Dhaka ১২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দিতে হামলা ভাংচুর ও গুলিবর্ষণ, মোটর সাইকেল আটক

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৪:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৫২৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ পুর্ব বিরোধের জের ধরে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সোনাপুর বাজারে হামলা, ভাংচুর ও ফাকা গুলি বর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। জনরোষে ২টি মোটর সাইকেল ফেলে রেখে চলে গেলেও পুলিশ একটি মোটর সাইকেল আটক করে থানায় এনেছে। মারপিটে আহত ২জনকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলার সোনাপুর গ্রামের ইয়াছিন মাষ্টারের ছেলে সবুর আহম্মেদ দুলাল ও জিলাল আহম্মেদ বলেন, রবিবার রাত ১১টার দিকে সোনাপুর বাজারে তার ঘরে বসে সবুর আহম্মেদ দুলাল, জিলাল আহম্মেদ, শহিদুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা আলমগীর হোসেন মোল্যা, বাবু ও হেলাল বসে স্প্রেইট খাচ্ছিল। এরমধ্যে বকশিয়াবাড়ী গ্রামের রব মেম্বারের ছেলে বাবুর সাথে তার শরীকদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরে জাহিদ, মোবারক, টিটোন, বিলা, ফারুকসহ অন্তত ২০টি মোটর সাইকেল যোগে এসে আতর্কিত হামলা চালায়। তারা ঘরে ঢুকে সবুর আহম্মেদ দুলাল, বাবু ও হেলালকে এলোপাথারী ভাবে মারধোর করে। ঘরে থাকা চেয়ার ভাংচুর করে। আওয়ামীলীগ নেতা আলমগীর হোসেন মোল্যার মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। শোর চিৎকার করলে ৩-৪টি ফাকা গুলি বর্ষন করে। চিৎকার ও গুলির শব্দে এলাকার লোকজন ও বাজার পাহাড়াদাররা এগিয়ে আসলে ২টি মোটর সাইকেল ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে থানার পুলিশ একটি মোটর সাইকেল আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আরেকটি তার মালিক নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় বাবু ও হেলালকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মনিরুল ইসলাম বলেন, হেলালের মাথায় ৬টি সেলাই করা হয়েছে। আর বাবুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে।

বাবু বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তাদের কথা না শোনার কারণে এ হামলা চালিয়েছে।

বালিয়াকান্দি থানার এস,আই জাহিদুল ইসলাম একটি মোটর সাইকেল উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করেছেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বালিয়াকান্দিতে হামলা ভাংচুর ও গুলিবর্ষণ, মোটর সাইকেল আটক

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৪:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অগাস্ট ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ পুর্ব বিরোধের জের ধরে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সোনাপুর বাজারে হামলা, ভাংচুর ও ফাকা গুলি বর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। জনরোষে ২টি মোটর সাইকেল ফেলে রেখে চলে গেলেও পুলিশ একটি মোটর সাইকেল আটক করে থানায় এনেছে। মারপিটে আহত ২জনকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলার সোনাপুর গ্রামের ইয়াছিন মাষ্টারের ছেলে সবুর আহম্মেদ দুলাল ও জিলাল আহম্মেদ বলেন, রবিবার রাত ১১টার দিকে সোনাপুর বাজারে তার ঘরে বসে সবুর আহম্মেদ দুলাল, জিলাল আহম্মেদ, শহিদুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা আলমগীর হোসেন মোল্যা, বাবু ও হেলাল বসে স্প্রেইট খাচ্ছিল। এরমধ্যে বকশিয়াবাড়ী গ্রামের রব মেম্বারের ছেলে বাবুর সাথে তার শরীকদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরে জাহিদ, মোবারক, টিটোন, বিলা, ফারুকসহ অন্তত ২০টি মোটর সাইকেল যোগে এসে আতর্কিত হামলা চালায়। তারা ঘরে ঢুকে সবুর আহম্মেদ দুলাল, বাবু ও হেলালকে এলোপাথারী ভাবে মারধোর করে। ঘরে থাকা চেয়ার ভাংচুর করে। আওয়ামীলীগ নেতা আলমগীর হোসেন মোল্যার মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। শোর চিৎকার করলে ৩-৪টি ফাকা গুলি বর্ষন করে। চিৎকার ও গুলির শব্দে এলাকার লোকজন ও বাজার পাহাড়াদাররা এগিয়ে আসলে ২টি মোটর সাইকেল ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে থানার পুলিশ একটি মোটর সাইকেল আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আরেকটি তার মালিক নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় বাবু ও হেলালকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মনিরুল ইসলাম বলেন, হেলালের মাথায় ৬টি সেলাই করা হয়েছে। আর বাবুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে।

বাবু বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তাদের কথা না শোনার কারণে এ হামলা চালিয়েছে।

বালিয়াকান্দি থানার এস,আই জাহিদুল ইসলাম একটি মোটর সাইকেল উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করেছেন।