পাংশায় উঠানে পড়েছিল প্রবাসীর স্ত্রীর হাত-পা বাঁধা লাশ
- প্রকাশের সময় : ০৭:০৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩
- / ১১৩৬ জন সংবাদটি পড়েছেন
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের মুচিদহ খামারডাঙ্গি গ্রামে বাড়ির উঠানে পড়েছিল প্রবাসীর স্ত্রী রুনা খাতুনের হাত-পা বাঁধা লাশ। রোববার সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। তাকে শ^াসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। নিহত রুনা খাতুন কাতার প্রবাসী আনিছুর রহমানের স্ত্রী। তাদের ১০ বছর বয়সী মেয়ে ও দেড় বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। এঘটনায় পুলিশ প্রতিবেশি মিলন শেখকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। সে একই গ্রামের খলিল শেখের ছেলে।
রুনা খাতুনের চাচা শ^শুর আতাহার মন্ডল জানান, গৃহবধূ রুনা তার দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এক ঘরে থাকতো। তার ১০ বছর বয়সী নাতি উম্মে তাদের জানিয়েছে, গভীর রাতে দেড় বছর বয়সীর নাতির কান্নার শব্দে ঘুম ভাঙে। তার মাকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে বারান্দায় আসে। সেখানে মিলনকে দেখতে পেয়ে তার মায়ের কথা জানতে চায়। মিলন জানায় তাদের বাড়িতে গেছে। উম্মে তার মাকে ডাকতে গেলে মিলন তার মুখ চেপে টয়লেটে নিয়ে আটকে রেখে মিলন পালিয়ে যায়। পরে কৌশলে টয়লেট থেকে বেরিয়ে তার মাকে উঠানে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। উম্মের কান্নাকাটি আর চিৎকারে সবার ঘুম ভাঙে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
মিলন শেখের স্ত্রী চম্পা খাতুন জানান, রাতে তারা একসাথেই ঘুমিয়েছিলেন। পরে মিলন কোথায় গেছে তা তিনি জানেন না। সকালে তার স্বামীকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।
পাংশা থানার ওসি মাসুদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ^াসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তবে, কে বা কারা কেন তাকে হত্যা করেছে এটা বলার সময় এখনও হয়নি। সময় হলে বিস্তারিত জানানো যাবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পাংশা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার সাহা জানান, এ ঘটনায় মিলন শেখকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।