Dhaka ১২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেলা পরিষদ সদস্য মজনুসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলেন নারী ইউপি মেম্বার

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৩৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ৩৪৮৪ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ ত্রাণের কার্ড না পেয়ে নারী ইউপি সদস্যকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য ও  কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক  মিজানুর রহমান মজনুসহ আটজনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর আদালতে মামলা হয়েছে।

কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর ২ নং আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলো মদাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রোকনুজ্জামান, আরিফ ফকির, জাহিদ, জুয়েল, জিলাল, কাশেম ও করিম। মামলায় অজ্ঞাত আরও  ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। ধারা নং ১৪৩/৩২৩/৩০৭/৩৭৯/৩৫৪/৩৪৩/৫০৬। আদালতের বিচারক মৌসুমী সাহা  মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য কালুখালী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী ফাতেমা বেগম মদাপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগেরও সভাপতি।

মামলার বিবরণীতে তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৩ মে সকাল ১০টার দিকে করিম নামে এক ব্যক্তি তাকে ফোন করে করোনা সংক্রান্ত ত্রাণ বিতরণের জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যেতে বলে। তিনি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যাওয়া মাত্র মিজানুর রহমান মজনুর নির্দেশে মদাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রোকনুজ্জামানসহ ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী তাকে ঘিরে ধরে বলে, ত্রাণের সব কার্ড তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে। তিনি দিতে রাজী না হওয়ায় রোকনুজ্জামান তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ত্রাণের তালিকা ছিনিয়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলে। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে গেলে তাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে এলোপাথারীভাবে মারপিট শুরু করে। ওই সময় তার শ্লীলতাহানিও ঘটায়। তার আর্তচিৎকারে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়। ওই সময় চেয়ারম্যান কার্যালয়ে ছিলেন না। তিনি অপর নারী ইউপি সদস্য বিউটি প্রামানিকের সাথে ছিলেন। এর আধা ঘণ্টা পর রোকনুজ্জামান আবারও দলবল নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে হামলা চালিয়ে বিউটি প্রামানিককে কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ খবর পেয়ে কালুখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুল আলম, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে কালুখালী উপজেলা পরিষদে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা সেখানেও হানা দিলে তিনি প্রাণভয়ে বাথরুমে পালিয়ে থাকেন। পরে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করে রাজবাড়ী এসে আত্মগোপন করেন। আসামিদের ভয়ে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

জেলা পরিষদ সদস্য মজনুসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলেন নারী ইউপি মেম্বার

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ ত্রাণের কার্ড না পেয়ে নারী ইউপি সদস্যকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য ও  কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক  মিজানুর রহমান মজনুসহ আটজনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর আদালতে মামলা হয়েছে।

কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর ২ নং আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলো মদাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রোকনুজ্জামান, আরিফ ফকির, জাহিদ, জুয়েল, জিলাল, কাশেম ও করিম। মামলায় অজ্ঞাত আরও  ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। ধারা নং ১৪৩/৩২৩/৩০৭/৩৭৯/৩৫৪/৩৪৩/৫০৬। আদালতের বিচারক মৌসুমী সাহা  মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য কালুখালী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী ফাতেমা বেগম মদাপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগেরও সভাপতি।

মামলার বিবরণীতে তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৩ মে সকাল ১০টার দিকে করিম নামে এক ব্যক্তি তাকে ফোন করে করোনা সংক্রান্ত ত্রাণ বিতরণের জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যেতে বলে। তিনি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যাওয়া মাত্র মিজানুর রহমান মজনুর নির্দেশে মদাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রোকনুজ্জামানসহ ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী তাকে ঘিরে ধরে বলে, ত্রাণের সব কার্ড তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে। তিনি দিতে রাজী না হওয়ায় রোকনুজ্জামান তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ত্রাণের তালিকা ছিনিয়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলে। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে গেলে তাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে এলোপাথারীভাবে মারপিট শুরু করে। ওই সময় তার শ্লীলতাহানিও ঘটায়। তার আর্তচিৎকারে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়। ওই সময় চেয়ারম্যান কার্যালয়ে ছিলেন না। তিনি অপর নারী ইউপি সদস্য বিউটি প্রামানিকের সাথে ছিলেন। এর আধা ঘণ্টা পর রোকনুজ্জামান আবারও দলবল নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে হামলা চালিয়ে বিউটি প্রামানিককে কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ খবর পেয়ে কালুখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুল আলম, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে কালুখালী উপজেলা পরিষদে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা সেখানেও হানা দিলে তিনি প্রাণভয়ে বাথরুমে পালিয়ে থাকেন। পরে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করে রাজবাড়ী এসে আত্মগোপন করেন। আসামিদের ভয়ে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।