Dhaka ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাবিতে পোষ্য কোটার জটিলতা, বাড়ছে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা

রাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪৪:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 12

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা স্থগিত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তবে কবে নাগাদ এ পরীক্ষা শুরু হতে পারে, তা এখনো জানা যায়নি।

পোষ্য কোটা নিয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনড় অবস্থান এবং বিজ্ঞপ্তিসংক্রান্ত জটিলতায় এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গত ৪ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে আবেদনের বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকাতে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ১(ক)-এ উল্লিখিত অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন শুরুর কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো।
পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব। এতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৮ ও ৯ জানুয়ারি পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তারা। তার আগে ৭ জানুয়ারি দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি এবং ৬ জানুয়ারি এক ঘণ্টার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

স্থগিতের সুনির্দিষ্ট কারণ জানানো না হলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পোষ্য কোটা বাতিল করায় কর্মচারীদের চলমান আন্দোলন ও শিক্ষকদের সহযোগিতা না পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে কবে থেকে পরীক্ষা শুরু হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

সুমাইয়া নামের ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘শেষ সময়ে এসে এমন সিদ্ধান্ত হতাশাজনক,এমন পরিস্থিতি আমাদের জন্য অনেক চাপের,আশা করতেছি খুব দ্রুত এর সমাধান হবে,আর অযোক্তিক কোটা বাতিল হোক এটাও চাই।’

কবে নাগাদ ভর্তি কার্যক্রম ফের শুরু হবে জানতে চাইলে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, এ বিষয়ে তাই কোন সিদ্ধান্ত হয়নি ।

একই সুরে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আশা করছি দ্রুতই শুরু হবে।’

পোষ্য কোটা নিয়ে জটিলতার কারণে স্থগিত হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে না, বরং পোষ্য কোটা বাতিলের কারণে পত্রিকায় পুনরায় বিজ্ঞাপন দিতে হবে। কারণ পত্রিকা বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে যে বিজ্ঞাপন গেছে, সেখানে পোষ্য কোটা ১ শতাংশ লেখা আছে। ফলে ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় সংশোধনী বিজ্ঞাপন দিতে হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাবিতে পোষ্য কোটার জটিলতা, বাড়ছে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা

প্রকাশের সময় : ১১:৪৪:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা স্থগিত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তবে কবে নাগাদ এ পরীক্ষা শুরু হতে পারে, তা এখনো জানা যায়নি।

পোষ্য কোটা নিয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনড় অবস্থান এবং বিজ্ঞপ্তিসংক্রান্ত জটিলতায় এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গত ৪ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে আবেদনের বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকাতে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ১(ক)-এ উল্লিখিত অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন শুরুর কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো।
পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব। এতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৮ ও ৯ জানুয়ারি পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তারা। তার আগে ৭ জানুয়ারি দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি এবং ৬ জানুয়ারি এক ঘণ্টার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

স্থগিতের সুনির্দিষ্ট কারণ জানানো না হলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পোষ্য কোটা বাতিল করায় কর্মচারীদের চলমান আন্দোলন ও শিক্ষকদের সহযোগিতা না পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে কবে থেকে পরীক্ষা শুরু হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

সুমাইয়া নামের ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘শেষ সময়ে এসে এমন সিদ্ধান্ত হতাশাজনক,এমন পরিস্থিতি আমাদের জন্য অনেক চাপের,আশা করতেছি খুব দ্রুত এর সমাধান হবে,আর অযোক্তিক কোটা বাতিল হোক এটাও চাই।’

কবে নাগাদ ভর্তি কার্যক্রম ফের শুরু হবে জানতে চাইলে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, এ বিষয়ে তাই কোন সিদ্ধান্ত হয়নি ।

একই সুরে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আশা করছি দ্রুতই শুরু হবে।’

পোষ্য কোটা নিয়ে জটিলতার কারণে স্থগিত হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে না, বরং পোষ্য কোটা বাতিলের কারণে পত্রিকায় পুনরায় বিজ্ঞাপন দিতে হবে। কারণ পত্রিকা বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে যে বিজ্ঞাপন গেছে, সেখানে পোষ্য কোটা ১ শতাংশ লেখা আছে। ফলে ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় সংশোধনী বিজ্ঞাপন দিতে হবে।