ইতিপূর্বে হত্যা মামলায় ২ জনের ফাঁসির রায় হয়েছিল
রাজবাড়ীতে শিশু রিফাতকে অপহরণ ও মুক্তিপণ মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদন্ড
- প্রকাশের সময় : ০৮:৫২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১১৪১ জন সংবাদটি পড়েছেন
রাজবাড়ীতে শিশু রিফাতকে অপহরণ ও মুক্তিপণ মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার রাজবাড়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক সাব্বির ফয়েজ জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দা টিএন্ডটি পাড়ার রনজিৎ কুমার সরকারের ছেলে রঞ্জন সরকার রক্তিম, দুলাল হোসেনের ছেলে রাসেল হোসেন এবং সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের আব্দুল মালেকের ছেলে রনি। রিফাতকে হত্যার ঘটনায় এর আগে ২০১৬ সালের ১৮ মে তারিখে এদের মধ্যে দুজনের ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছিল। অপরজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। নিহত শিশু রিফাত রাজবাড়ী সদর উপজেলার চরনারায়ণপুর গ্রামের মোক্তার আলীর ছেলে। রাজবাড়ী কিন্ডার গার্টেনের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর তারিখে দন্ডপ্রাপ্তরা রিফাতকে সাইকেলের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে। পরে রিফাতের বাবার কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। নির্ধারিত সময়ে মুক্তিপণ না দেওয়ায় রিফাতকে হত্যা করা হয়। ঘটনার ৯ দিন পর ১৪ নভেম্বর তারিখে রাজবাড়ী সদর থানার পুলিশ সজ্জনকান্দা টিএন্ডটি পাড়ার জনৈক ভৈরব শীলের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশু রিফাতের লাশ উদ্ধার করে। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তদের। হত্যা ও অপহরণের ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা মোক্তার আলী বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় হত্যা এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেন।
২০১৬ সালের ১৮ মে তারিখে রিফাতকে হত্যার ঘটনায় রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রঞ্জন ও রাসেলকে মৃত্যুদন্ড এবং রনিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) অপহরণ ও মুক্তিপণ মামলায় অভিযুক্ত তিনজনকেই মৃত্যুদন্ডাদেশের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার রায় দেওয়া হয়।
রাজবাড়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যড. সাইফুল হক জানান, হত্যা মামলার রায়ে দুজনের ফাঁসির রায় হওয়ার পর তারা উচ্চ আদালতে আপীল করে। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। অপহরণ ও মুক্তিপণ মামলায় তিনজনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। এ রায়ে তারা সন্তুষ্ট।
রাজবাড়ী জেলা কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফ জানান, ইতিপূর্বে হত্যা মামলায় ফাঁসির রায় হওয়ার পর দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে উচ্চ আদালতে মামলাটি ট্রায়ালে আছে।