ভায়রার স্বীকারোক্তীতে মিলল নিখোঁজ আলমের লাশ
- প্রকাশের সময় : ০৮:০৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০১৭
- / ১৫২০ জন সংবাদটি পড়েছেন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিখোঁজের দুদিন পর ছোট ভায়রা করিমের স্বীকারোক্তীতে মিলল বড় ভায়রা আলম প্রমানিকের লাশ। শনিবার সকালে রাজবাড়ীর পাংশা থানার পুলিশ একই উপজেলার যশাই ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের একটি ফসলের মাঠে প্রায় তিন ফুট নীচে পুঁতে রাখা আলমের লাশ উদ্ধার করে। পেশায় কৃষক আলম একই উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মৃত ইসমাইল প্রামানিকের ছেলে। শ^শুরের সম্পত্তির লোভেই ছোট ভায়রা করিম তার বড় ভায়রা আলমকে খুন করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পাংশা থানা সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার বাইসাইকেল চালিয়ে শ^শুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি ফেরার সময় নিখোঁজ হয় আলম। এ ঘটনার পরদিনই আলমের বড় ভাই পাংশা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। একই দিন বিকেলে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয় আলমের ছোট ভায়রা করিমকে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে করিম স্বীকার করে তার ভায়রাকে লুঙ্গি দিয়ে পেঁচিয়ে শ^াসরোধে হত্যা করে লাশ একটি মাঠের মধ্যে পুঁতে রাখা হয়েছে। হারুন নামের অপর এক যুবক তাকে সহযোগিতা করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিহত আলমের স্বজনদের আহাজারি। স্ত্রী, শ^শুর, শাশুড়ি সবাই চিৎকার করে কাঁদছে। এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শ^শুর আমজাদ খানের সাথে বড় জামাতা আলমের বেশ ঘনিষ্ঠতা ছিল। পারিবারিক যে কোনো কাজে তার সাথে পরামর্শ করতো। আলমও শ^শুরের জমি চাষাবাদে সহযোগিতা করতো। এজন্য করিমের ধারণা ছিল শ^শুর তার বড় ভায়রাকে সম্পত্তির বেশি অংশ দিয়ে দিতে পারে। একারণেই করিম তার ভায়রা আলমকে খুন করেছে। এলাকাবাসী জানায়, আলম খুব ভাল মানুষ ছিল, কারো সাথে কোন বিষয়ে তার কোন শত্রুতা ছিল না।
পাংশা থানার ওসি মোফাজ্জেল হোসেন জানান, পাংশা থানায় নিখোঁজের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করার পর পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে। বিকেলেই করিমকে আটকের পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে হত্যার কারণ এবং কীভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অপর পলাতক আসামি হারুনকে গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে। নিহতের লাশ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পাংশা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।