ছেলে ও তার লোকজন আমাকে মারধর  করে। এবিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।

কালুখালী থানার ওসি নাজমুল হাসান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মামলা দিতে চাইলে তা গ্রহণ করা হবে। ঘটনার সাথে যে বা যারাই জড়িত থাকুক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউসুফ মেম্বারের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করেন। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বলেন, আমি দেখছি উনি কোথায় আছে? তারপর  ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর বহু চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা যায়নি।