রাজবাড়ী জেলার প্রাথমিক শিক্ষা পদক ১৮ ঝরে পড়ার হার শূন্য মাগুড়াডাঙ্গি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সেরা বিদ্যালয় স্বাবলম্বী ইসলামপুর
- প্রকাশের সময় : ০৮:৩৬:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
- / ২২৯৫ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মাগুড়াডাঙ্গি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝরে পড়া রোধে জেলার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। গত ২০১৭Ñ১৮ সালে এ স্কুলের কোনো শিক্ষার্থীই ঝরে পড়েনি। চলতি বছর প্রাথমিক শিক্ষা পদকে ঝরে পড়া হার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সক্ষম হয়েছে শ্রেণিতে বিদ্যালয়টি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাপ জান নেছা জানান, তাদের বিদ্যালয়ের ছাত্রÑছাত্রী সংখ্যা চারশ ৫৫ জন। গত বছর ছিল চারশ ৫০ জন। শিক্ষক রয়েছেন ১৩ জন। কোনো শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে না এলে তার বাড়িতে ফোন করা হয়। তারপরও না এলে বাড়িতে গিয়ে স্কুলে আসতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এছাড়া দরিদ্র ছাত্রÑছাত্রীদের তার বাসায় নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় পড়ান। যেকারণে তার স্কুলের ফলাফল বরাবরই ভাল হয়।
এছাড়া এ বছর জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন কালুখালীর মৃগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাবিবুর রহমান, শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা টাউন মক্তব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জুন কক্স, শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় বালিয়াকান্দির স্ববলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রেষ্ঠ এসএমসি পাংশার কসবামাজাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন, শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী সমাজকর্মী গোয়ালন্দের ছোটভাকলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক গোয়ালন্দের অশোক চক্রবর্তী, শ্রেষ্ঠ সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পাংশার অঞ্জলী রানী, শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোয়ালন্দের আবু নাসার আহমেদ এবং শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।
স্বাবলম্বী ইসলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কথাঃ
প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে কৃতিত্ব অর্জনকারী ও বিশেষ অবদান রাখার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা, কাব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের মাঝে প্রতি বছরই ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক’ নামে ১৯ টি ক্যাটাগরিতে এই পদক প্রদান করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৮’তে জেলার শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সততার কারিগর খ্যাত মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে মনোনীত হওয়া শুধুমাত্র আমার জন্য নয় বালিয়াকান্দিবাসীর জন্যও গর্বের বিষয়। এজন্য তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা এবং বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধুমাত্র জেলার শ্রেষ্ঠ নয় এটি দেশের শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য তিনি সকলের সহেযোগিতা কামনা করেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী জানান, প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রগতি ও মানোন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নির্বাচিত করা হয়।
প্রসঙ্গত: আগামী ২৩-২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হবে।