Dhaka ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছে আ’লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা

উচ্ছেদ আতঙ্কে দিশেহারা হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১১৬২ জন সংবাদটি পড়েছেন

 

উচ্ছেদ আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছে রাজবাড়ীর হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ। সোমবার উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বন্ধ করার দাবিতে মানববন্ধন, সমাবেশ ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে তারা। তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখার ব্যানারে রাজবাড়ী পৌর মিলেনিয়াম মার্কেটের সামনে প্রধান সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি বাসুদেব মন্ডলের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যড. সফিকুল হোসেন, রাজবাড়ী জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জ্যেতিশংকর ঝন্টু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি অসীম কুমার পাল, রাজবাড়ী নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফকীর শাহাদত হোসেন, বিজ্ঞান চেতনার আহŸায়ক মহিতুজ্জামান বেলাল, এনজিও সংগঠক লুৎফর রহমান লাবু, দলিত জনগোষ্ঠি অধিকার আন্দোলন রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি অরুণ কুমার সরকার, মহিলা পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ক্রিস্টিও মারিয়া রেখা দাস, হরিজন সম্প্রদায়ের অমৃত রায়, রবিলাল দাস প্রমুখ। পরিচালনা করেন উত্তম দাস হেলা।

হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা মানববন্ধনে বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে তারা এখানে বসবাস করছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে তাদের পূর্ব পুরুষ এখান থেকে ভারতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ওই সময় স্থানীয় কর্তা ব্যক্তিরা বাসস্থানসহ নানা অধিকারের প্রতিশ্রæতি দিয়ে তাদের ফিরিয়ে আনেন। গত কয়েক মাস যাবৎ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জমি জরিপ শুরু করেছে। মৌখিকভাবে তাদের বলেছে, এখান থেকে সরে যেতে হবে। এখানে ১১০টি পরিবারের ৬শরও বেশি মানুষ বাস করে। তাদের উচ্ছেদ করা হলে যাওয়ার কোনো জায়গা থাকবে না। আশ্রয়হীন হয়ে যেতে হবে। আমরা আমাদের অধিকার ও আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই।

রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার বলেন, শিক্ষা, বাসস্থান, খাদ্য নিরাপত্তা মানুষের নাগরিক অধিকার। হরিজন সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়েরা যাতে পড়াশোনা করতে পারে এজন্য তাদের স্কুলে সহযোগিতা করেছি। পুনর্বাবসন ছাড়া তাদের উচ্ছেদ করা চলবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত মানবিক মানুষ। হরিজনদের পুনর্বাবসনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করবেন বলে আমার বিশ^াস। তারপরও যদি অমানবিকভাবে তাদের উচ্ছেদ করা হয় তাহলে সবার আগে আমি প্রতিবাদ করবো।

তিনি আরও বলেন, হরিজনরা আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের সুখে শান্তিতে বাঁচার অধিকার রয়েছে।

মানববন্ধন শেষে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছে আ’লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা

উচ্ছেদ আতঙ্কে দিশেহারা হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

 

উচ্ছেদ আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছে রাজবাড়ীর হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ। সোমবার উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বন্ধ করার দাবিতে মানববন্ধন, সমাবেশ ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে তারা। তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখার ব্যানারে রাজবাড়ী পৌর মিলেনিয়াম মার্কেটের সামনে প্রধান সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি বাসুদেব মন্ডলের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যড. সফিকুল হোসেন, রাজবাড়ী জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জ্যেতিশংকর ঝন্টু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি অসীম কুমার পাল, রাজবাড়ী নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফকীর শাহাদত হোসেন, বিজ্ঞান চেতনার আহŸায়ক মহিতুজ্জামান বেলাল, এনজিও সংগঠক লুৎফর রহমান লাবু, দলিত জনগোষ্ঠি অধিকার আন্দোলন রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি অরুণ কুমার সরকার, মহিলা পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ক্রিস্টিও মারিয়া রেখা দাস, হরিজন সম্প্রদায়ের অমৃত রায়, রবিলাল দাস প্রমুখ। পরিচালনা করেন উত্তম দাস হেলা।

হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা মানববন্ধনে বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে তারা এখানে বসবাস করছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে তাদের পূর্ব পুরুষ এখান থেকে ভারতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ওই সময় স্থানীয় কর্তা ব্যক্তিরা বাসস্থানসহ নানা অধিকারের প্রতিশ্রæতি দিয়ে তাদের ফিরিয়ে আনেন। গত কয়েক মাস যাবৎ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জমি জরিপ শুরু করেছে। মৌখিকভাবে তাদের বলেছে, এখান থেকে সরে যেতে হবে। এখানে ১১০টি পরিবারের ৬শরও বেশি মানুষ বাস করে। তাদের উচ্ছেদ করা হলে যাওয়ার কোনো জায়গা থাকবে না। আশ্রয়হীন হয়ে যেতে হবে। আমরা আমাদের অধিকার ও আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই।

রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার বলেন, শিক্ষা, বাসস্থান, খাদ্য নিরাপত্তা মানুষের নাগরিক অধিকার। হরিজন সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়েরা যাতে পড়াশোনা করতে পারে এজন্য তাদের স্কুলে সহযোগিতা করেছি। পুনর্বাবসন ছাড়া তাদের উচ্ছেদ করা চলবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত মানবিক মানুষ। হরিজনদের পুনর্বাবসনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করবেন বলে আমার বিশ^াস। তারপরও যদি অমানবিকভাবে তাদের উচ্ছেদ করা হয় তাহলে সবার আগে আমি প্রতিবাদ করবো।

তিনি আরও বলেন, হরিজনরা আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের সুখে শান্তিতে বাঁচার অধিকার রয়েছে।

মানববন্ধন শেষে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।