Dhaka ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণবাহী জাহাজ পাঠাল মালয়েশিয়া

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪২:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • / ১২৮৬ জন সংবাদটি পড়েছেন

মিয়ানমারের গোলযোগপূর্ণ রাখাইন রাজ্যের অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রীবাহী জাহাজ পাঠিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নজিব রাজাক।
রোহিঙ্গাদের দুর্দশাকে মালয়েশিয়া সরকার আমলে নেবে এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য কাজেরও ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মালয়েশিয়ার মুসলিম সংগঠনগুলোর পাশাপাশি দেশীয় এবং বিদেশি ত্রাণ সংগঠনগুলো রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণবাহী জাহাজের আয়োজন করেছে। এটি মিয়ানমারের সর্ববহৎ শহর এবং ইয়াঙ্গুন বন্দরের দিকে রওনা হয়েছে।
৯ ফেব্রুয়ারিতে জাহাজটি ইয়াঙ্গুনে ভিড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ফ্লোটিল্লা থেকে খাবার ও ওষুধসহ অন্যান্য প্রায় ৫০০ টন প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
এরপর জাহাজটি তিনদিনের যাত্রায় বাংলাদেশের টেকনাফ বন্দরের দিকে রওনা হবে।
মিয়ানমারে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর দমনপীড়ন নিয়ে প্রকাশ্যেই কড়া সমালোচনা করে এসেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নজিব রাজাক। মিয়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তবে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ওপর দমনপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সহিংসতার বেশির ভাগ খবরই অতিরঞ্জিত বলে মন্তব্য করেছে সরকার। তাছাড়া, রাখাইন রাজ্যে সংঘাতও ওই রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে সরকার অভিহিত করেছে।
মালয়েশিয়ার ত্রাণবাহী জাহাজটি বিরূপ পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, মিয়ানমার জাহাজটিকে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী ‘সিটওয়ে’ অভিমুখে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।
তবে ত্রাণ মিশনের প্রধান আব্দুল আজিজ আব্দুল বলেছেন, মিয়ানমার তাদেরকে রাখাইন রাজ্যের রাজধানীতে যেতে দেবে এবং ত্রাণ বিতরণ করার সুযোগ দেবে বলেই তারা আন্তরিকভাবে আশা করছেন।
গত বছর ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের পুলিশ ফাঁড়িতে হামলায় ৯ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর থেকে রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর চরম নিপীড়ন শুরু করেছে সেনাবাহিনী। শ’ শ’ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষণ করা হয়েছে বহু নারীকে। জীবন বাঁচাতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
মালয়েশিয়া বর্তমানে নিবন্ধিত ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭৪ শরণার্থীর দেখভাল করছে। সরকারি হিসাবে, এদের মধ্যে ৫৫ হাজার ৫৬৫ জনই রোহিঙ্গা মুসলিম।

মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি এক বিবৃতিতে বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে কাজ দেওয়ার প্রকল্প ১ মার্চ থেকে শুরু হবে। এর আওতায় ৩০০ রোহিঙ্গাকে কৃষি ও উৎপাদন খাতগুলোতে কাজ দেওয়া হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণবাহী জাহাজ পাঠাল মালয়েশিয়া

প্রকাশের সময় : ০৭:৪২:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

মিয়ানমারের গোলযোগপূর্ণ রাখাইন রাজ্যের অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রীবাহী জাহাজ পাঠিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নজিব রাজাক।
রোহিঙ্গাদের দুর্দশাকে মালয়েশিয়া সরকার আমলে নেবে এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য কাজেরও ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মালয়েশিয়ার মুসলিম সংগঠনগুলোর পাশাপাশি দেশীয় এবং বিদেশি ত্রাণ সংগঠনগুলো রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণবাহী জাহাজের আয়োজন করেছে। এটি মিয়ানমারের সর্ববহৎ শহর এবং ইয়াঙ্গুন বন্দরের দিকে রওনা হয়েছে।
৯ ফেব্রুয়ারিতে জাহাজটি ইয়াঙ্গুনে ভিড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ফ্লোটিল্লা থেকে খাবার ও ওষুধসহ অন্যান্য প্রায় ৫০০ টন প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
এরপর জাহাজটি তিনদিনের যাত্রায় বাংলাদেশের টেকনাফ বন্দরের দিকে রওনা হবে।
মিয়ানমারে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর দমনপীড়ন নিয়ে প্রকাশ্যেই কড়া সমালোচনা করে এসেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নজিব রাজাক। মিয়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তবে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ওপর দমনপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সহিংসতার বেশির ভাগ খবরই অতিরঞ্জিত বলে মন্তব্য করেছে সরকার। তাছাড়া, রাখাইন রাজ্যে সংঘাতও ওই রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে সরকার অভিহিত করেছে।
মালয়েশিয়ার ত্রাণবাহী জাহাজটি বিরূপ পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, মিয়ানমার জাহাজটিকে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী ‘সিটওয়ে’ অভিমুখে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।
তবে ত্রাণ মিশনের প্রধান আব্দুল আজিজ আব্দুল বলেছেন, মিয়ানমার তাদেরকে রাখাইন রাজ্যের রাজধানীতে যেতে দেবে এবং ত্রাণ বিতরণ করার সুযোগ দেবে বলেই তারা আন্তরিকভাবে আশা করছেন।
গত বছর ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের পুলিশ ফাঁড়িতে হামলায় ৯ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর থেকে রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর চরম নিপীড়ন শুরু করেছে সেনাবাহিনী। শ’ শ’ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষণ করা হয়েছে বহু নারীকে। জীবন বাঁচাতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
মালয়েশিয়া বর্তমানে নিবন্ধিত ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭৪ শরণার্থীর দেখভাল করছে। সরকারি হিসাবে, এদের মধ্যে ৫৫ হাজার ৫৬৫ জনই রোহিঙ্গা মুসলিম।

মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি এক বিবৃতিতে বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে কাজ দেওয়ার প্রকল্প ১ মার্চ থেকে শুরু হবে। এর আওতায় ৩০০ রোহিঙ্গাকে কৃষি ও উৎপাদন খাতগুলোতে কাজ দেওয়া হবে।