জুলাই অভ্যুত্থান : জাতিসংঘের প্রতিবেদন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে
- প্রকাশের সময় : ০২:০১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
- / 39
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জাতিসংঘের তথ্য-অনুসন্ধানী মিশনের প্রতিবেদন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, যা ফেব্রয়ারির মাঝামাঝিতে প্রকাশ করা হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এমন তথ্য জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এমন মন্তব্য করেন। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার মধ্যে এই বৈঠক হয়েছে। পরে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এমন তথ্য জানিয়েছেন।
এ সময়ে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছেন ড. ইউনূস। ভলকার তুর্ক বলেন, জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় থেকে প্রতিবেদনটির প্রকাশনা সামনে রেখে বাংলাদেশের সঙ্গেও এটি শেয়ার করা হবে।
শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সময় অপরাধের তদন্ত করায় জাতিসংয়ের মানবাধিকার কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়া ছয়টি স্বাধীন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনও একই সময়ে প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তাদের পর্যবেক্ষণ, এসব প্রতিবেদন একটি অন্যটির পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে।
এ সময়ে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সহায়তার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধানের কাছে আহ্বান জানান ড. ইউনূস। এ ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিয়ে তুর্ক বলেন, এ বিষয়ে মিয়ামারে জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত জুলি বিশপসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গেআলোচনা করা হবে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি থেকে সরকার পতন আন্দোলন এবং তার পরবর্তী সময়ে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে কাজ করেছে জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধানী মিশন। ১ জুলাই থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে তারা।
অভিযোগের সত্যতা উদঘাটন, দায়দায়িত্ব চিহ্নিতকরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মূল কারণ বিশ্লেষণের পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সুপারিশ করবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল।
সূত্র : ইউএনবি