google.com, pub-6890555873338496, DIRECT, f08c47fec0942fa0
Dhaka ০৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ:

রাজবাড়ীতে স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ ২০২১
  • / 346

 জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীতে স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের দায়ে ছয় যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ  দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক শারমীন নিগার এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো রাজবাড়ী পৌর শহরের ভবানীপুর ড্রাই আইচ ফ্যাক্টরী এলাকার ইউনিচ খার ছেলে সুজন, একই গ্রামের আক্তার ফকিকের ছেলে আল আমিন ফকির, মৃত নুরআলী ফকিরের ছেলে মোস্তফা ফকির ওরফে মোস্ত, নাড়– কুমার সরকারের ছেলে আকাশ সরকার, বড় লক্ষীপুর গ্রামের খালেক প্রামানিকের ছেলে ফজলুর রহমান এবং মৃত আবুল ব্যাপারীর ছেলে বাবু ব্যাপারী ওরফে কমান্ডার। এদের মধ্যে মোস্তফা ফকির পলাতক রয়েছে।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় প্রেমিক সুজন কিশোরীকে তার বন্ধুদের হাতে তুলে দেয়। ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি তারিখে ঘটে গণধর্ষণের এ ঘটনা। ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, সুজনের সাথে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একদিন কিশোরী জানতে পারে সুজন বিবাহিত। এরপর থেকে সে সুজনের সাথে আর যোগাযোগ করেনি। একদিন দুপুরে কিশোরী রেললাইন ধরে রাজবাড়ী শহর থেকে বাড়ি যাচ্ছিল। পথিমধ্যে সুজনের সাথে তার দেখা হয়। সুজন তাকে কথা আছে বলে পাশে নিয়ে যায় এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলে; তুমি বিবাহিত। তোমাকে বিয়ে করা সম্ভব না। একথা শুনে সুজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এরপর কিশোরী বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হই। কিছু দূর যাবার পর সুজন মোবাইলে ফোন দিয়ে বলে; একটু দাঁড়াও। রিক্সা নিয়ে আসছি। কিছু সময় পরে সুজন তার তিন বন্ধু আল আমিন, আকাশ ও মোস্তফাকে সাথে করে গঙ্গাপ্রসাদপুর কৈলারবাজার ব্রীজের কাছে আসে।  সুজন জানায়; তার মা বিয়ের ব্যাপারে কথা বলবে। একথা বলে সুজন রিক্সায় করে কিশোরীকে ড্রাই আইচ ফ্যাক্টরী এলাকায় নিয়ে যায়। তাকে রিক্সা থেকে নামিয়ে সুজন তার বন্ধুদের কাছে রেখে মাকে আনার কথা বলে চলে যায়। এরপর আল আমিন, মোস্তফা ওরফে মোস্ত, আকাশ, বাবু ও ফজলু তাকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর  আসামিরা  আমাকে সেখানে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকদের সহায়তায় কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করার পর আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে এ রায় দেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ ২০২১

 জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীতে স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের দায়ে ছয় যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ  দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক শারমীন নিগার এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো রাজবাড়ী পৌর শহরের ভবানীপুর ড্রাই আইচ ফ্যাক্টরী এলাকার ইউনিচ খার ছেলে সুজন, একই গ্রামের আক্তার ফকিকের ছেলে আল আমিন ফকির, মৃত নুরআলী ফকিরের ছেলে মোস্তফা ফকির ওরফে মোস্ত, নাড়– কুমার সরকারের ছেলে আকাশ সরকার, বড় লক্ষীপুর গ্রামের খালেক প্রামানিকের ছেলে ফজলুর রহমান এবং মৃত আবুল ব্যাপারীর ছেলে বাবু ব্যাপারী ওরফে কমান্ডার। এদের মধ্যে মোস্তফা ফকির পলাতক রয়েছে।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় প্রেমিক সুজন কিশোরীকে তার বন্ধুদের হাতে তুলে দেয়। ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি তারিখে ঘটে গণধর্ষণের এ ঘটনা। ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, সুজনের সাথে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একদিন কিশোরী জানতে পারে সুজন বিবাহিত। এরপর থেকে সে সুজনের সাথে আর যোগাযোগ করেনি। একদিন দুপুরে কিশোরী রেললাইন ধরে রাজবাড়ী শহর থেকে বাড়ি যাচ্ছিল। পথিমধ্যে সুজনের সাথে তার দেখা হয়। সুজন তাকে কথা আছে বলে পাশে নিয়ে যায় এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলে; তুমি বিবাহিত। তোমাকে বিয়ে করা সম্ভব না। একথা শুনে সুজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এরপর কিশোরী বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হই। কিছু দূর যাবার পর সুজন মোবাইলে ফোন দিয়ে বলে; একটু দাঁড়াও। রিক্সা নিয়ে আসছি। কিছু সময় পরে সুজন তার তিন বন্ধু আল আমিন, আকাশ ও মোস্তফাকে সাথে করে গঙ্গাপ্রসাদপুর কৈলারবাজার ব্রীজের কাছে আসে।  সুজন জানায়; তার মা বিয়ের ব্যাপারে কথা বলবে। একথা বলে সুজন রিক্সায় করে কিশোরীকে ড্রাই আইচ ফ্যাক্টরী এলাকায় নিয়ে যায়। তাকে রিক্সা থেকে নামিয়ে সুজন তার বন্ধুদের কাছে রেখে মাকে আনার কথা বলে চলে যায়। এরপর আল আমিন, মোস্তফা ওরফে মোস্ত, আকাশ, বাবু ও ফজলু তাকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর  আসামিরা  আমাকে সেখানে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকদের সহায়তায় কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করার পর আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে এ রায় দেন।