Dhaka ১১:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশরক্ষায় প্রাণ দিতেও দ্বিধা করতাম না: ভাইরাল সেই কৃষক

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৮:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 7

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে কয়েকদিন ধরেই চলছিল উত্তেজনা। এ উত্তেজনার সময় মাটির বাঙ্কারে অবস্থান নেওয়া বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) পেছনে কাস্তে হাতে অবস্থান নেন স্থানীয় কৃষক বাবুল।

এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, মাটির বাঙ্কারে পজিশন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিজিবি। আর বিজিবির পেছনেই কাস্তে হাতে বসে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন কৃষক বাবুল আলী।

বাবুল আলী শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কালীগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার(১০ জানুয়ারি) দুপুরে বাবুল আলীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচা হলুদ পরিষ্কারের কাজ করছেন বাবুল আলী।

এসময় তিনি বলেন, ‌‌‌‘কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য ভারতের বিএসএফ মাটি খনন করছিল। এসময় বাধা দেয় বিজিবি। এতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এজন্য আমরা গ্রামের মানুষ বিজিবির পাশে দাঁড়িয়েছি। কারণ দেশের মাটি কাউকে দখল করতে দেবো না। এমনকি দেশ বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিতেও দ্বিধা করবো না। এজন্যই সাহস নিয়ে বিজিবির পাশে কাস্তে হাতে বসে ছিলাম।’

কৃষক বাবুল আলী আরও বলেন, ‘এ ঘটনার কারণে আমাদের এলাকার মানুষের অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে। বিশেষ করে সরিষার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু আমরা তাতে কিছু মনে করিনি। আগে দেশ বাঁচানো প্রয়োজন।’

বাবুল আলীর প্রতিবেশী হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা সবাই বিজিবির পাশে ছিলাম। কিন্তু বিজিবির এত কাছাকাছি যেতে পারেনি। কিন্তু বাবুল আলী সবার আগে বিজিবির পাশে গিয়েছে। এমনকি বিজিবির পাশে বসে থাকা একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। বাবুল আলীকে দেখতে অনেক মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন বাড়িতে।’

এর আগে ৫ জানুয়ারি বিকেলে উপজেলার সীমান্ত পিলার ১৭৭/২-এস এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করে বিএসএফ। ঘটনাটি জানতে পেরে বিজিবির পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। পরে বেড়া নির্মাণ বন্ধ করে রাখে বিএসএফ।

কিন্তু ৭ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে ফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করে বিএসএফ। পরবর্তী সময়ে বিজিবির পক্ষ থেকে আবার বাধা দেওয়া হয়। এতেই শুরু হয় সীমান্তে উত্তেজনা।

এরপর ৮ জানুয়ারি পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হেড কোয়ার্টারের অনুমতি ছাড়া সীমান্তে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না বলে সম্মত হয়।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

দেশরক্ষায় প্রাণ দিতেও দ্বিধা করতাম না: ভাইরাল সেই কৃষক

প্রকাশের সময় : ০৯:২৮:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে কয়েকদিন ধরেই চলছিল উত্তেজনা। এ উত্তেজনার সময় মাটির বাঙ্কারে অবস্থান নেওয়া বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) পেছনে কাস্তে হাতে অবস্থান নেন স্থানীয় কৃষক বাবুল।

এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, মাটির বাঙ্কারে পজিশন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিজিবি। আর বিজিবির পেছনেই কাস্তে হাতে বসে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন কৃষক বাবুল আলী।

বাবুল আলী শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কালীগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার(১০ জানুয়ারি) দুপুরে বাবুল আলীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচা হলুদ পরিষ্কারের কাজ করছেন বাবুল আলী।

এসময় তিনি বলেন, ‌‌‌‘কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য ভারতের বিএসএফ মাটি খনন করছিল। এসময় বাধা দেয় বিজিবি। এতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এজন্য আমরা গ্রামের মানুষ বিজিবির পাশে দাঁড়িয়েছি। কারণ দেশের মাটি কাউকে দখল করতে দেবো না। এমনকি দেশ বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিতেও দ্বিধা করবো না। এজন্যই সাহস নিয়ে বিজিবির পাশে কাস্তে হাতে বসে ছিলাম।’

কৃষক বাবুল আলী আরও বলেন, ‘এ ঘটনার কারণে আমাদের এলাকার মানুষের অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে। বিশেষ করে সরিষার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু আমরা তাতে কিছু মনে করিনি। আগে দেশ বাঁচানো প্রয়োজন।’

বাবুল আলীর প্রতিবেশী হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা সবাই বিজিবির পাশে ছিলাম। কিন্তু বিজিবির এত কাছাকাছি যেতে পারেনি। কিন্তু বাবুল আলী সবার আগে বিজিবির পাশে গিয়েছে। এমনকি বিজিবির পাশে বসে থাকা একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। বাবুল আলীকে দেখতে অনেক মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন বাড়িতে।’

এর আগে ৫ জানুয়ারি বিকেলে উপজেলার সীমান্ত পিলার ১৭৭/২-এস এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করে বিএসএফ। ঘটনাটি জানতে পেরে বিজিবির পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। পরে বেড়া নির্মাণ বন্ধ করে রাখে বিএসএফ।

কিন্তু ৭ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে ফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করে বিএসএফ। পরবর্তী সময়ে বিজিবির পক্ষ থেকে আবার বাধা দেওয়া হয়। এতেই শুরু হয় সীমান্তে উত্তেজনা।

এরপর ৮ জানুয়ারি পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হেড কোয়ার্টারের অনুমতি ছাড়া সীমান্তে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না বলে সম্মত হয়।