Dhaka ০৬:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানুষের ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই – নুরে আলম সিদ্দিকী হক

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০১৯
  • / ২২৬৪ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ আগামী ১৮জুন শেষ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায়। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক জনতার আদালত পত্রিকার সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হক। এ জন্য তিনি দীর্ঘদিন ধরেই নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে গণসংযোগ করে চলেছেন। তৃণমুলে পৌঁছে দিচ্ছেন বর্তমান সরকারের সাফল্যের বার্তা। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী এই নেতা সমাজ উন্নয়নে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে চলেছেন সাধ্যমত। অনেক প্রতিবন্ধী ও দুস্থদের আর্থিক সহযোগিতা করছেন নিয়মিত। শিক্ষার প্রসারেও রেখে চলেছেন প্রসংসনীয় ভূমিকা। নিজ এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেছেন শিক্ষা ও সমাজসেবা মূলক প্রতিষ্ঠান। মৃগী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি। শতবর্ষী রাজবাড়ী পাবলিক লাইব্রেরির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকও তিনি। রাজবাড়ীর দৈনিক জনতার আদালত পত্রিকার সম্পাদক হক কালুখালীর রাজনীতির মাঠে সাহসী ও ষ্পষ্টবাদী নেতা হিসাবে সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়। ছাত্রজীবন থেকেই নুরে আলম সিদ্দিকী হক আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৯৫ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে মৃগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে তার তৃণমুলের রাজনীতি শুরু। রাজবাড়ী পৌর কৃষকলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছর রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একতরফা নির্বাচন প্রতিহত ও বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে থেকে জোরালো ভূমিকা রেখেছেন। ঢাকার ধানমন্ডি ৩/এ ঐতিহাসিক ১/১১ তারিখে বাংলাদেশ কৃষকলীগের বর্ধিত সভা হয়েছিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে বর্ধিত সভায় উপস্থিত থেকে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে ইতিহাসের কালোদিন ওয়ান-ইলেভেনের জরুরী অবস্থা কথা জানতে পেরেছিলেন। ১/১১ পরবর্তী আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে দলীয় নেত্রীকে মুক্তি ও ফকরুদ্দদিন সরকারের পতন পর্যন্ত রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন সাহসীকতার সাথে।
২০১৪ সালে কালুখালী উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে নিকটতম প্রতিদ্বন্দি হলেও রাজনীতির অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হন। পরবর্তিতে কালুখালী উপজেলায় প্রতিনিয়ত চষে বেড়াচ্ছেন রাজনীতির মাঠ। কালুখালী উপজেলার নির্বাচনের পর রাজনীতির হাল না ছেড়ে নির্যাতিত নিপিড়ীত নেতাকর্মীদের বিপদে আপদে পাশে দাড়ানোয় দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে তার বেড়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। নুরে আলম সিদ্দিকী হক বলেন, আমি আওয়ামীলীগের নির্যাতিত, নিপীড়িত, বঞ্চিত নেতাকর্মীদের পাশে রয়েছি। সাধ্যমতো চেষ্টা করছি এলাকার সব মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হওয়ার। জননেত্রীর চিন্তার আলোকে সত্যিকার জনমতের জরিপের ভিত্তিতে মনোনয়ন দিলে আমিই মনোনয়ন পাবো বলে বিশ্বাস করি এবং আমাকে মনোনয়ন দিলে ইনশাল¬াহ আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করতে সক্ষম হবো। তৃণমূলের মানুষের আমার প্রতি আস্থা রয়েছে।
আমি নির্বূাচিত হলে দলীয় কোন্দল, স্বজন প্রীতি,প্রতিহিংসার রাজনীতিকে নির্বাসনে পাঠিয়ে তৃণমূল থেকে উপজেলার নেতৃত্ব পর্যন্ত যোগ্যতানুযায়ী মূল্যায়ন করা হবে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে দলকে গতিশীল এবং শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের প্রয়াসে সুন্দর ও সমৃদ্ধ উপজেলা গড়তে নেওয়া হবে সময়পোযোগী সিদ্ধান্ত।
তিনি আরও বলেন বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা বহিবিশ্বের উন্নয়নের স্রোতধারায় বাংলাদেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দূর্বার গতিতে। আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হিসাবে যেখানে যাচ্ছি, যেভাবেই পারছি, সেখানেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা গড়ার প্রয়াসে শেখ হাসিনার ভিশন ও তাঁর সরকারের সাফল্যের বার্তাগুলি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি আপন মহিমায়।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

মানুষের ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই – নুরে আলম সিদ্দিকী হক

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০১৯

জনতার আদালত অনলাইন ॥ আগামী ১৮জুন শেষ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায়। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক জনতার আদালত পত্রিকার সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হক। এ জন্য তিনি দীর্ঘদিন ধরেই নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে গণসংযোগ করে চলেছেন। তৃণমুলে পৌঁছে দিচ্ছেন বর্তমান সরকারের সাফল্যের বার্তা। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী এই নেতা সমাজ উন্নয়নে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে চলেছেন সাধ্যমত। অনেক প্রতিবন্ধী ও দুস্থদের আর্থিক সহযোগিতা করছেন নিয়মিত। শিক্ষার প্রসারেও রেখে চলেছেন প্রসংসনীয় ভূমিকা। নিজ এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেছেন শিক্ষা ও সমাজসেবা মূলক প্রতিষ্ঠান। মৃগী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি। শতবর্ষী রাজবাড়ী পাবলিক লাইব্রেরির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকও তিনি। রাজবাড়ীর দৈনিক জনতার আদালত পত্রিকার সম্পাদক হক কালুখালীর রাজনীতির মাঠে সাহসী ও ষ্পষ্টবাদী নেতা হিসাবে সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়। ছাত্রজীবন থেকেই নুরে আলম সিদ্দিকী হক আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৯৫ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে মৃগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে তার তৃণমুলের রাজনীতি শুরু। রাজবাড়ী পৌর কৃষকলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছর রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একতরফা নির্বাচন প্রতিহত ও বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে থেকে জোরালো ভূমিকা রেখেছেন। ঢাকার ধানমন্ডি ৩/এ ঐতিহাসিক ১/১১ তারিখে বাংলাদেশ কৃষকলীগের বর্ধিত সভা হয়েছিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে বর্ধিত সভায় উপস্থিত থেকে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে ইতিহাসের কালোদিন ওয়ান-ইলেভেনের জরুরী অবস্থা কথা জানতে পেরেছিলেন। ১/১১ পরবর্তী আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে দলীয় নেত্রীকে মুক্তি ও ফকরুদ্দদিন সরকারের পতন পর্যন্ত রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন সাহসীকতার সাথে।
২০১৪ সালে কালুখালী উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে নিকটতম প্রতিদ্বন্দি হলেও রাজনীতির অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হন। পরবর্তিতে কালুখালী উপজেলায় প্রতিনিয়ত চষে বেড়াচ্ছেন রাজনীতির মাঠ। কালুখালী উপজেলার নির্বাচনের পর রাজনীতির হাল না ছেড়ে নির্যাতিত নিপিড়ীত নেতাকর্মীদের বিপদে আপদে পাশে দাড়ানোয় দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে তার বেড়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। নুরে আলম সিদ্দিকী হক বলেন, আমি আওয়ামীলীগের নির্যাতিত, নিপীড়িত, বঞ্চিত নেতাকর্মীদের পাশে রয়েছি। সাধ্যমতো চেষ্টা করছি এলাকার সব মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হওয়ার। জননেত্রীর চিন্তার আলোকে সত্যিকার জনমতের জরিপের ভিত্তিতে মনোনয়ন দিলে আমিই মনোনয়ন পাবো বলে বিশ্বাস করি এবং আমাকে মনোনয়ন দিলে ইনশাল¬াহ আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করতে সক্ষম হবো। তৃণমূলের মানুষের আমার প্রতি আস্থা রয়েছে।
আমি নির্বূাচিত হলে দলীয় কোন্দল, স্বজন প্রীতি,প্রতিহিংসার রাজনীতিকে নির্বাসনে পাঠিয়ে তৃণমূল থেকে উপজেলার নেতৃত্ব পর্যন্ত যোগ্যতানুযায়ী মূল্যায়ন করা হবে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে দলকে গতিশীল এবং শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের প্রয়াসে সুন্দর ও সমৃদ্ধ উপজেলা গড়তে নেওয়া হবে সময়পোযোগী সিদ্ধান্ত।
তিনি আরও বলেন বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা বহিবিশ্বের উন্নয়নের স্রোতধারায় বাংলাদেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দূর্বার গতিতে। আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হিসাবে যেখানে যাচ্ছি, যেভাবেই পারছি, সেখানেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা গড়ার প্রয়াসে শেখ হাসিনার ভিশন ও তাঁর সরকারের সাফল্যের বার্তাগুলি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি আপন মহিমায়।