আ’ লীগ নেতা ইউসুফ মেম্বারসহ ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে আরেকটি মামলা
- প্রকাশের সময় : ০৮:০৯:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অগাস্ট ২০২০
- / ৩২৩৯ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার ম্জাবাড়ি ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামে বেকারী ব্যবসায়ী রবিউল বিশ্বাস খুনের ঘটনার পর থেকে ঘুরে ফিরেই আসছিল একটি নাম ‘ইউসুফ মেম্বার’। কিন্তু কালুখালী থানায় দায়ের করা মামলায় রহস্যজনকভাবে বাদ পড়ে যায় তার নাম। তবে এ খুনের ঘটনায় রাজবাড়ীর আদালতে দায়ের করা মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার নিহতের বোন ও মাজবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য আমেনা বেগম বাদী হয়ে রাজবাড়ীর জুডিসিয়াল ২ নং আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। থানায় দায়ের করা মামলার পাঁচ আসামিকে যথারীতি রেখে এ মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ মেম্বার, তার দুই ছেলে সোহেল, রাসেলসহ মোট আসামি করা হয়েছে ১৩ জনকে। অপর আসামিরা হলো জিল্লু বিশ্বাস ও কামরুল মন্ডল, ইদ্রিস মিয়া, রবিউল ও মনির মন্ডল। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৪/১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
। আসামিদের বাড়ি একই ইউনয়ন এলাকায়।
মামলার অন্যতম আসামি ইউসুফ মেম্বার মাজবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্র্যনির্বাহী সদস্য। তার বাড়ি মাজবাড়ি ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামে। গত ১৫ আগস্ট রবিউল বিশ্বাসকে হত্যা করার পর বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে জনতা। তারা ইউসুফ মেম্বারের বিচারের দাবিতে নানা স্লোগান দেয়।
এদিকে রবিউল বিশ্বাস হত্যার ঘটনায় কালুখালী থানায় দায়ের করার মামলাটি তদন্তভার গ্রহণ করেছে রাজবাড়ীর ডিবি পুলিশ।
রাজবাড়ীর ডিবি ওসি ওমর শরীফ জানান, মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রাকিব মন্ডল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার ইউসুফ মেম্বারের দুই ছেলে সোহেল মোল্লা ও রাসেল মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত সোমবার বিকেলে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে আবারও ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গত ১৪ আগস্ট দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা রবিউল বিশ্বাসকে বিলের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে। পরদিন সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।