Dhaka ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ:

খেজুরের রস পান করে একই পরিবারের পাঁচজন হাসপাতালে

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৩৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 38

পাবনার ঈশ্বরদীতে খেজুরের রস পান করে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ পাঁচজন অসুস্থ হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়েছে।

অসুস্থতরা হলো- উপজেলার পাকুড়িয়া বরামপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর স্ত্রী আয়েশা খাতুন (৫৫), তার ভাইয়ের স্ত্রী শিল্পী খাতুন (২৮), মেয়ে প্রিয়া খাতুন (২৬), ছেলে ইফাত রহমান (১২) ও আবরার আদিব (৬)।

ইদ্রিস আলী জানান, ‘গত রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে পরিবারের সবাই খেজুরের রস পান করে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রথমে ২ জনের বমি, বারবার পাতলা পায়খানা ও কাঁপুনি দিয়ে জ্বর-সর্দি-কাশি শুরু হয়। রাত ১টার দিকে অন্য তিনজনেরও একই উপসর্গ দেখা দেয়। সোমবার ভোরে আক্রান্তদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে স্যালাইন দেওয়া হয়। ঈশ্বরদীতে অবস্থার উন্নতি না হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আক্রান্তরা এখন অনেকটাই সুস্থ জানিয়ে তিনি বলেন, খেজুরের রস থেকে ফুড পয়েজনিং হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সঞ্জিব বণিক বলেন, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে বমি ও পাতলা পায়খানাও হতে পারে। তবে ঢাকা থেকে রক্ত পরীক্ষা ছাড়া বলা যাবে না, যে তারা নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল কিনা। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে খেজুরের রস পান করতে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

খেজুরের রস পান করে একই পরিবারের পাঁচজন হাসপাতালে

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

পাবনার ঈশ্বরদীতে খেজুরের রস পান করে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ পাঁচজন অসুস্থ হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়েছে।

অসুস্থতরা হলো- উপজেলার পাকুড়িয়া বরামপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর স্ত্রী আয়েশা খাতুন (৫৫), তার ভাইয়ের স্ত্রী শিল্পী খাতুন (২৮), মেয়ে প্রিয়া খাতুন (২৬), ছেলে ইফাত রহমান (১২) ও আবরার আদিব (৬)।

ইদ্রিস আলী জানান, ‘গত রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে পরিবারের সবাই খেজুরের রস পান করে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রথমে ২ জনের বমি, বারবার পাতলা পায়খানা ও কাঁপুনি দিয়ে জ্বর-সর্দি-কাশি শুরু হয়। রাত ১টার দিকে অন্য তিনজনেরও একই উপসর্গ দেখা দেয়। সোমবার ভোরে আক্রান্তদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে স্যালাইন দেওয়া হয়। ঈশ্বরদীতে অবস্থার উন্নতি না হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আক্রান্তরা এখন অনেকটাই সুস্থ জানিয়ে তিনি বলেন, খেজুরের রস থেকে ফুড পয়েজনিং হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সঞ্জিব বণিক বলেন, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে বমি ও পাতলা পায়খানাও হতে পারে। তবে ঢাকা থেকে রক্ত পরীক্ষা ছাড়া বলা যাবে না, যে তারা নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল কিনা। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে খেজুরের রস পান করতে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।