Dhaka ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দির ইউএনও’র উদ্যোগে শিশুটি ফিরে গেছে পরিবারের কাছে

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০০:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১
  • / 261

জনতার আদালত অনলাইন ॥ বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা উদ্যোগী হয়ে রফিকুল ইসলাম নামের ১০ বছরের শিশুটিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন পরিবারের কাছে। মঙ্গলবার রাতে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার ভাইয়ের হাতে শিশুটিকে তুলে দেন। রফিকুল নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মৃত বাদশা মন্ডলের ছেলে।

গত ২৩ জানুয়ারি তার আপন বড় ভাই ও ভাবী ‘যেখানে মন চায় চলে যাবি’ বলে তাকে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা গোপালগঞ্জগামী টুঙ্গিপাড়া আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনে তুলে দেয়। রাতে শিশুটি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর স্টেশনে নেমে বিচ্ছিন্নভাবে ঘোরাফেরা করছিল। ওই সময় স্থানীয় হেলাল খন্দকার শিশুটিকে রাতে নিজের কাছে রেখে পরদিন ইউএনও’র কাছে নিয়ে যান।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা জানান, শিশুটিকে ইউএনও কার্যালয়ে আনার পর তার হেফাজতেই ছিল। তার ভাই ভাবী ভরণপোষন করতে পারবে না বলে ট্রেনে তুলে দিয়েছিল। এরপরও শিশুটি পরিবারের কাছেই ফিরে যেতে চাইছিল। সবকিছু শুনে নওগাঁর রানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে তার বড় ভাইকে খুঁজে বের করা হয়। মঙ্গলবার রাতে শিশু রফিকুলের বড় ভাই ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার ইউএনও’র প্রত্যয়নপত্র নিয়ে এলে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একই সাথে এধরণের ঘটনা যেন আর না ঘটায় এজন্য কঠোরভাবে হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়। শিশুটি যাতে নিরাপদে থাকে এজন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে থাকবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বালিয়াকান্দির ইউএনও’র উদ্যোগে শিশুটি ফিরে গেছে পরিবারের কাছে

প্রকাশের সময় : ০৭:০০:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন ॥ বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা উদ্যোগী হয়ে রফিকুল ইসলাম নামের ১০ বছরের শিশুটিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন পরিবারের কাছে। মঙ্গলবার রাতে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার ভাইয়ের হাতে শিশুটিকে তুলে দেন। রফিকুল নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মৃত বাদশা মন্ডলের ছেলে।

গত ২৩ জানুয়ারি তার আপন বড় ভাই ও ভাবী ‘যেখানে মন চায় চলে যাবি’ বলে তাকে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা গোপালগঞ্জগামী টুঙ্গিপাড়া আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনে তুলে দেয়। রাতে শিশুটি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর স্টেশনে নেমে বিচ্ছিন্নভাবে ঘোরাফেরা করছিল। ওই সময় স্থানীয় হেলাল খন্দকার শিশুটিকে রাতে নিজের কাছে রেখে পরদিন ইউএনও’র কাছে নিয়ে যান।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা জানান, শিশুটিকে ইউএনও কার্যালয়ে আনার পর তার হেফাজতেই ছিল। তার ভাই ভাবী ভরণপোষন করতে পারবে না বলে ট্রেনে তুলে দিয়েছিল। এরপরও শিশুটি পরিবারের কাছেই ফিরে যেতে চাইছিল। সবকিছু শুনে নওগাঁর রানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে তার বড় ভাইকে খুঁজে বের করা হয়। মঙ্গলবার রাতে শিশু রফিকুলের বড় ভাই ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার ইউএনও’র প্রত্যয়নপত্র নিয়ে এলে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একই সাথে এধরণের ঘটনা যেন আর না ঘটায় এজন্য কঠোরভাবে হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়। শিশুটি যাতে নিরাপদে থাকে এজন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে থাকবে।