৩৬০ জন হতদরিদ্রের চোখের আলো ফিরিয়েছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা খায়রুল বাশার খান
- প্রকাশের সময় : ০৭:২০:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১
- / ১৩৩৭ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের খোর্দ্দমেগচামী গ্রামের বাসিন্ধা অবসরপ্রাপ্ত আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা খায়রুল বাশার খান। তিনি একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা। অস্ত্র হাতে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন। এখন সমাজসেবার ব্রত নিয়ে মানুষের সেবা করে চলেছেন। তার বদৌলতে চোখের আলো ফিরে পেয়েছেন ৩৬০জন দুস্থ ও হতদরিদ্র মানুষ। মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস এবংয় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুক্রবার ১০জন দারিদ্র ও অসহায় মানুষের নিজের অর্থায়নে চোখের ছানি অপারেশন করেছেন। তারা হলেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলার বিলনয়াবাদের আঃ আজিজ, গোপালপুর গ্রামের জাহিদ শেখ, গোলজান বিবি, মহিশবাতানের মনোয়ারা বেগম, ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার আশাপুর গ্রামের রহিমা বেগম, জবেদা বেগম, মধুপুর গ্রামের বিলকিছ নাহার, ফরিদপুর সদর উপজেলার বনকাইল গ্রামের আনোয়ারা বেগম, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার আমতৈল গ্রামের আখিরন নেছা, বালিয়াকান্দি উপজেলার শালমারা গ্রামের ওয়াজেদ শেখ।
সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ইতিমধ্যে পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পদক, মহাত্ম্যা গান্ধী পুরস্কার, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী স্বর্ণপদকসহ পাঁচটি পুরস্কার। ব্যক্তিজীবনে এক মেয়ে ও এক ছেলের জনক খায়রুল বাশার খান ১৯৮০ সালের ১ জুন আনসার বাহিনীতে যোগ দেন। এখন অবসর জীবন-যাপন করছেন। বিশেষ করে যাদের চোখে ছানি পড়েছে। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না এমন লোকজনকে খুঁজে বের করে ছানি অপারেশন করান নিজ খরচে। অবশ্য তাকে এ-কাজে সহযোগিতা করেন তার জামাতা খন্দকার শামীম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তাকে একটু ছাড় দেন। তা ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মানুষকেও সাধ্যমতো সাহায্য করেন তিনি। জটিল রোগে যারা আক্রান্ত, তাদের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তাও দেন খায়রুল বাশার খান।
খায়রুল বাশার খান বলেন, টাকার অভাবে একজন মানুষ ধীরে ধীরে চোখের আলো হারিয়ে ফেলবে, এটা হতে পারে না। তাই তিনি মানুষকে সহায়তা করেন। চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণের পর এখন পুরোপুরি সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। সমাজসেবাতেই তার আনন্দ। যতদিন বেচে থাকবেন এ সেবা প্রদান অব্যহত রাখার অঙ্গিকার করেন।