রাজবাড়ী বাজারে একটু বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা ॥ ব্যবসায়ীদের চরম ভোগান্তি
- প্রকাশের সময় : ০৮:৩৫:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
- / ১৫৭৯ জন সংবাদটি পড়েছেন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজবাড়ী বাজারে একটু বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। যেকারণে ভোগান্তি পোহাতে হয় ক্রেতা বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের। দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করছে এ সমস্যা।
রাজবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমে রাজবাড়ীতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিতে রাজবাড়ীর তরকারি বাজার, উপর বাজার, চাল বাজার, গুড় বাজার, পান বাজার, দুধ বাজার, পালপট্টি, ফল বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কখনও কখনও হাঁটু পানি জমে যায় । এসময় ক্রেতা বিক্রেতাদের প্রচন্ড ভোগান্তি পোহাতে হয়। কিন্তু গত তিন বছর ধরে এ সমস্যা বেশি দেখা দিয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে বৃষ্টির পর সরেজমিনে বাজারে গিয়ে এর সত্যতা মিলেছে।
রাজবাড়ী চাল বাজারের মুদি ব্যবসায়ী উজ্জল সাহা জানান, একবার পানি জমে গেলে তা বের হতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। এসময় বেচাকেনা দূরে থাক দোকান থেকে ওঠানামা করাও সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
রাজবাড়ী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, জলাবদ্ধতা নিয়ে রাজবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তিতে আছে। পুরো বাজার পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। পৌর কর্তৃপক্ষকে বলতে বলতে আমরা হয়রান হয়ে গেছি। বৃষ্টির পরে বাজারে চলাফেরা করার মতো কোনো পরিবেশই থাকেনা। নারীরা তো বাজারে ঢুকতেই পারেনা। বাজারের এমন এমন স্থান আছে যেখানে সাত আটদিনও বৃুষ্টর পানি জমে থাকে। দুধ বাজারে একটি মসজিদ আছে। জলাবদ্ধতার কারণে মুসল্লিরা সেখানে নামাজ পড়তে গিয়েও সমস্যায় পড়েন।
রাজবাড়ী পৌরসভা সূত্র জানায়, রাজবাড়ী বাজারের নোংরা, আবর্জনা ও পানি বের হওয়ার জন্য ২৫টি ড্রেন রয়েছে। যেগুলি প্রয়োজন মতো কোনোটি প্রতিদিন আবার কোনোটি সপ্তাহে একদিন পরিষ্কার করা হয়।
রাজবাড়ী পৌরসভার স্যানেটারী ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন বাজারে জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে বলেন, পানি বের হওয়ার জায়গা না থাকায় এসমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আগে বাজারের পানি যেখানে গিয়ে বের হতো সেখানে ভরাট হয়ে গেছে। বাজারের আশে পাশেও সকল খাল ভরাট হয়ে গেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। ইউজিআইআইপি প্রকল্পের আওতায় খুব শীগগীরই ড্রেনগুলো সংষ্কার করা হবে।
তবে ভিন্ন কথা বলেছেন রাজবাড়ী পৌরসভার প্যানেল মেয়র নির্মল চক্রবর্তী শেখর। তিনি বলেন, বাজারে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির জন্য ব্যবসায়ীরাই দায়ী। সব নোংরা আবর্জনা ড্রেনের মধ্যে ফেলায় ড্রেনের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীদের বারবার বলা সত্ত্বেও তারা সেটা শোনেনি। আর বৃষ্টির পানি বাজারে দুই এক ঘণ্টা আটকে থাকে। এটা খুব বেশি সমস্যা নয়।