মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশকে ক্ষতিগ্রস্ত পেঁয়াজ চাষী
- প্রকাশের সময় : ০৯:২২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
- / 12
বালিয়াকান্দিতে মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক প্রয়োগে ৩০ শতাংশ জমির হালি পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৃষকের মাথায় হাত উঠেছে। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কীটনাশক বিক্রেতার বিরুদ্ধে বালিয়াকান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী কৃষক জঙ্গল ইউনিয়নের খলিলপুর গ্রামের মৃত কাদের মল্লিকের ছেলে মোঃ নিজাম মল্লিক।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত ১১ জানুয়ারি বালিয়াকান্দি বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় সাগর মুন্সির ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মেসার্স অথৈ বীজ ভান্ডার থেকে রোবরাল ক্রয় করেন। লেখাপড়া না জানা কৃষক তার উপর বিশ্বাস করে সেই কীটনাশক তার রোপন করা হালি পেঁয়াজ ক্ষেতে প্রয়োগ করেন। এ কীটনাশক প্রয়োগের ফলে পেঁয়াজের গাছ নষ্ট হয়ে আনুমানিক ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিসাধন হয়েছে। পেঁয়াজের গাছ মারা যাওয়ায় কৃষক রোবরাল এর প্যাকেট এলাকার লোকজনের দেখালে তাদের নিকট থেকে শুনতে পারে এই ঔষধটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। বিষয়টি দোকানদারকে জানালে দোকানদার ও স্থাণীয়রা কৃষককে বিভিন্নভাবে হুমকি দিলে কৃষক বালিয়াকান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ গ্রহন করে বালিয়াকান্দী থানার ওসি জামাল উদ্দিন উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলামকে অব্যহিত করেন। তিনি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলাউদ্দীন কে থানায় পাঠান। কৃষি কর্মকর্তা থানা ষ্টাফ অফিসার সহ কীটনাশক বিক্রেতার দোকানে যান। দোকানদার মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক বিক্রির কথা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) এহসানুল হক শিপন বালিয়াকান্দি থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির দায়ে ৩ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংবাদ সংগ্রহে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা কর্মরত জেলা ও উপজেলা সংবাদকর্মীরা সেখানে গেলে ওই ব্যক্তি সংবাদকর্মীদের সাথে অশোভন আচরণ করেন।
কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, থানায় লিখিত অভিযোগ রয়েছে। থানা আমাকে অবহিত করেছে। কৃষকের ক্ষেত পরিদর্শন করে কৃষকের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা সহ প্রয়জনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কৃষক নিজাম মল্লিক বলেন, আমি দীর্ঘদিন ঐ দোকান থেকে সার কীটনাশক ক্রয় করি। বিশ্বাসে তার নিকট থেকে ক্ষেতে প্রয়োগের জন্য ঔষধ এনেছি। সে যে আমাকে ক্ষতি করবার জন্য এমন মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ দিবে আমি বুঝতে পারিনি। আমার শেষ সম্বল ৩০ শতাংশ জমির হালি পেঁয়াজ সে নষ্ট করেছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি।